Please share-
Home » অনলাইন বা অফলাইনে ইনকাম » অনলাইনে ইনকাম করার ৩৬টি উপায়

 

 

নির্দিষ্ট ব্যবসা সম্পর্কে জানতে ঐ ব্যবসায়ের নামের উপর ক্লিক করুন অথবা পড়ায় অব্যাহত থাকুন-

১. অনলাইন মার্কেটিং করে: 

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এ যুগে আমরা অনেকটাই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। তাই নিজেদের কেনা কাটাও অনলাইন থেকে করছি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি হন সেলার তাহলে তো ইনকাম হবেই। অনেকেই শুধুমাত্র ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ খুলে পন্য বিক্রি করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে। বর্তমানে তো ইনভেস্ট না করে রিসেলিং করেও ভালো এমাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্য থাকতে হবে এবং মার্কেটিং পলিসি বুঝতে হবে

[অনলাইনে ইনকাম করতে নিচের প্রবন্ধতি অথবা এ প্রবন্ধে উল্লেখিত আপনার পছন্দমত যে কোনো একটি ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে পড়ুন। এখানে শুধু প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়েছে। অবশ্যই বিস্তারিত জেনে কেবলমাত্র তারপরই যে কোনো ব্যবসা আরম্ভ করবেন।]

২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে: 

এ মার্কেটিং করার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন সম্ভব। এবার আসুন আমরা সংক্ষেপ এ সম্পর্কে জানি। বর্তমানে হাজার হাজার মার্কেট প্লেস এ পন্য বিক্রি হয়। এদের ই-কমার্স বলা হয়। আবার এসব ই কমার্স (e-commerce) সাইট এর প্রত্যেকটি সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে আপনার একটি একাউন্ট করতে হবে। এবং তাদের পন্যের লিংক কপি করে শেয়ার করতে হবে। আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে কেও যদি পন্যটি ক্রয় করে আপনি তাহলে আপনার কমিশনটি পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে পন্যটির দাম বাড়বে না। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) এর জন্য অবশ্যই ভালো মার্কেটিং জানতে হবে। এ ছাড়া সম্ভব নয়। বর্তমানে অনলাইন বা অফলাইনে বিভিন্ন ইন্সটিটিউট, এ ধরনের কোর্স করিয়ে থাকে। সেখান থেকে শিখে নিয়েও আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।

৩.রেফার করে ইনকামঃ

সহজ ভাবে ইনকাম এর একটি মাধ্যম হচ্ছে অ্যাপ রেফার করে ইনকাম। এই যে বিকাশ এর অফার চালু আছে আপনি রেফার করলে আপনার রেফারে কেও app ইন্সটল করলে ও লগ ইন করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনার একাউন্টে এসে জমা হয় এবং সেটা আপনি চাইলে উইথড্র দিতে পারেন। এই বিকাশ এর মত অনেক app আছে। বাংলাদেশি হলে আপনি টাকা বিকাশেই নিতে পারবেন তবে বিদেশি হলে বিকাশে নেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু আশা করা যাবে না। যেসব সাইট অনেক বেশি টাকার অফার করে রেফার কমিশন হিসেবে,সেসব সাইট বেশির ভাগ সময় ভুয়া হয়। এটি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়।

 

৪.ছবি তুলে ইনকামঃ

 বর্তমান যুগে স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। আপনার হাতেই রয়েছে একটি স্মার্টফোন,আর স্মার্টফোনে অবশ্যই রয়েছে ক্যামেরা। কোনো কোনো মোবাইলে তো একাধিক ক্যামেরাও দেখা যায়।আপনার হাতে থাকা সেই ফোনটি ব্যাবহার করেই আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি,,, আপনি আপনার হাতের মোবাইলটি দিয়ে আপনার আশে পাশের কোনো সুন্দর জিনিস এর ছবি তুলতে পারেন। (মোবাইল এর ক্যামেরা বা যে কোনো ক্যামেরা দিয়েই সম্ভব) তারপর সেই ছবিটাকে সুন্দর করে এডিট করে অথবা এডিট ছাড়াই ওয়েবসাইটে “র” (raw) ফাইলসহ আপলোড করে আপনি ৫০-৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি অল্প স্বল্প এডিটিং জানেন তাহলে তো আরও সহজ হয়ে যাবে কাজটি আপনার জন্য।অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য বিভিন্ন ওয়েব সাইট রয়েছে । তার মধ্যে জনপ্রিয় হলো Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি এবং এরাই ফটোগ্রাফার দের সব থেকে বেশি পে করে থাকে।

 

৫.ব্লগিং করে ইনকামঃ 

ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন হলেও অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই পেতে পারেন। এজন্য প্রথমত দরকার মেধা শ্রম ও ধর্য। ব্লগ একটি নিউজপেপার এর মত। আপনার জানা বিষয়টি আপনি লিখবেন। সেই বিষয়টি যার জানা দরকার সে পড়বে। এই যে আপনি এখন অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। প্রতিটা মানুষই কোনো না কোনো বিষয় এ জানাশোনা হয়। আপনিও যে বিষয় এ জানেন সেই বিষয় এর উপর লিখেই শুরু করতে পারেন আপনার ইনকাম। আপনি কিছু টাকা খরচ করে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে আপনার ব্লগ বানিয়ে নিজের মতো করে আপনি লিখতে পারেন। তবে অনেকের এতটুক ধারণা থাকার পরেও শুরু করছেন না গুগল এডসেন্স দিবে কিনা সেই ভয়ে। তবে ভয়ের কারণ নেই মানসম্মত লিখা হলে অবশ্যই এডসেন্স দিবে। এ ইনকাম করতে হলে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন (যে কোন২/৩ টি) এড ডেভেলোপার কোম্পানীর একাউন্ট করে আপনাকে এড দেখাতে হবে। যেমন গুগল এডসেন্স।

 

৬.ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম: 

বর্তমানে সবচাইতে বেশি লোক যেখানে কাজ করছে সেটি হচ্ছে ফ্রি ল্যান্সিং। এতে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করাও সম্ভব। সরকার তো ফ্রি ল্যান্সিং এ সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। হয়তো আগামী দিনে এটি হয়ে উঠবে একটি জনপ্রিয় পেশা। ফ্রি ল্যান্সিং এর জন্য আপনার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হবে। যেমনঃ ফাইবার, ফ্রি ল্যান্সার ইত্যাদি।

 

এতে বিদেশি বায়াররা অনলাইনে কাজের জন্য আপনাকে ভারা করবে। তাদের কাজ করে দিতে পারলেই তারা আপনাকে ভালো একটা এমাউন্ট দিবে। এবং সেটা ব্যাংক একাউন্ট এ নিতে হবে।তবে ফ্রি ল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয় এ পারদর্শী হতে হবে যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, ফটো এডিটিং, Web Design, Website Making, Copywriting, Content Writing,Logo Design), ইত্যাদি। আপনি যে বিষয় ভালো পারেন সেই বিষয় দিয়েই শুরু করতে পারেন ফ্রি ল্যান্সিং।

 

তবে, শুরুতে মার্কেট প্লেসে কাজ পেতে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে আর সমস্যা হয়না, এ জন্য লেগে থাকতে হয় দির্ঘ সময়।

 

৭.ভিডিও দেখে অনলাইনে আয়ঃ 

ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন না জানলেও অনেকে বিশ্বাস করেন না। সত্যি কথা বলতে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছে বিশ্বাস যোগ্য না হলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি। তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যারা ভিডিও দেখিয়ে ইনকাম এর কথা বলে কিন্তু এরা স্ক্যাম বা ভূয়া সাইট। যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখাবে কিন্তু পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে না।

 

সাধারনত এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের চটকদারী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে আয় করার ফাঁদে ফেলবে।এ থেকে বাচতে সবসময়ই একটা বিষয় মনে রাখবেন, কখনই কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে ভিডিও দেখে খুব বেশি পেমেন্ট করবে না।তাই যখনই দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্ত পেমেন্ট করার কথা বলছে কিংবা কোনো চটকদারী বিজ্ঞাপনের কথা বলবে বা খুব বেশি পেমেন্ট করার কথা বলবে বুঝে নিবেন সাইটটি ভুয়া।

 

৮.সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়ঃ 

বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট প্রচুর ব্যাবহার হচ্ছে। তবে এ গুলো শুধু চ্যাটিং এর জন্য নয় বা সময় অপচয় এর জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। এতে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছ থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য স্যোশাল প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য থাকাটা জরুরি।

 

৯.ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করে আয়ঃ 

আপনার মাঝে যদি কোন সুপ্ত প্রতিভা থাকে, এবং আপনি যদি ভিডিওর মাধ্যমে আপনার প্রতিভা ভিডিও এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। তাহলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করাটা হবে আপনার জন্য সহজ একটি মাধ্যম। এতে আপনার সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হতে হবে এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকতে হবে। তবে এটি পূরণ করা খুব বেশি কঠিন, যদি আপনার ভিডিও গুলোতে দর্শকদের কাছে ভালো মনে হয় প্রয়োজনীয় কোন বিষয় থাকে তাহলে সাবস্ক্রাইব এবং ওয়াচটাইম পেতে আপনাকে খুব বেশি সময় লাগবে না।

 

তবে আমার একটা অনুরোধে থাকবে ভিউ অথবা সাবস্ক্রাইব পেতে একটু সময় লাগলেও আপনি ভাল এবং শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরী করুন। আর ভুলেও কারও ভিডিও নিজের বলে চালিয়ে দিবেন না এতে চ্যানেল বাতিল হয়ে যাবে।

 

১০.অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকামঃ 

আমাদের মাঝে অনেকেই আছি যারা পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষকতার সাথে জরিত। এতে করে মাসে একটা ইনকাম আমাদের হাতে আসে। কিন্তু যুগের বিকাশে এই পড়াশুনা শুধুমাত্র অফলাইনে সিমাবদ্ধ নয় এই বিস্তার দুনিয়া জুরে।অনলাইনে ছাত্র বা ছাত্রি পড়িয়ে মাসে ৩০-৫০হাজার টাকাও আয় করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে আপনি তাদের সাইট ভিজিট করে ধারণা নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার পাঠদান।

 

১১. ফরম পোস্টিং:

 

অনলাইন ইনকাম জগতের আরো একটি কাজ হচ্ছে ফরম পোস্টিং। আপনাকে ফরম পোস্টিং করার জন্য খুব বেশি কিছু জানতে হবে না; শুধুমাত্র ইচ্ছামতো প্রশ্ন করা জানলেই হবে। অনলাইনে কোরারেডডিটস্টাকওভার ফ্লো ইত্যাদি সহ অনেক ফর্ম আছে। যারা তাদের ফর্ম প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে হায়ার করে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যাবেন, ফর্মপোস্টিং লিখে সার্চ দেবেন। কাজে বিট করবেন, হয়তো আপনার একটা ইন্টারভিউ নিবে; এবং আপনি কাজটা পেয়ে যেতে পারেন। সাধারণত প্রশ্নসংখ্যার উপর ভিত্তি করে টাকা দিয়ে থাকে। প্রশ্নপ্রতি $০.৪৫- $০.৭৫ ডলার দিয়ে থাকে।

 

১২. কন্টেন্ট রাইটিং:

 

আপনি যাদি কোনো টপিকের উপর ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন তবে তা দিয়ে অনেক আয় করতে পারবেন। অধিকাংশ সময় ওয়েবসাইটের মালিকগণ ব্লগটাকে আরো আকর্ষনীয় ও অধিক ভিজিটর পেতে চায়। কিন্তু সময় সল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে সে কন্টেন্ট লিখতে পারছে না তখন কাউকে হায়ার বা ভাড়া করে, কন্টেন্ট লেখার জন্য।

 

১৩. ভার্চ্যুয়াল সহকারী:

 

বর্তমান যুগ ইন্টরনেটের যুগ। মানুষ ইন্টরনেট ব্যবহার করে কাজ করতে সাচ্ছন্দবোধ করে। মানুষ অনলাইনে কাজের সাহায্যের জন্য লোক নিয়োগ দেয়। বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন মানুষ বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এদের নিয়োগ দিয়ে থাকে; এদের ইনকাম ভালো। আপওর্য়াক সহ বিভিন্ন মার্কেটে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। এদের কাজের ভিতর ডাটা-এন্ট্রি, লেখালিখি, ডিজাইনসহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে। এদের কাজের ক্ষেত্র এত বড় যে যা আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। ভার্চ্যুয়াল সহকারীরা ঘন্টায় $৫-$২০০+ ডলার চার্জ করে থাকে। এটা ব্যক্তি অভিজ্ঞতা ও কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যেকোনো অনলাইন রিলেটেড কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে ভার্চ্যুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন। এজন্য কাজ শেখার পর মার্কেটে নিজের প্রফাইল খুলবেন এবং আপনার কাজ রিলেটেড কাজে আবেদন করবেন।

 

১৪. ভিডিও এডিটিং:

 

ভাব প্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হল ভিডিও। ভালো মানের ভিডিও সম্পাদন করার জন্য ভালো মানের ভিডিও এডিটিং এর দরকার হয়। বর্তমানে ডিজিটাল কনটেন্ট এর মধ্যে ভিডিওর জনপ্রিয়তা সর্বাধিক তা ইউটিউব দেখলে সহজে অনুমান করা যায়। ইউটিউবের এত জনপ্রিতার মূল করণ ভিডিও। আমরা ইন্টারনেটসহ যত ভিডিও দেখি তার ৯৯.৯৯% এডিট করা। এডিট না করলে ভিডিওর মান খারাপ হয়। নয়েজের কারণে শব্দ শোনা যায় না তাছাড়া সম্পুর্ণ ভিডিওটি একেবারে করা যায় না। বিভিন্ন খন্ড অংশের জোড়া দিয়ে একটি ভিডিও, নাটক বা চলচিত্র নির্মাণ করা হয়। এতসব করার জন্য একজন দক্ষ ভিডিও এডিটরের দরকার হয়। বর্তমানে যেহেতু ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা বেশি তাই একজন ভিডিও এডিটরের অনেক চাহিদা। ভালো মানের ভিডিও এডিটিং শিখে এই সুযোগটাকে সহজে কাজে লাগাতে পারবেন।

 

এতে মাসে কত আয় করবেন তা আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। তবে একটা আনুমানিক হিসাব দিয়ে বাখি, প্রজেক্ট প্রতি $৫-$১০০০+ ইনকাম করতে পারবেন অতি সহজে। ভালো কাজ জানলে যেকোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে কাজ পেয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

 

১৫. ই-মেইল মার্কেটিং:

 

বর্তমানে মোবাইল বা কম্পিউটার আছে অথচ ই-মেইল নেই এমন ব্যাক্তি খুজে পাওয়া কষ্ট। গুগলের আশির্বাদে সবারই জিমেইল খোলা বাধ্যতামূলক হয়েছে। ই-মেইল মার্কেটিং অনেক বিস্তৃত একটি বিষয়। এখানে সামান্য কিছু বলব। কোনো পণ্য প্রচার বা বিক্রি করার জন্য অনলাইনে টার্গেটেড অডিয়েন্সকে খুজে তাদের ইমেইল সংগ্রহ করা হয়। ই-মেইলটাকে আকর্ষণীয় টেমপ্লেট আকারে বানানো হয়। এবার ই-মেইল গ্রহকের নিকট পাঠানো হয়। এটার দ্বারা পণ্যের প্রচার ও প্রসার করা খুব সহজ হয়। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রচারের জন্য আপনাকে হায়ার করবে।

 

আবার এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ই-মেইল মার্কেটিং করা হয়। ধরুন আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য লিংক সংগ্রহ করলেন। এবার এই লিংক সুন্দর টেমপ্লেটে ডিজাইন করে ইমেইলের মাধ্যমে প্রচার করলেন। যদি কেউ এই অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে পণ্য কেনে তাতে আপনার কমিশন অসবে। ফাইভারে গিগ করে কাজ পেতে পারেন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে ই-মেইল সংখ্যার উপর ভিত্তি করে টাকা নিবেন। ইমেইল সংগ্রহ করে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা যায়।

 

১৬. এস ই ও স্পেশালিস্ট:

 

ইন্টারনেট জগতে যার সার্চ র‌্যাংক যত ভালো তার ভিজিটর তত বেশি। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বেশি হলে আয় বেশি। গুগলে ভালো র‌্যাংক পাওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এস ই ও) এর বিকল্প নেই। বর্তমানে এ কাজের চাহিদা আকাশচুম্বি। এসইও না করালে সাইটের ভিজিটর হবে না। এসইও যেহেতু টেকনিক্যাল বিষয় তাই শিখতে একটু সময় লাগবে কিন্তু শিখার পর কাজের অভাব হবে না। এটি শিখে আপনি সহজেই মাসে $৫০০-$৫০০০+ ডলার আয় করতে পারবেন। যদি ভালো পারফমেন্স দেখাতে পারেন তবে ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে জব অফার পেতে পারেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। বর্তমানে গুগল, ফেসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন অনেকেই কাজ করছে।

 

১৭. ডিজিটাল মার্কেটিং:

 

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়গুলোর ভিতর ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম।

 

অনলাইন বা অপলাইন এ উভয় সিস্টেমের মালামাল বিক্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাডাক্ট বিক্রির বড় একটা অংশ নির্ভর করে মার্কেটিং এর উপর। কোনো পণ্যকে গ্রাহক বা ভোক্তার কাছে উপস্থাপন বা প্রচার করার একটা পদ্ধতি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। যেটা দেখে গ্রাহকের মনে পণ্যটা কেনার আগ্রহ জাগে। আদিম মার্কেটিং হল ব্যানার বা মাইকিং করে পণ্য প্রচার। আর বর্তমানকার ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্যের প্রচার করা। ডিজিটাল মারে্কটিং বিশাল বিস্তৃত বিষয়। ই-মেইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ছোট্ট অংশমাত্র। এছাড়া আরো রয়েছে ফেসবুক মার্কেটিং, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা প্রচুর। এটি শিখার জন্য ইন্টারনেটে প্রচুর রিসের্স আছে। চাইলে বিনা খরচে খুব সহজেই শিখতে পারেন। একজন ডিজিটাল মার্কেটার পণ্য প্রচার করে দুভাবে আয় করে থাকে। পণ্যপ্রতি কমিশন নিয়ে অথবা প্রজেক্ট প্রতি দর হিসেব করে।

 

১৮. ওয়েব ডিজাইন:

 

বর্তমানে কয়েক বিলিয়ন ওয়েবসাইট একটিভ(active) রয়েছে। এগুলোর ডিজাইন ওয়েব ডিজাইনাররা করে থাকে। প্রতিটি জিনিস ডিজিটালাইজ হওয়ার কারণে নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরী হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি কোম্পানি তাদের নিজেদের জন্য ওয়েবসাইট বানাচ্ছে। একবার ভেবে দেখুন এই কাজের জন্য কত চাহিদা বাড়ছে ওয়েবডিজাইনারদের। তাই আপনি ওয়েব ডিজাইনিং শিখে প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য $৫০-$৫০০+ ডলার চার্জ করতে পারবেন। অনেকসময় ঘন্টাচুক্তি কাজ হয়,যেমন ঘন্টাপ্রতি $৫০ ডলারে। তবে এই কাজ শেখার জন্য ধৈয্য দরকার হয়।

 

১৯. এপস ডেভলপার:

 

স্মার্টফোন ছাড়া তো ডিজিটাল পৃথিবী চিন্তা করা যায় না। প্রতিটি মানুষের হাতে অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস ফোন। এই ফোনগুলো এপস ছাড়া অচল। এটুকু পড়েই বুঝতে পারছেন এখানে কত বড় একটা মার্কেট তৈরি হয়েছে। এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য বিশাল সুযোগ। এটাকে সহজেই কাজে লাগাতে পারেন। অ্যাপস ডেভলপমেন্ট করে অনলাইন থেকে প্রচুর আয় করার সুযোগ আছে। এপস ডেভলপারদের মার্কেট দুটো। অ্যন্ড্রয়েড এর জন্য প্লেস্টোর আর অ্যাপল এর জন্য রয়েছে এপস স্টোর। আপনি যেকোনো একটা শিখতে পারেন। তবে যেটা শিখবেন ভালো করে শিখবেন। কারণ ফ্রিল্যাসিং জগতে অদক্ষের ভাত নেই। আপ ওয়ার্ক ডট কমে যেয়ে দেখতে পারেন প্রতিটি এপস বানাতে কত বাজেট থাকে। একটি এপস ডেভেলপ করে $১০০০-$৫০০০+ আয় করতে পারবেন।

 

২০. গ্রাফিক্স ডিজাইনার:

 

আমাদের আশেপাশে বই কভার থেকে বিস্কুটের প্যাকেট পযর্ন্ত যত ডিজাইন সবই গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ। ইন্টরনেট জগতের কথা চিন্তা করলে একটি ওয়েবসাইটের লোগো থেকে অ্যাডের ব্যনার একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার করে থাকে। এটুকু থেকে বুঝে যাওয়ার কথা জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা কতটুকু। গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা বেশি হওয়ায় আপনাকে কাজ পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না। অনলাইনে আয় করার জন্য গ্রাফিক্সডিজাইন শেখা যুগউপযোগী সিদ্ধান্ত। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মাসিক আয় কমপক্ষে $৩০০০-$১০,০০০+ হয়ে থাকে। আপনি কাজে যত দক্ষ ও ভালো মানের কাজ ডেলিভারি দিতে পারবেন তত ডিমান্ড ও ইনকাম বাডতে থাকবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের সেক্টর ভাগ করলে অনেকগুলো সাবসেক্টর হয়। যেমন:- লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদিসহ আরো অনেককিছু যা এখানে আলোচনা করা যুক্তিযুক্ত নয় তাই বিষয়টা গুগল করে দেখে নিবেন। এর যেকোনো দু-একটি শিখেই আয় করা যায়।

 

২১. অনুবাদক:

 

একটি ভাষার ভাব অন্য ভাষায় অনুবাদের দরকার হয়। বিভিন্ন বই, ব্লগ, গবেষণাপত্র এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের দরকার পড়ে। একজন অনুবাদক হতে হলে আপনার যেকোনো ‍দুটি ভাষার দক্ষতার দরকার হয়। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য অন্যদেশে বিক্রি করার জন্য সে দেশের ভাষায় নিজের পণ্য প্রচার করে। এজন্যও একজন অনুবাদকের দরকার। অনেকে আছে বলবেন গুগল ট্রান্সলেটর থাকতে মানুষকে দিয়ে করাবে কেন? আসলে গুগল ট্রান্সলেটর এখনো এত বুদ্ধিমান হয়নি যে একটা ভাষা সম্পূর্ণ অনুবাদ করবে। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন, ট্রান্সলেটর সববাক্যের সঠিক অনুবাদ পারে না। এই ধরণের অনুবাদের কাজ অনলাইনে সহজে পেয়ে যাবেন। যদি কোনো স্পেসিফিক ভাষা যেমন: চাইনিজ, ফ্রেন্স ইত্যাদি তবে কাজ পেতে সুবিধা হয়।

 

২২. গেম ডেভলপার:

 

স্মার্টফোন ব্যবহার করে অথচ অনলাইন গেম খেলে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। প্রতিদিন নতুন নতুন অনেক গেম তৈরি হচ্ছে। একটা গেম তৈরিতে কত বাজেট থাকে তা জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে। পাবজি গেমটি তৈরিতে $100k মতো বাজেট ছিলো। তাহলে বুঝতে পারছেন এখানে কত বড় একটা মার্কেট রয়েছে। যেহেতু গেম সাধারণত বড় প্রজেক্ট তাই এখানে টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ করতে হয়। এজন্য ভালো ইংরেজি জানতে হবে। কাজটি মোটামুটি কঠিন হওয়ায় ২ থেকে ৩ বছর লাগতে পারে শিখতে। ধৈয্য ধরে শিখুন কাজ পেতে সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।

 

২৩. হ্যাকার / সিকিউরিটি এক্সপার্ট:

 

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হ্যাকার হয়ে আয় করা। হ্যাকার হয়ে ইনকাম। যেহেতু সাইবার সিকউরিটি এক্সপার্ট হতে গেলে অনেক কিছু জানতে হয়। তাই অন্যান্য সেক্টরগুলোর তুলনায় এখানে প্রতিযোগীতা অনেক কম। হ্যাকার হওয়ার উপায়গুলো একটু কঠিন। কারণ সবচেয়ে পরিবর্তনশীল সেক্টর, তাই নিত্যনতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। কেন হ্যাকারদের হায়ার করা হয়? সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানী তাদের নেটওয়ার্ক অধিক পরিমাণ সুরক্ষিত রাখতে সাইবার সিকিউরিটি হায়ার করে। আপনি ফাইভার / আপওয়ার্কের মতো ওয়েবসাইটে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের প্রফাইল ও এই সম্পর্কিত কাজের প্রজেক্ট দেখলে বুঝতে পারবেন হ্যাকার হয়ে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

 

২৪. আরো কিছু অনলাইনে ইনকাম করার উপায় (২৪-৩৬):

 

অনলাইনে ইনকাম করার ২৩টি উপায় আলোচনা করলেও এর বাইরে অনেক উপায় আছে; যেটা আসলে বলে শেষ করা যাবে না। আপনারা গুগল এবং ইউটিউব থেকে এগুলো দেখে নিবেন। যেমন

 

২৪. ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

 

২৫. অটোক্যাড ডিজাইন

 

২৬. ড্রপশিপিং ব্যবসা

 

২৭. সফটওয়্যার টেস্টিং

 

২৮. গেম টেস্টার

 

২৯. স্টক ফটোগ্রাফি

 

৩০. অনলাইন টিউশন

 

৩১. লোগো ডিজাইন

 

৩২. টি-শার্ট ডিজাইন

 

৩৩. পডকাস্ট / Voice Over

 

৩৪. ওয়ার্ডপ্রেস

 

৩৫. সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

 

৩৬. নেটওয়ার্ক ডিজাইন

 

তবে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য প্রচুর ধৈর্য্য দরকার। প্রথম প্রথম কাজ পেতে কষ্ট হলেও। একবার কাজ পাওয়া আরম্ভ হলে, আর যদি সত্যিই আপনার কাজ জানা থাকে তবে আপনাকে আর কাজ ও ইনকাম নিয়ে এতো টেনশন করতে হবে না। তাই সবগুলো কাজ  না শিখে ২/৩টি কাজ সিলেক্ট করে তা খুব ভালো করে শিখুন এবং ভালো করে শিখে তারপর কাজে নামুন। কারণ এ সেক্টরে একবার দূর্নাম ছড়াতে পারলে ফিরে দাঁড়ানো একেবারেই মুশকিল।

 

 পরিশেষ:

অনলাইনে ইনকাম করার ৩৬টি উপায় হয়তো আপনি আয়ত্ব করতে পারবেন না। এভাবে সবগুলো কাজ শিখার চেষ্টা করা আপনার উচিৎও হবে না। তবে অনলাইনের বিষয়ে কমন জ্ঞান সব দিকেই আপনার থাকতে হবে এবং সে সাথে ২/৩টি কাজ ভালো করে শিখবেন ও এ বিষয়ে আপনি মনোবল রাখবেন যে, আপনি পারবেন, আপনাকে পারতেই হবে। দশজনে পারলে আপনি পারবেন না কেন?

মনে রাখবেন, লেগে থাকলে সৎ ভাবে, স্বপ্ন পুরণ আপনারই হবে.। ধন্যবাদ সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

এ পোস্টের ট্যাগ সমূহঃ  #online income,  #online income policy,  #অনলাইন ইনকাম,  #অনলাইন উপার্জনের উপায়,  #অনলাইনে ইনকাম করার ৩৬টি উপায়,  #সহজে ইনকাম করার উপায়