বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
নির্দিষ্ট টপিক্স পড়তে ঐ টপিক্স এর উপর ক্লিক করুন। নতুবা পড়া চালিয়ে যান।
‘আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করিবে না’
(হাদীসটি নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষা বই থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, যেখানে এর সনদ হিসেবে মিশকাত শরীফের পৃষ্ঠা নং সহ উল্লেখ করা আছে।)
১। প্রকাশকাল:-
বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩ খ্রি.
২। উদ্দেশ্য:-
রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর উপর্যুক্ত এ হাদিস অনুযায়ী আমাদের প্রত্যেকের অবস্থা ও অবস্থান কোথায়, তা নিজকে নিজে পর্যালোচনা করা এবং আমার ব্যক্তিগত এ সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক বিষয় গুলো জানানো ও আমার সঙ্গে থাকা জ্বীনের (মুক্তিযোদ্ধা) কিছু বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ; বিশেষ করে গত প্রায় ২ বছর ধরে আমার নিজ (এ প্রবন্ধ লিখক) আত্মীয় স্বজন ও প্রিয় জনদেরকে দোষী করে আমার নিজের লিখা যে সব পোস্ট পাবলিস্ট করেছিলাম, এতে আমি যে নির্দোষ, সে স্টেটম্যান্ট ও স্বীকৃতি প্রাপ্তি (আত্মীয় অনাত্মীয় সকলের কাছ থেকে) এবং আমার পক্ষ থেকে এ জাতীয় পোস্ট আর পাবলিস্ট না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে তা জানিয়ে দেয়া এবং আমাদের সকলের আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালানোই হচ্ছে আজকের প্রবন্ধের মূল ও প্রধান উদ্দেশ্য।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৩। সারমর্ম:-
আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি; এ পোস্টটি মূলত আমার (লিখকের) ব্যক্তিগত আত্মসমালোচনা ও আত্মসংশোধন মূলক এবং মানুষকে এ বিষয়ে সংশোধিত হতে আহবান উদ্দীপক একটি পোস্ট।
৪। দৃষ্টি আকর্ষণ:-
এ পোস্টের মূল বিষয় এবং পোস্টে উল্লেখিত সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে, সামান্য একটু পড়ে বা জেনে বা অনুমান করে, সত্য ও বাস্তব এ পোস্টে উল্লেখিত চরিত্র গুলোর যে কারো সম্পর্কে বা অন্য কারো ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র সম্পর্কে কোনরুপ নেগেটিভ মন্তব্য না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো। কারণ এটি একটি স্পর্শকাতর ও পৃথিবীর এক নতুন ও বিরল ঘটনা হতে সৃষ্ট।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫। ডেসক্রিপশন:-
৫.১। সকলের প্রতি অনুরোধ নামা:
সম্মানিত ভিউয়ার, আপনাদের সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে পোস্টটির শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পুরোটা পড়ার জন্য। প্রতিবেশী ভাই সম্পর্কে বা একজন মুসলিম ভাই হিসেবে অপর মুসলিম ভাইয়ের খোঁজ খবর নেয়া, যা আপনার শরয়ী কর্তব্য। আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ বিষয়টির বিষয়ে আপনার নিজের অবস্থান কী ও বিষয়টির আলোকে আপনি নিজে বেহেশতে যাবেন কিনা, আশা করি নিজকে নিজে সে বিষয়ে ভাববেন ও সিদ্ধান্ত নিবেন। এতে যদি মনে হয় আপনার নিজ পারিবারিক জীবনে এ বিষয়ে সমস্যা রয়েছে, তা হলে একজন মুসলিম হিসেবে তাওবা এস্তেগফার করে নিজ আত্মীয়দের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রচেষ্টা চালাবেন, প্রয়োজনে এ বিষয়ে ত্যাগ স্বীকার করবেন এবং মুসলিম হিসেবে এ ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা আপনার কর্তব্য।
সে সাথে আমাকে শুধু জ্বীন বা শুধু মানুষ; এভাবে ভাববেন না। আমার পরিচয় পাবার পর, বাকী মানুষদের সাথে আপনারা যেভাবে মানুষ হিসেবে ব্যবহার করছেন, আমার সাথেও ঠিক সেভাবে ব্যবহার করুন এবং আমি যে আপনাদের প্রতি ভালো, এ বিষয়টি মাথায় সেট করুন; আমার প্রতি সব ধরনের নেগেটিভ সন্দেহ পরিহার করুন, আমাকে বন্ধু ভাবতে শিখুন এবং অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত পরীক্ষা পরিহার করুন; তাহলেই ইনশা’আল্লাহ আমি আশা করি, আমাকে আপনাদের পরম বন্ধু ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পাবেন না এবং সেটা যে কোন ধর্মের বা যে কোন রাজনৈতিক দলের বা যে কোন বর্ণের বা জাতের জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে। কারণ আমার নির্দিষ্ট কোন গ্রুপ বা জাত নেই। আমি সব মানুষের। তবে আমি মুসলিম এবং আমার ধর্ম ইসলাম। আল্লাহ আমার রব। আমি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এঁর উম্মত। আবার কোরআন কনস্টিটিউশান নয়; এ রকম কোন রাজনৈতিক দলকে আমি কখনোই মানতে পারবো না। আবার ইসলামী দলও রয়েছে অনেকগুলো। তাছাড়া ইসলামী দল যারা করে না, তারাও মানুষ। তারাও আল্লাহু তা’য়ালারই সৃষ্টি। তারাও আল্লাহু তা’য়ালার বান্দা ও রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর উম্মত। শুধু এক গ্রুপে থেকে অল্প সংখ্যক মানুষের তাবেদারী বা খেদমত করা আর বাকীদেরকে ঊপেক্ষা করা বা সুযোগ না পাওয়া, মানুষ হিসেবে ইহা আমি কখনোই কামনা করিনা। তাই তাদের সবাইকে ভালোবাসা, তাদের সবার নিকট আল্লাহু তা’য়ালার বাণী পৌঁছিয়ে দেয়া এটা আমার দায়িত্ব, কর্তব্য ও বৈশিষ্ট্য। সুতরাং নির্দিষ্ট করে আমার কোন দল নেই। আবার স্থানীয় প্রশাসনের বিপরীত কার্য্য করা ইহা ইসলামে নিষিদ্ধ বিধায়, যে দলীয় সরকারই আসুক না কেন; আমি কখনোই সরকার কর্তৃক অনুমোদনহীন বা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক বা সরকার বিরোধী কোন কাজ আমি করতে পারবো না।
তবে আমি (আরিফ) যতটুকু বুঝতে পেরেছি, এতে আমার (আরিফ উল্যাহ) মনে হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তাঁর সহযোগী হিসেবে তাঁর শরীরে আমি ছিলাম (বঙ্গবন্ধুর শরীরে যেমন ছিলাম, ঠিক তেমন, আরিফের সঙ্গে থাকা জ্বীন, যার নাম আরেফ বিল্লাহ)। এবং প্রত্যেক মুক্তি যোদ্ধার সাথে ছিলো আমার (আরেফের) অনুগত একজন জ্বীন সদস্য। ফলে আমি (আরেফ বিল্লাহ) এবং আমার সহযোগী পরিবার, একটি জ্বীন সম্প্রদায় ভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
এছাড়া আমাদের দলের সদস্য বা পূর্ব পূরুষ গণ ১৯৫২ সালের বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের সাথে, ভাষা সৈনিকদের সাথে সরাসরি সংযুক্ত ছিল। অর্থাৎ পরোক্ষ ভাবে আরিফের সাথে থাকা এ জ্বীন গোষ্ঠিটি, একটি ভাষা সৈনিক গোষ্ঠি (রহ:)।
এছাড়াও আমি (আরিফ) আমার সংঙ্গে থাকা ( মানুষের সংঙ্গে তথা আরিফের সংঙ্গে) এ জ্বীন সর্দারের (জ্বীনের বাদশা, যার নাম আরেফ বিল্লাহ, যার এ নামকরণের সময়টি আপনারা এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন) ঈমান আকিদা ও জ্ঞান সম্পর্কে যা বুঝতে পেরেছি, তা হচ্ছে উনি (আরেফ বিল্লাহ), আল্লাহু তা’য়ালার এতোই নিকটতম বন্ধু ও ইসলাম ধর্মের এতো বড় আলেম যে, যা আমার (আরিফ) এ বয়সে (আমার প্রকৃত বয়স প্রায ৪৭ বছর, আমার প্রকৃত জন্ম সন ১৯৭৬ এ; যদিও স্কুলে তা ১৯৭৭ লিখা হয়েছে) মানুষের মধ্য থেকে রাসূলুল্লাহ (সা:) ও তাঁর মানব সাহাবী (রা:) এর পর অল্প কিছু হাতে গোনা উঁচু দরের মানুষ যেমন ইসলামের ৪ ঈমাম, বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহ:), ঈমাম গাজ্জালী (রহ:), ঈমাম কুরতুবী (রহ:) এ মানেরই একজন জ্বীন সদস্য বা তার চাইতেও উপরে। আবার মানের দিক থেকে পৃথিবীর একেবারে ছোট মুমেন মানুষ থেকেও নিচে (এমনকি সব মানুষের), তার (জ্বীনের) মানসিকতা এ রকমই। তবে আমি সঠিক ভাবে বুঝতে পারছি না, তিনি (আরেফ বিল্লাহ) রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর জ্বীন সাহাবীও হতে পারেন কিনা।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
ভায়েরা, এটা ছিলো আমার (আরিফ উল্যাহ) গবেষণার ফলাফল । আরেফ বিল্লাহ সম্পর্কে আমি আমার গবেষণার যে ফলাফল আপনাদেরকে জানিয়েছি তা একেবারেই নিরেট ও অর্গানিক সত্য বলেই আমার মনে হয়েছে। কারণ সত্যের সিগনাল সত্য হ্নদয় কোন প্রকার যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বাস করবে। আর ঈমানের মূল হবে বিশ্বাস; যুক্তি-তর্ক নয় এবং বিশ্বাসের মূল হবে ভালোবাসা। নট সেখানে কোন ধরনের যুক্তিতর্ক। আবার বিচার হবে কিন্তু বৈচারিক এবং বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ তথ্য, যুক্তি, তর্ক ও প্রমাণের ভিত্তিতে। কোনকিছু সত্য হিসেবে লেখ্য ভাষায় স্থান পেতে হলে অবশ্যই তা বৈজ্ঞানিক ও বৈচারিক পদ্ধতিতেই প্রমাণিত হতে হবে। সেখানে থাকবে না কোন ভালোবাসা বা বিশ্বাসের মূল্য। কিন্তু নিরেট সত্য যে সব সময় লেখ্য ভাষায় থাকবে, তা কিন্তু না। তাই যদি কোন মহান ব্যক্তিত্ব সত্যরুপে এমন কিছু বুঝতে পারেন যে, যা প্রমাণের ও লেখ্য ভাষায় এর স্ব-পক্ষে তথ্য পাওয়ার কোন উপায়ই উপস্থিত নেই; যার কারণে তিনি বুঝতে পারছেন, এ প্রকৃত সত্যের কোনই মুল্যায়ন হচ্ছে না বা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাহলে তো তিনি যে সত্যের ঘোষণা ও পরিচয় দিচ্ছেন; সে একই সত্য তার সামনেই অপমাণিত হচ্ছে বা এ নিরেট সত্যটির মৃত্যু হচ্ছে। আর তাই তিনি যদি প্রকৃতই সত্য হন, তাহলে তিনি যা বুঝতে পেরেছেন ঠিক সেভাবে এ সত্য টিকেও অনারারি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ইতিহাসে স্থান করে দিবেন এবং এটা তার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য হিসেবেই থাকতে হবে বলে আমি মনে করি। আর যদি তিনি তা না করেন, তাহলে প্রমাণিত হবে তিনি নিজেই সত্য নয় বা তার মাঝে যে সত্য ছিলো তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রিয় ভায়েরা দেখুন আমার কাছে মাদ্রাসার সার্টিফিকেট নাই; অথচ আমার জ্বীন একজন উঁচু দরের আলেম। বর্তমান দুনিয়ায় এমন কোন আলেম নেই, যে মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক। অথচ আমার জ্বীন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং হয়তো ভাষা সৈনিকও বটে। সাধারণত: মুক্তিযোদ্ধা ও ইসলামের আলেম এ উভয়ের মধ্যে থাকে একটা বিপরীতমুখী ভাব। হয়তো কোথাও কোথাও শত্রুতাও। এমতাবস্থায় আমাকে উভয়দিক মেইনটেন্যান্স করতে হবে। কারণ উভয় দলেরই আমার জ্বীন একজন সক্রীয় অংশীদার। আর তাই সঙ্গত কারণেই যেহেতু আমি উভয়দিকের পক্ষে কথা বলতে চাইবো; তাই বাস্তবতার সাধারণ নিয়ম অনুযায়ীই কারো সাপোর্ট আমি হয়তো পাবো না।
অতএব আমার এ সিটোয়েশনটিও আমার জন্য অনেকটাই আনব্যালেন্সিং হবে এবং এ কারণে বৃথা ও অযথাই অনেকের কাছে হয়তো অপরাধী হয়ে থাকবো। তাই বিষয় গুলোর দিকে খেয়াল করে আমাকে বুঝে নেয়ার জন্য এবং সম্ভব হলে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
দেখুন, দুনিয়ায় এমন অনেক সত্য রয়েছে বা থাকতে পারে যা বৈচারিক প্রমাণের সুযোগ না থাকায় এবং প্রায় অনেক গুলো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মূল, বৈচারিক বা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বিহীন শুধুই বিশ্বাস আর ভালোবাসা হওয়ায়, আর যেহেতু শুধু এ বিশ্বাস থেকে বৈজ্ঞানিক থিউরি সৃষ্টি হয়ে বা কোন কিছু আবিষ্কৃত হয়ে, যা আজ জগতে সত্যরুপে স্বীকৃতি পেয়েছে, সে বিশ্বাসের সুত্র ধরে একই থিউরিতে আরেকটি নিরেট অর্গানিক সত্যকে সামান্য জেনে বা সামান্য বুঝেই মিথ্যা মনে করা, এটাও বৈজ্ঞানিক ও বৈচারিক মেথড় হতে পারে না বিধায় এ বিশ্বাসের মূলও কিন্তু সত্য হতে পারে। এবং যে বিশ্বাস থেকে বিজ্ঞানের মূল আবিষ্কৃত, সে বিজ্ঞান তার জনক ও জননী হিসেবে বিশ্বাস বা ভালোবাসাকে অস্বীকার করতে পারে না। যেহেতু সৃষ্টি যদি স্রষ্টাকেই অস্বীকার করে তবে বৈজ্ঞানিক থিউরি অনুযায়ীই সমস্ত সৃষ্টিই ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। এবং যেহেতু বিজ্ঞানের মুল হিসেবে বিশ্বাস আর ভালোবাসা না থাকলে বৈজ্ঞানিক সূত্র আবিস্কৃত হতে পারে না; তাই সত্যের মূল বা স্রষ্টা, বিশ্বাস বিধায় আমি আমার এ গবেষণার ফলাফলকে নিরেট ও অর্গানিক বলে আপনাদের নিকট পেশ করেছি। মূলত আমার ব্যক্তিগত যুক্তি বিজ্ঞানের এ সূত্র অনুযায়ী আমি আমার সঙ্গে থাকা এ জ্বীন সদস্য ও তার দল সম্পর্কে এ তথ্য গুলো আপনাদেরকে প্রদান করেছি ও এর সত্যায়ন করেছি।
আপনারা মনে কইরেন না আমি যা মনে এসেছে, শুধু তাই লিখে ফেলেছি। আমাকে ছেলে খেলার পাত্র, আর আমার এ অদৃশ্য জ্বীন সম্পর্কে এ তথ্য প্রদান আমি জেনে-বুঝে, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে, নিজস্ব শারীরীক-মানসিক আভ্যন্তরিন বৈচারিক প্রক্রিয়াতেই সম্পন্ন করেছি। একবারে আবোল-তাবোল ভাবে বা কোন ধরনের উদ্দেশ্য মূলক ভাবে কিছু লিখিনি।
তো সব কিছুর মূলে কী দাঁড়ালো তাহলে? আমার (আরিফ উল্যাহ) হ্নদয় সত্য কিনা (?), এ বিষয়টি। কারণ যে হ্নদয় অর্গানিক সত্য নয়; সে হ্নদয় কখনো অর্গানিক সত্যের সত্যায়ন করতে পারে না। আর আমার নিজের হ্নদয়ের সত্যায়ন আমি নিজে করতে পারি না। তাই আমি অনুরোধ করবো এ দেশের সরকার সহ এ মহা বিশ্বের মানুষ ও জ্বীন জাতিদের সকলের মধ্যে যত ধর্ম ও বর্ণের যত প্রকারের আস্তিক-নাস্তিকই থাকেন না কেন; আপনারা আমায় নিয়ে গবেষণা করুন এবং আমাকেও গবেষণা করতে দিন; তাহলে আমার গবেষণার ফলাফল দ্বারাও আপনারা বুঝতে পারবেন আমি কে। আর যখনই বুঝতে পারবেন আমার হ্নদয় শুধু সত্যের স্বাক্ষর করে, অর্থাৎ মাঝে-মধ্যে মানব বৈশিষ্ট্য হিসেবে মিথ্যা বললেও বা পাপ কাজ করলেও, আমি তাওবা করি; কিন্তু আমার বৈচারিক সিদ্ধান্ত গুলো প্রায় সব গুলোই সত্য; ঠিক তখনই বুঝে নিবেন আরিফ উল্যাহ যা বলেছে তা সত্য।
অতএব, আপনাদেরকে আমাকে বুঝতে পারার জন্য চেষ্টা করতে ও আপনারা আমার বিষয়ে যা বুঝতে পেরেছেন তা প্রচার ও প্রকাশ করতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা যা ফাইনালি বুঝতে পেরেছেন তা অবশ্যই প্রচার করবেন । কারণ হায়াত তো আর আমি জ্বীনদের মতো পাবো না। জ্বীনদের বা আমার সাথে থাকা জ্বীনের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ইনশা’আল্লাহ গবেষণা করে সম্ভবমতো পরে জানাবো।
আর এ সব অদৃশ্য বিষয় যদি কখনো প্রমাণ করা যায়, তবে এ দেশের সরকার কিংবা এ দেশের সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক আমাকে, মানে আরেফ বিল্লাহকে (জ্বীন) দেশের অনারারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় বা দিতে বাধ্য হয় (যৌক্তিক বিচারে); তবে আরিফ উল্যাহর নামেই এ সনদ দিতে হবে। আর যদি দেশ বা দেশের কেউ আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি না দেন বা আমার সব কথা অসত্য বা মিথ্যা মনে করেন, তবে এতে আমি কোনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবো না।অর্থাৎ জ্বীন হিসেবে কোন ধরনের একশান নেওয়া, যেমন মানুষকে পাগল বানাতে চেষ্টা করা, ব্যক্তি বা সরকারকে ব্যাকওয়ার্ডে নেয়ার চেষ্টা করা, বিদুৎ, ইন্টারনেট, তথ্য-প্রযুক্তি ইত্যাদিতে নেগেটিভ প্রভাব ফেলা বা বিকল করে দেয়ার চেষ্টা করা, অভিনয়, ছলনা, কৌশল বা যে কোন ধরনের শক্তি প্রয়োগ, জ্বীন সর্দার হিসেবে ইত্যাদি কোন কিছুরই প্রদক্ষেপ নিবো না। বরং আমার দ্বারা দেশ, জাতি ও এ মহাবিশ্বের জন্য যে টুকু উন্নতি করা সম্ভব, মানে যটটুকু মানুষ হিসেবে আপনারা মেনে নিয়েছেন বা আমাকে করার দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছেন সন্তুষ্ট চিত্তে শুধু তাই করে যাবো। কারণ দেখতেই পাচ্ছেন, ভার্তৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে ইসলামের এমন একটি শৃঙ্খল, যা লংঘন করে আজ ২২ বছরেও শুধু এ বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমার ভাই-বেরাদর, আত্মীয় স্বজন যদি বুঝতো অথবা এ মহাবিশ্বের জন্য যদি তারা আত্মত্যাগ দিতে পারতো এবং সর্বোপরি মানুষের মতোই জ্বীন যে, এ বিশ্বের জন্য, মানুষের জন্য কী পরিমাণ সম্পদ, তা যদি তারা অনুধাবন করতে পারতো; তবে নিশ্চয়ই এবং অবশ্যই তারা অবলীলায় আমাকে মেনে নিতো। তখন সবাই আমাকে ভালো জ্বীন বা ভালো মানুষ বা মানুষের উপকারী বন্ধু হিসেবে মানতো। কিন্তু মানুষ নিজে যা চায় না, শক্তি প্রয়োগ করে, আমি বা আমরা তা কখনোই করি না। মুমেন জ্বীন হিসেবে এটা আমাদের বৈশিষ্ট্য।
অন্য দিকে আরেফ বিল্লার (জ্বীন) নামে কোন আদেশ, নির্দেশ বা চিঠি ইত্যাদি কোন কিছুই যে কেউ ইস্যু করলে তা গৃহীত হবে না। এটা করতে হবে শুধুমাত্র আরিফ উল্যার নামে। আরেফ ও তার দল থাকবে আরিফের সহযোগী হিসেবে। যে কোন বিষয়ের চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকার বা সাক্ষর দান ক্ষমতা সেটা থাকবে আরিফের ; আরেফের নয়। আরিফ (মানুষ) কর্তৃক যে কোন চিঠি বা সনদ বা ঘোষণা কাউকে বা কোথাও প্রদান করা হলে, তা অবশ্যই আরেফেরও ঘোষণা বা অদৃশ্য ভাবে তারও স্বাক্ষরকৃত হবে। এখানে পৃথক করে এটা আরিফের, আর ইহা আরেফের; এ জাতিয় কিছু থাকবে না।অর্থাৎ আরিফ, আরেফ ও তার দল; এর সর্বাধিনায়ক হবে, আরিফ উল্যাহ; আরেফ বিল্লাহ নয়। আরিফ উল্যাহ কোথাও স্বাক্ষর প্রদান বা ঘোষণা প্রদান করলে তা বাতিলের অধিকার ও ক্ষমতা আরেফ বিল্লার থাকবে না। এ ধরনের কোন কিছু যদি বাতিলের প্রয়োজন পড়ে, তবে তা আরিফ উল্যাহকেই বাতিল করতে হবে। তবে আরিফ উল্যাহ, আরেফ বিল্লাহর পরামর্শ ও আল্লাহর হুকুমের বাহিরে এক ফোঁটাও বা কোন ধরনের কাজ করবে না; তা তাদের দু’জন, দু’জনের সাথে পরষ্পরে চুক্তিবদ্ধ। আরিফ উল্যাহ, আরেফ বিল্লাহর (জ্বীন) সাথে বা আরেফ বিল্লাহ, আরিফ উল্যাহর সাথে।
ব্যাখ্যার ভিতর প্রয়োজনে আপনারা বিষয়টি লিখে রাখবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমার পরিচয় এখন আরিফ উল্যাহর মাঝে এবং ইনশা’আল্লাহ আরিফ উল্যাহ ব্যতিত এ দেশে আমার কোন অস্তিত্ব মিলবে না। যেহেতু আমি (আরেফ বিল্লাহ) তার (আরিফ উল্যাহ) শরীরেই থাকি । হয়তো বিষয়টা আপনাদের কাছে আজগুবী মনে হতে পারে। কিন্তু যখনই মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (দা.বা.) কথা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মনে পড়ে, তখনই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমার চোখে পানি আসে কেন (?), আমি কাঁদি কেন (?), কেনইবা এ কান্না (?) ও কেনইবা এ আন্তরিকতা (?); বিষয়টির গভীরে পৌঁছে যখন ভালো করে বুঝতে চেষ্টা করলাম (আরিফ উল্যাহ কর্তৃক), তখন এ গবেষণার ফল হিসেবে ও আরেফ বিল্লাহর স্বাক্ষ্য অনুযায়ী বুঝতে সক্ষম হলাম যে, হ্যাঁ বিষয়টি সত্য বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। কারণ কোন কিছু অভিনয় বা মিছেমায়া না হলে, তাহলে সত্য দিয়ে মনস্তত্ত্বে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা ব্যতীত সাধারণত মানুষের কান্না আসতে পারে না। আর বঙ্গবন্ধু বা মুক্তিযুদ্ধ এ বিষয়গুলো আমার কোন অভিনয় বা সম্মান পাওয়ার আকুতি বা মিছেমায়া বা সম্পদ বা ক্ষমতা হারানো ইত্যাদি কিছুই নয়। আমি সে রকম মানুষ নই। এ জ্বীন আগমন বা প্রকাশিত হওয়ার আগে আমি কখনো এ রকম ছিলাম না। তবে ‘আমি রাসেল বলছি’ বইটি পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। তখন আমি রাসেলকে হত্যা করা একেবারেই অবৈধ হয়েছে মনেকরতাম এবং যেহেতু তারা একজনকে অবৈধ ভাবে হত্যা করতে পারে, তাই এ সমস্ত হত্যাকান্ডকে ইতিহাসের চরম অন্যায় মনে করতাম। এ জন্য তখন থেকেই যারা এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে, তাদেরকে ঘাতক হিসেবেই ধরে নিয়েছিলাম।
একটু ভালো করে বুঝতে চেষ্টা করুন, বাংলাদেশের ফেনী শহরের রাঝাঝির দিঘীর পাড়ে, ট্র্যাংক রোডের পাশে অবস্থিত শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে এখন যখনই আমি হেঁটে যাই, তখনই কেন জানি মন উতলা হয়ে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে। যখন দেখি শহীদ মিনারের ফাঁক দিযে রক্তিম লাল সূর্যের উদয়। আর আমার চোখে পানি এসে যায়। একই ভাবে যখন দীঘির পূর্ব কোণে অবস্থিত শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের সৃতিস্তম্ভের পাশ দিয়ে যাই, তখনও আমার মন যেন কিছু বলতে চায়। আমি কেন যেন দূর্বল হয়ে পড়ি। এছাড়া যেখানেই মুক্তিযোদ্ধা নামটি শুনেছি বা মুক্তিযোদ্ধা ভবন দেখেছি; কেন যেন আমি উতলা হয়ে পড়ি।
অতএব মনুষ্য চরিত্রের এ মূল বৈশিষ্ট্যে গুলোর সূত্র ধরে ও আরেফের (জ্বীনের) স্বাক্ষ্য অনুযায়ী গবেষণা ও চিন্তার ফল হিসেবে আমি এ বিষয়টি প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছিলাম।
এটাতো আমার (আরিফ) একার গবেষণা ছিলো। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো যে, আপনারাও আমাকে, মানে আমার জ্বীনকে বুঝতে চেষ্টা করুন; আসলে আমি (আরিফ) আমার উপর গবেষণা চালিয়ে, যে তথ্যটি তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, তা বাস্তবে সত্য কিনা?
আর যেহেতু, আমার বন্ধু (যার শরীরে আমি অবস্থান করছিলাম), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হায়েনারা অন্যায় ভাবে হত্যা করেছিলো এবং যেহেতু রাসেল নামের একজন নিষ্পাপ শিশুকেও হত্যা করেছিলো তারা এবং যেহেতু আমার অনুসারীরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো, তাই বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান হবে, এ জাতীয় কাজ জিন্দিগিতেও আমি করতে পারবো না।
এবার আসা যাক আমার ব্যক্তিগত সাইডে। দেখুন, আমাদের বংশে আমাকে নিয়ে, অর্থাৎ আমার উপর জ্বীনের আসর হওয়ার পর, মানে সেই ২০০১ সন থেকে আজ এ পর্যন্ত যা যা ঘটলো; এ রুপ একটি ঘটনা যদি আপনাদের কারো বংশে ঘটতো, তাহলে কি সবাই খুব ঈমানদার থাকতেন?
তাছাড়া পর সমালোচনা, তার উপর নিজ পরিবার ও বংশকে নিয়ে সমালোচনা, অর্থাৎ নিজেদের বিরুদ্ধেই মানহানীকর লিখা, আপাত দৃষ্টিতে এটা অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ। কিন্তু আমাকে দেখে বা আমার বাকি কথা ও কাজকে বিবেচনা করে, আমাকে কি আপনার নিকট মুমিন বলে মনে হয় না? তাহলে একদিকে আমি মুমেন, অপরদিকে সে আমিই আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার মতো, কথা-বার্তা বলছি। যা একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মুমিনের পক্ষে কখনোই স্বাভাবিক কোন কিছু নয়।
আর তাই নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, এটি একটি জটিল বিষয়। অতএব আমাদের বংশকে নিয়ে বা বংশের কোন সদস্যকে নিয়ে বা আমাকে নিয়ে বা আমার পরিবারকে নিয়ে কোন ধরনের বাজে মন্তব্য দয়া করে করবেন না। কারণ আমাদের উপর ঘটে যাওয়া বা চলমান এ বিষয়টি একেবারেই সহজ বা সাধারণ বিষয় নয়। হয়তো এটি একটি যুগান্তকারী বিষয়ও হতে পারে। যার স্থান হয়তো ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধও হতে পারে। অতএব, এ রুপ একটি ঘটনায় নিজকে নির্দোষ রাখা, সাধারণত বর্তমান জামানার মানুষদের নাই।
আপনি কি একটু জ্ঞান খাটাননি!? বুঝতে চেষ্টা করলে দেখতে পাবেন, হিজ ড়াদের একটা আলাদা পাড়া রয়েছে; আপনি কি দেখেননি রাস্তায় কতো পাগল রোদে পুড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজছে। ভাই, বেশি উদাহরণ দিতে চাইনা; শুধু বলতে চাই, এরাও ছিলো কোন বাবা-মায়ের আদরের সন্তান। তাদেরও ছিলো একটি শান্তিময় পরিবার কিংবা বংশ। হয়তো আজও আছে। কিন্তু বলতে পারেন (?), কেন তাহলে আজ তারা আলাদা পাড়ায় অথবা একেবারেই পাগল হয়ে রাস্তায়? এর পিছনে বুঝি আপনাদের মানে এ সমাজের আল্লাহ ওয়ালা বা ঈমানদারী ব্যবহারের বিনীময় ছিলো? না শুধুই তাদেরকে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি পীড়া দিয়েছিলো? বলতে পারেন, শুধুই কি এ কারণে এরা আজ তাদের নিজ বংশ ছাড়া? সত্য করে বলতে পারেন, নিজ বংশীয় বা নিজ পারিবারিক সদস্য কর্তৃক এরা অত্যাচারিত বা নিগৃহীত হয়নি?
তাই যদি আপনি কখনো সম্পদহীন বা পরিবার ও বংশের সদস্যদের মাঝে সম্ভাবনা হীন না বা বর্তমান পরিস্থিতিতে কারো ভয়ের কারণ বা প্রয়োজনীয়তা পূরণের পাত্র না হন বা যদি আপনি কখনো আপনার নিজ পরিবারের বোঝা না হন, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ, আপনি হয়তো এতো কিছু বুঝবেন না। যেমন করে আমি আপনি বা আমরা কেউই হয়তো বুঝবো না যে, অমুসলিম একটি পরিবার থেকে মুসলিম হওয়ার ও পরবর্তীতে মুসলিম হিসেবে টিকে থাকার বিষয়টি কী রকম?
তাই নিজ বংশের বিরুদ্ধে লিখেছি বলে একেবারেই আঁৎকে উইঠেন না বা আমাকে হঠাৎ করেই একেবারে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেয়িন না। এখনো হয়তো অনেক মানুষ রয়েছে, যারা নিজ পরিবারের সদস্য কর্তৃকই নিষ্পেশিত। কিন্তু কাউকে বলতেও পারছে না, সইতেও পারছে না। অবশ্য আমি এখানে এ লিখা গুলো প্রকাশ করে যাচ্ছিলাম, মূলত অন্য একটি উদ্দেশ্যে, যা আমি এ প্রবন্ধের মধ্যেই অন্যত্র বলেছি। তাছাড়া জ্বীন জাতিকে অনুগত করতে পারলে বা সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে পারলে, ইহা মানব সম্প্রদায়ের জন্য কতটুকু উপকারী, কতটুকু সম্পদ ও সম্মান আহরনের তা জ্ঞানী ছাড়া বুঝতে পারবেন না হয়তো। আর পৃথিবীর এ রকম একটি সম্পদকে কি আমাদের ছোট্ট একটি পরিবার কর্তৃক আঁটকিয়ে রাখা হলো না? ফলে আমার টেনশনতো হবেই। যার ফলে এভাবে লিখে জাতিকে জানিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
আরো একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। আপনার বাড়ির জমি যদি বিক্রি করেন, তবে প্রতি ডিসিম কত করে বিক্রি করবেন? কিন্তু আপনার বোনকে হক দেয়ার সময় প্রতি ডিসিম কি এ পরিমাণ এমাউন্ট ধরে হিসাব করেছিলেন? বুকে হাত দিয়ে নিজের ও নিজেদের সমাজের দিকে তাকিয়ে এরপর মানুষকে সম্মান করে তারপর মন্তব্য করবেন। আমি আগেই বলেছি, আমার উপর এবং আমাদের বংশের উপর যে ঘটনাটি ঘটে গেছে বা ঘটমান রয়েছে ইহা এতোটাই জটিল যে, তা হয়তো বুঝতে পারার বিষয়ে ইহা আপনার জ্ঞান ও ঈমানের বাহির্ভূক্ত হতে পারে এবং এ অবস্থা আপনার বা আপনাদের কারো উপর নিপোতিত হলে হয়তোবা কখনোই নিজকে নির্দোষ রাখতে পারতেন না। আর তাই আমাদের বংশের কাউকে নিয়ে বৃথা মন্তব্য করবেন না।
অন্যদিকে যেহেতু আপনারা আমাকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চিনেন না বা জানেন না অথবা একবারেই চিনেন না বা চিনলেও যেহেতু আপনাদের উপর কখনো জ্বীন নামের আরেকটি পরা শক্তি কখনো চাপ বা তাদের ক্রিয়া-কলাপ প্রয়োগ করেনি, বা আপনাকে কোন কিছু করতে জ্বীন-মানুষ কর্তৃক বাধ্যও করা হয়নি (যাদুগ্রস্থতা); তাই আপনারা হয়তো কখনোই আমার মানসিক এ কষ্টদায়ক আভ্যন্তরিন বিষয় গুলো বুঝতে পারবেন না; এ জ্বীনকে নিয়ন্ত্রণ করা বা চাপ সহ্যকরা কতটুকু কষ্টের বা আবার আমার উপর সত্যিই জ্বীনের আসর বা জ্বীনের ক্রিয়া রয়েছে কিনা, তা আমাকে সাধারণ ভাবে বিভিন্নমানুষ কর্তৃক পরীক্ষার কষ্ট, এতোকিছুর মাঝে আমাকে স্বাভাবিক ভাবে দেখে বা আমার ক্রিয়া কলাপ দেখে হয়তো আমাকে সহজে অনুধাবন করতে পারবেন না। কারণ মানুষতো সবাই মানুষ; কিন্তু আভ্যন্তরীন বিষয় গুলো কি সবার সমান?
আমি আরো খোলাসা করে বলছি, আমার জ্ঞান মতে আমার সাথে থাকা এ জ্বীন জাতির ক্রিয়া খুব বেশি অনুভূত হয়, স্থান-কাল-পাত্র ভেধে রমজান মাসে, (বিশেষ করে এতেক্বাফ করা কালীন) এবং জুমার নামাজের সময় ঈমাম সাহেব যখন খোতবা প্রদানের উদ্দেশ্যে মিম্বরে উঠেন সে সময় থেকে মিম্বর থেকে নেমে পড়া অথবা কখনো কখনো জুমার ফরজ নামাজ শেষ হওয়া অবধি সময় পর্যন্ত।
অতএব আমার বিষয়ে বাজে কমেন্টস না করে (যেমন সেদিন একজন কমেন্টস করেছিলো, আমি নাকি পয়সা কামানোর জন্য এসব করছি এবং আমি নাকি শেরেক করছি;), এ সময়ে উপস্থিত থাকা আমার সাথীয় ভাইদের থেকে জেনে নিতে পারেন। আবার আপনার যে কোন ভাবে বুঝে ধরলে তো বা বুঝার ঐ রকম জ্ঞান থাকলে তো, ইনশা’আল্লাহ আস্তে আস্তে সব বুঝে যাবেন।
প্রিয় ভাই, শুনেন, দুনিয়াতে মানুষ বেশি ধরা খাবে হয়তো এ চাপা, মানে জিহবার অপব্যবহারের জন্যেই। তাই জেনে বুঝে এরপর আমাদের সকলের উপকার হবে এ রকম কমেন্টস করবেন।
আর নিজেদের ভিতর যদি আত্বীয়তা ছিন্নের এ বিষয়টি থেকে থাকে, তাহলে দয়া করে আমার মতো আপনারাও তাওবা ও এস্তেগফারের এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।দেখুন না, অমি কী পরিমাণ অপমাণিত হয়ে ও অর্থ-সম্পদ হারিয়েও তাওবা করার ও নিজেদের পরিবার ও বংশের সাথে মিশে যাওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছি, তা দেখতেই পেয়েছেন; তাহলে আমি যদি আজ আপনাদের অনেকের দৃষ্টিতে অপরাধী হয়েও, এ কাজটি করতে পারি; তাহলে আপনারা কেন পারবেন না? আপনাদের বিরুদ্ধেতো হয়তো আমার মতো এ রকম, অপরাধ বা কারো কোন নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গিও হয়তো নেই; তাই একটু আল্লাহকে স্বরণ করলেই হয়তো আপনারাও পারবেন। সুতরাং অনুগ্রহ পূর্বক চেষ্টা করুন। শুধু শুধু এস্তেগফার পড়ে, আর এস্তেগফারের বাস্তব ক্রিয়াকে অস্বীকার করে, আমার মনে হয় কখনোই এস্তেগফারের প্রকৃত ফলাফল মানে আল্লাহর ক্ষমা বা মাফ পাবেন না।
অতএব সমালোচনা বাদ দিয়ে আমাদের সকলের জন্য দোয়া করুন এবং নিজে ইয়া নফসি করুন, আর কেউ অত্যাচারিত বা মজলুম হলে, তবে তাকে যথা সম্ভব সাহায্য করুন। এ অনুরোধ আপনাদের সকলের প্রতি থাকলো।
অন্যদিকে আপনারা যারা এ পোস্ট সম্পর্কে বা আমার বিষয়ে কিছু লিখতে চান বা আমার আত্মীয়-স্বজন থেকে কোন কিছু প্রতিবাদ করতে চান, আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এই যে, আপনারা আমার মা বেঁচে থাকতেই এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য বা মন্তব্য পেশ করবেন। কারণ এরপর অনেক কিছুই হয়তো আর প্রমাণ করা সম্ভব হবে না।
আবার আপনাদের জানা উচিৎ, এতো দিনও আমি আসলে কারো প্রতি হিংসা করে এসব লিখিনি এবং কারো প্রতি আমার হিংসা ও শত্রুতা নেই। যেহেতু আপনারা অনেকেই জানেন আমার এ বিষয়টি জ্বীন গঠিত একটি প্রাকৃতিক কারণ হতে সৃষ্ট। জ্বীন আমার নিকট আসবে, থাকবে, তার ক্রিয়ায় আমি জর্জরিত হবো; অথচ যারা পুরো জ্বীন জাতিকেই অবিশ্বাস করে, তাদের সে ভুল ভাঙ্গানোর চেষ্টা আমি কেন করবো না বলুন? তাছাড়া একটা জাতিকে আমার রব সৃষ্টি করবেন; আর মানুষ গুলো তা অবিশ্বাস করবে, এ কী করে হয়? তাহলে আমি রবের প্রতিনিধি হিসেবে কী করলাম? রবের সৃষ্টিকেইতো মানুষের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিতে পারলাম না? যা স্পষ্ট আমার সাথেই ছিলো।
আবার পৃথিবীতে একটা জাতি বাস করবে; অথচ তাদের উপস্থিতি ও ক্রিয়া-কলাপের স্বীকৃতি মানুষ গুলা দিবে না; এটা কি কখনো যুক্তি সঙ্গত কথা? এ পৃথিবী কি শুধু মানুষের? মহান রব কি জ্বীনকে এ পৃথিবীতে বসবাসের অনুমতি দেননি? তাহলে আল্লাহর এক জাতি মানুষ হয়ে, আল্লাহর আরেক জাতিকে অস্বিীকার করবেন কেন? আর যদি অস্বীকারই না করেন, তাহলে বলুন জ্বীন জাতির ক্রিয়া-কলাপ, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি কী? আপনি কিভাবে তাদেরকে চিনতে পারেন? তাদের আবাস কোথায়? আমার মনে হয় কোন সঠিক উত্তরইতো আপনার জানা নাই। তাহলে আল্লাহকে ভালোবাসবেন, অথচ তাঁর সৃষ্টিকেই চিনতে চাইবেন না (?), এ কেমন ভালোবাসা?
এছাড়াও তাদের ক্রিয়া-কলাপের বিষয়েও মানুষের মধ্য থেকে অনেকেই অকারণে এবং না জেনেই তাদেরকে একচেটিয়া দোষারোপ করে যাচ্ছে, মনে হয় সংশ্লিষ্ট মানুষটির কোনই দোষ নেই; সব জ্বীনের দোষ। যা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে মানুষের পক্ষে কিছুতেই কাম্য ছিলো না। আপনাদের জানা উচিৎ ছিলো, মানুষের মধ্যে যেমন ভালো-খারাপ বা আলেম-বাঙ্গাল রয়েছে; তদ্রুপ জ্বীনদের মধ্যেও রয়েছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে, বেশির ভাগ মানুষই জ্বীনকে শুধুই খারাপ হিসেবে বিবেচনা করে। যে কোন খারাপ কাজে জ্বীনকে দায়ী করা হয়; কিন্তু কোন ভালো কাজে তাদের অংশীদারিত্বের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়। অথচ ভালো কাজ সমূহেও যে জ্বীনদের অংশীদারিত্ব থাকতে পারে, এ বিষয়টি যেন মানুষ বুঝতেই পারে না।
ফলে আমি তাদের স্বরুপ উম্মোচিত করতে চেষ্টা করছি এবং আমার আত্মীয় বিরোধী এতোদিনের লিখালিখির মূল কারণ ছিলো এটিই। আর এ কারণটির উপস্থিতি না থাকলে আমি হয়তো এভাবে লিখতামও না।
আপনারা সকলে একটু ভাবুনতো, আমার রব জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করলেন; অথচ এ বিশ্বের মানুষ গুলো সে জ্বীন জাতিকে চিনলোই না, বুঝতেই পারলো না; তবে আল্লাহর সৃষ্টিতত্ত্বকে নিয়ে ভাবার, গবেষণা করার, প্রচার ও প্রকাশ করার পবিত্র কোরআনের যে শিক্ষা ছিলো, তা কি অসম্পূর্ণ থেকে গেলো না (?) এবং কোরআনের নির্দেশণা অনুযায়ী আমার উদ্যোগকৃত এ কাজটি কী আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী নয়?
সে সাথে হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা:) নূরের তৈরী, না মাটির তৈরী; মানুষের মাঝে সৃষ্টি হওয়া দীর্ঘ দিনের এ বিতর্কের কিছুটা হলেও সমাধান আমার নিজের উপর গবেষণা চালিয়ে আমি কি দেয়ার চেষ্টা করতে পারি না? যারা আমাকে জ্বীন হিসেবে বুঝতে পেরেছেন, তাহলে আপনারা বলুন, আমি কি মাটির তৈরী (?), না আগুনের?; কেন জ্বীনতো আগুনের তৈরী? (শুধু সামান্য একটু হিন্টস প্রদান করলাম)।
এ জাতীয় বিষয় গুলো বুঝতে পেরেই মূলত আমি আমার সাথে থাকা সহযোগী জ্বীনকে নিয়ে আমার এ গবেষণা কর্ম আরম্ভ করলাম। আপনাদের কি এতে অংশ নেয়ার কোনই প্রয়োজন নাই? যদি প্রয়োজন আছে মনে করেন, তবে যারা আমাকে জ্বীন হিসেবে চিনতে পেরেছেন, তারা আমাকে জ্বীন মানব হিসেবে প্রচার ও প্রকাশ করতে থাকুন। আর তখনই আমি একটি গ্রহণ যোগ্য সূত্র পাবো, জ্বীনের বৈশিষ্ট্য কী, জ্বীনের স্বরুপ কী, মানুষের মাঝে আসলে জ্বীন থাকে কিনা ইত্যাদি বিষয় গুলো বিশ্বের মাঝে উপস্থাপনের ও প্রমাণের। তাই দয়াকরে আমাকে আর সুপ্ত বা গুপ্ত বা উপেক্ষিত রাইখেন না। বেশি বেশি শেয়ার করুন। সোস্যাল মিডিয়ায় এ পোস্ট শেয়ার করুন। আমি আশা করি আপনাদের নিয়্যাত অনুযায়ী এর মাধ্যমে আপনারা অনেক নেকি পাবেন।
আমার আরো একটি বিষয় আপনাদেরকে ক্লিয়ার করে দিই। দেখুন, আমি কিন্তু কারো দাওয়াতে যাই না, কারো দাওয়াত খাই না। কোন চায়ের দোকানে বা হোটেলে বা এখানে সেখানে বা কারো বাড়িতে কিছুই খাই না। শুধু আমার জন্য পৃথক করে রান্না করা খাবার বা নিজের কিনা ফল-মূল ব্যতীত, আমি আর অন্য কিছু খাবো না। আমার রাঁধুনি হবে শুধুমাত্র আমার স্ত্রী বা আমার মেয়েদের মধ্য থেকে বা ছেলে বা ছেলের বউ অথবা এ কাজে নিযুক্ত কর্মচারী। আমি কারো হাদিয়া, তাওফা, যাকাত, ফিৎরা, দান, সদকা ইত্যাদি কোন কিছুই গ্রহণ করবো না। শুধুমাত্র পারিশ্রমিক গ্রহণ করবো।
আমরা কাউকে হেয় করে বা নেগেটিভ কিছু ভেবে এ রকম সিদ্ধান্ত নিইনি। খাওয়া দাওয়া ও দান-সদকা নিয়ে আমাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত কেন নিলাম, এ বিষয়ে প্রয়োজনে পরবর্তীতে অন্যকোন প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো। আপাতত এটা আমাদের শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ স্বভাব হিসেবেই ধরে নেন।
ইনশা’আল্লাহ আমরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করবো। হ্যাঁ কেউ যদি আমাদেরকে দান করতে চান, তবে মাদ্রাসাকে দান করলেই তা আমাদেরকে দান করা হয়েছে বলে গৃহিত হবে। তবে এ ধরনের যে কোন টাকা শুধুমাত্র মাদ্রাসার জন্যই ব্যয় করা হবে এবং ইনশা’আল্লাহ আমরা এ টাকা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে কখনোই ব্যয় করবো না।
উপরোক্ত বিষয় গুলো প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আমলে নেয়া হবে। যখন দেখবো যে, আমার কাজের জন্য বা সু-স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে বিষয় গুলো প্রয়োজন; ঠিক তখন, যখন যে বিষয়টি প্রয়োজন তা ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
অতএব বর্তমানে এ বিষয়ে ফুল ইনক্রিমেন্ট করতে না পারলেও এবং কারো দাওয়াতে আপনাকে ইনশা’আল্লাহ বলে অসম্মান না করলেও; যদি আমি আপনার দাওয়াতে না যাই, এতে দয়া করে আমাকে আপনার প্রতি বেড মাইন্ডেড ভাববেন না।
এ প্রবন্ধটি লিখেছি ও প্রকাশ করেছি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, এর গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী এ এজেন্ট শাখায় যোগদানের প্রারম্ভে। চাকুরীটি পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন জনাব হাজী সওদাগর মো: হানিফ (নতুন বাজার, গোবিন্দপুর, ফেনী সদর এর মুদি ব্যবসায়ী)। আল্লাহু তা’য়লা তার এ মেহনত ও আমার প্রতি তার এ ধরনের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বকে কবুল করুন। আমিন।
কারণ যে মুহূর্তে আমি সকালে ৪টা রুটি হয়তো রং চা দিয়ে খেয়ে বাড়ি থেকে বেরুতাম; আর চাকুরী থেকে বাড়ি ফিরতাম প্রায় রাত ১০ টায়। দুপরে খেতাম বাড়ি থেকে নেয়া ৪টা রুটি ও ১ টা ডিম, আর হয়তো ২/৪টি কলা। কোনদিন হয়তো এ পরিমাণও খেতে পাইনি। দিতে পারছিলাম না ছেলে-মেয়েদের পড়া লেখার খরছ। সব মিলিয়ে দূ:স্ব ও কষ্টময় এক সময় অতিবাহিত করছিলাম। আর সে মুহূর্তে তিনি আমায় চাকুরীটার ব্যবস্থা করে দিলেন।
কিন্তু কথা সেটা নয়। কথা হচ্ছে আমি ইসলামী অর্থনীতি বাস্তবায়নের ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, বন্ধন সমিতি। আপনারা আমাকে অনেকেই, এমনকি আমার আত্মীয় স্বজনেরাও দেননি কোন ধরনের সমর্থন এবং মেনে নেননি সেটা মানুষের জন্য কল্যাণকর। এখন আমি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ লিমিটেড এর এজেন্ট শাখায় যোগদান করছি। আশা করি আপনারা আমায় বিরোধিতা করবেন না। কারণ মানুষ যেটা বিরোধিতা করে স্বাধারণত সে বিষয়টি আমি পারি না। যেহেতু আমি মানুষের জন্য নিবেদিত।
দেখুন, আপনার পরিবারেও কিন্তু আপনি যতই চেষ্টা করছেন, সবকিছু ইসলাম অনুযায়ী পারছেন না। আর ব্যাংক ছাড়া বর্তমান বিশ্ব একেবারেই অচল। তাছাড়া আকাশের ফেরশতাতো আর ব্যাংক চালাবে না। এছাড়া এখন দেশ ও বিশ্ব চলছে পুরোটাই সুদের উপর। এ অবস্থায় আপনি যদি এতো প্যাঁচ ধরেন, তাহলে ছাগল নিয়া পাহাড়ে বা বোনে যাওয়া ছাড়া উপায় আছে? হয়তো বলতে পারেন এটা জামাত ইসলামের ব্যাংক। কিন্তু আপনি জামাত ইসলামের কথা বলবেন কেন, তারাতো অবৈধ ভাবে এ দেশে ব্যবসা করছে না। আপনি ব্যাংকিং স্ট্র্যাকচারের কথা বলেন, ইসলামী ব্যাংকের কোথায় কোথায় সুদ বা অনৈসলামিক কিছু রয়েছে, তা বলেন। সরকারকে তারা কোন ফাঁকি দিচ্ছে কিনা, তা বলেন? এতে আমারও জ্ঞান হবে। তাই অনুরোধ করবো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর কার্যক্রম য়দি নাজায়েজ হয়, তবে কোথায় কোথায় বা কোন কোন পয়েন্টে নাজায়েজ, তা জানিয়ে আশা করি এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে কমেন্টস করবেন।
আবার অন্য একটি বিশেষ বিষয়েও অনুরোধ করতে মন চাচ্ছে, দেখুন, বর্তমানে আমার জরুরী অবস্থা হওয়ায়; যেহেতু ইবাদত করতে হলে আগে ভাত খেতে হয় এবং ঋণ পরিশোধ করা ব্যতিত ইবাদত করলেও রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর জানাজা পাওয়া যায় না (অর্থাৎ তিনি জানাজায় উপস্থিত থাকেন না, এ রকম অবস্থা) ফলে সাধারণ ও স্বাভাবিক ভাবেই মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়লেও এর সাওয়াব কিন্তু ঠিক মতো পাবো না বিধায় এবং ঋণদাতা কর্তৃক অপমাণিত হওয়ার ভয়ে বা আমি নিজকে নিজে অপরাধী সাব্যস্ত করে; এখন আমি মাঝে-মধ্যে বা অনেক সময় জামাত তরক করি বা মসজিদে যাই না। এছাড়াও বর্তমানে আমার কাছে টাকা নেই, কিন্তু জ্বীন আছে। তাই যেহেতু মানুষ টাকাকে মানে, সুতরাং আমার বর্তমান পজিশনটি একটি আন ব্যালেন্সিং ও অনেকটা অসুস্থ অবস্থা (মানুষের তামাসা চাওয়া বা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী)।
আমি মনে করি আমার এ অবস্থায় অসুস্থতার একটা কারণ উপস্থিত থাকায় এমনিতেই ইসলামী আইন মোতাবেক আমি জামাত তরক করতে পারি।
আর তাই জামাতে নামাজ পড়া এ বিষয়ে সর্বসাধারণকে আমি কথা দিচ্ছি জামাতে যাওয়ার, আমার এ প্রতিবন্ধকতা সমূহ একটু শিথীল হলে, তাহলে আমি আগের মতোই ৫ ওয়াক্ত নামাজ ইনশা’আল্লাহ মসজিদে গিয়ে বাই জামাত ও তাকবীরে উলার সহিতই পড়বো ইনশা’আল্লাহ।
আমার এ বিষয়টিকে পুঁজি করে আশা করি কেঊ মিসগাইড হবেন না বা এর কারণে কাউকে মিসগাইডও করবেন না। এবং যে সব ভায়েরা আমার (জ্বীনের) পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না বা পারেননি তাদেরকেও আশা করি বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হবেন ও ইসলামকে বুঝতে চেষ্টা করবেন।
তাই আমার এ বিষয়ে কেউ কাউকে মাসগাইড না করার বা আমাকে ভূল না বুঝার বিশেষ অনুরোধ থাকলো আপনাদের সবার প্রতি।
অতএব সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আমায় সর্বোত ভাবে সহযোগিতা করবেন এবং উপরের বিষয় গুলো মেনে নিবেন।।
তাহলে জেনে বুঝে আমাকে আর কষ্ট দিবেন না। যেহেতু আমার এখন প্রায় যায় যায় অবস্থা এবং যার জন্য আপনারাই বা এ সমাজের মানুষ গুলোই অনেকাংশে দায়ী।
৫.২। প্রবন্ধের বিষয় সম্পর্কে বিশ্লেষণ:
এ প্রবন্ধের লিখক হিসেবে প্রথমে আমি আমার নিজের বিষয়ে পর্যালোচনা করবো এবং সংশোধিত হওয়ার জন্য চেষ্টা করবো ও এরপর সমাজের দিকে দৃষ্টিপাত করবো ইনশাআল্লাহ।
যেহেতু মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে হলে বা বেহেশত পেতে হলে, আমাকে আপনাকে অবশ্যই আত্মীয়তা সম্পর্ক অক্ষুর্ণ রাখতেই হবে, এর কোনই বিকল্প নাই। আমরা মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিবো, অথচ মুসলমানিত্বের স্ট্রাকচার মানবো না, তাহলে তো আমরা প্রকৃত মুসলমান হতে পারি না।
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করে, আর শুধু নামাজ-রোজা পালন করে, প্রকৃত মুসলিম হওয়া যায়, অথবা বেহেশতে যাওয়া যায় (হিসাবের সাথে সাথে), মুসলমানদের জন্য ইসলামের কোথাও এ ধরনের কোন স্টেটমেন্ট বা অনুমোদন নেই। আর তাই মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ইসলামের শরয়ী বিধান মানতে হবে এবং এ বিষয়ে তাওবা এস্তেগফার আমাদেরকে করতেই হবে। সবাইকে ভালো করে মনে রাখতে হবে, শুধু নামাজ রোজার নামই ইসলাম বা মুসলিম নয়।
সেই হেতু আপনাদের জন্য আমার আজকের পরিবেশনা, আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, আমি আশা করবো আমার সাথে সাথে আপনারাও প্রত্যেকে নিজের ও আত্মীয় স্বজনের বিষয়ে আমার মতোই প্রচেষ্টা চালাবেন ও এ বিষয়ে ত্যাগ স্বীকার করবেন। আর আমি আমার আত্মীয়দের থেকে কী পরিমাণ আঘাত ও অবহেলার স্বীকার হওয়ার পরেও যেহেতু আমরা মুসলমান, তাই প্রকাশ্যে তাদের প্রতি আন্তরিকতা রাখার, প্রতিশ্রুতি দেয়ার ও তাদেরকে মিলিত হওয়ার আহবান জানিয়েছি, এভাবে আশা করি আপনারাও এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বা গ্রহণ করতে পারবেন।
দেখুন, মুসলমান হবো, অথচ আত্মীয়দের বদনাম করবো, তাদের বিষয়ে হিংসা ও শত্রুতা রাখবো, এটা কোন রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর ইসলাম নয়, এ জাতের ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ইসলাম নয় এবং এ জাতের মুসলমান গণ কখনোই প্রকৃত মুসলমান নয়।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.৩। তাওবা করুন, যদি আপনি মুমেন হন:
আসলে নিজেদের কর্মের বিষয়ে সংশোধন, ও মানুষকে কষ্ট দেয়ার বিষয়ে সংশোধন, এগুলোই হচ্ছে প্রকৃত তাওবা। মৌখিক তাওবা, এ জাতীয় প্রকৃত তাওবার স্বীকৃতি ছাড়া আর কিছুই না। সাই্যয়েদুল এস্তেগফার, আর যে এস্তেগফারই বলেন না কেন, এগুলো কোন তাওবা নয়; এগুলো হচ্ছে তাওবার একটি স্বীকৃতি বা সিদ্ধান্ত বা অনুতপ্ত হওয়ার কিছু মানসিক অবস্থা মাত্র। তাই আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে মনে হলে, আমার মতো প্রকৃত তাওবাই করতে হবে। আপনি এই মনে কইরেন না যে, মৌখিক ভাবে কিছুক্ষণ এস্তেগফার পড়লেই সব গুনাহ থেকে মাফ পেয়ে যাবেন। মনেরাখুন, কাল কেয়ামতে, আল্লাহু তা’য়ালার আদালত কর্তৃক একজন পাপী মুমেন আগুনে জ্বলার পরই কেবল মাত্র বেহেশতের উপযুক্ত হবে। আমি মনে করি ঠিক এখানেও বিষয়টি এ রকমই। এখানে আপনাকে প্রকৃত তাওবা করে নিজকে জ্বালিয়ে দেয়া ছাড়া অর্থাৎ ত্যাগ স্বীকার করা ছাড়া সংশ্লিষ্ট গুনাহ সমূহ থেকে মাফ পাবেন বলে মনে হয় না।
আবার এই মনে কইরেন না যে, আমি এখানে আপনাদেরকে এস্তেগফার পড়তে নিষেধ করছি অথবা এস্তেগফারকে অবমূল্যায়ন করছি।
আপনারা হাদিস থেকে বা কোরআনের আলোকে যে সব এস্তেগফার পেয়ে থাকেন, নতজানু হয়ে ও কায়মনোবাক্যে এগুলো পড়তে থাকেন। ইনশা’আল্লাহ মহান রব হয়তোবা তাৎক্ষণিক ভাবে অথবা একদিন না একদিন প্রকৃত তাওবার পথে হয়তো আপনাকে নিয়ে যাবেন এবং অকপটে তখন হয়তো আপনার চোখ থেকে পানি গড়াবে; নতুবা শরীরে জাগবে শীহরণ।
তাই আমাকে আপনাকে বুঝতে হবে যে, প্রকৃত ও বাস্তব তাওবা না করে শুধু মৌখিক তাওবার মাঝে কোন চূড়ান্ত ফলাফল বা গুনাহ মাফি বা সাওয়াব নেই।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.৪। অঙ্গীকার প্রদান:
আপনারা লক্ষ্য করেছেন, গত প্রায় ২ বছর যাবত সোস্যাল মিডিয়ায় আমি আমার নিজ আত্মীয় স্বজন ও প্রিয় মানুষদের, আমার প্রতি তারা অবিচার ও অন্যায় করেছে বা করে চলেছে, তাদের নিকট আমি অবহেলিত ও বঞ্চিত হয়ে আছি এবং উন্নতি করার কোন সুযোগই পাচ্ছি না; এ যাতীয় প্রবন্ধ প্রকাশ করে যাচ্ছিলাম। যার প্রমাণ আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছেন।
আজকের, মানে এ প্রবন্ধ প্রকাশের পর থেকে আমি আর এ ধরনের কোন পোস্ট সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করবো না ও এ বিষয়ে পাবলিস্ট করা আগের লিখা বা ভিডিও গুলাও ডিলিট করা হবে না ; এ বলে আমি আপনাদের সবাইকে অঙ্গীকার প্রদান করলাম।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.৫। আমি নির্দোষ এবং আমার আত্মীয়দেরকে সু-সম্পর্ক স্থাপনের আহবান:
আমার সে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্যে এবং এতো দিন যে প্রায় স্ব-বিরোধী বক্তব্য দিয়ে চলেছিলাম, তা আমার জন্যে আমার একটি বিশেষ কারণে অযুক্তিক বা অন্যায় হয়নি এবং এ বিষয়ে আমার আত্মীয়- স্বজনদের কাছে আমি দোষীও নই; এসব কারণে যদি কেউ (আত্মীয় বা অনাত্মীয় বা যে কারো মধ্য হতে) আমাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বা করতে চান, তবে তার বা তাদেরকে আমার যুক্তি খন্ডনের আহ্বান জানিয়ে ও আত্মীয়দের পরষ্পরের মাঝে ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে তথা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আহবান জানিয়ে আমার আজকের এ পোস্টটি পাবলিস্ট করা হয়েছে।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.৬। আমাকে দোষী সাব্যস্ত করতে চাওয়া ও এ বিষয়ে কমেন্টস করা:
দেখুন আমাকে যদি দোষী সাব্যস্ত করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
এ বিষয়ে আত্মীয় অনাত্মীয় বা বন্ধু শত্রু বলতে কোন কথা থাকবে না। কারণ এর আগেও আমি আমার কিছু পোস্টে বলেছিলাম, বিচারকের আসনে আমাকে আপনাদের কাছে নাস্তিকের মতো ও একধম একা মনে হতে পারে এবং যেখানে আমার আপন পর বলতে কেউ থাকবে না। আমার রব যেমন একা, ঠিক এ সময় গুলোতে আমিও একা। যে কারণে আপনারা লক্ষ্য করেছেন আমার এ বয়সেও আমি কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান করিনি বা শূধু একটি পরিবারের সদস্য হয়েও থাকতে চাইনি। যার কারণে ২০০১ সনে প্রথম যখন এ জ্বীন আমার মধ্যে প্রকাশিত হয় তখন থেকে আমি কাউকেই মানতে পারতাম না। আমার কেন জানি মনে হয়, বিচার কার্যে আল্লাহ যেমন একা, বিচারককেও হতে হবে সম্পূর্ণ একা। যেন তার কেউ নেই।
তাই এ সমস্ত কমেন্টস এর উত্তর দেয়ার সময় কমেন্টসকারীকে আত্মীয়-অনাত্মীয়, বন্ধু-শত্রু বা আপন-পর বিবেচনার প্রশ্নই আসে না। যেহেতু আমি যেখানে বাস করি, ঐ স্থানের প্রশাসনিক আইন মেনে চলা আমার উপর ওয়াজিব; তাই ন্যায় অন্যায়ের ক্ষেত্রে একমাত্র সরকারি বা দলীয় সমস্যা হতে পারে, এ রকম কিছু না হলে, তাহলে ন্যায় ও যুক্তিতে আমি কিন্তু কাউকেই ছাড়বো না।
অতএব জেনে বুঝে এরপর কমেন্টস করবেন। আমি জানি না বা বুঝি না বা আমাকে আবুল মনে করে (অনেকে যেভাবে মনে করেন হয়তো) অথবা সত্য মিথ্যা মিশিয়ে কৌশলে আমাকে ঘায়েল করতে চেষ্টা করবেন না। আমি যখন আপনাকে প্রতি উত্তর দিবো, তখন কিন্তু আমার বিরুদ্ধে আপনার বা আপনাদের কোন বাহুবল বা চাপার বল বা আপনার কোন ধরনের গ্রুপিং, অথবা অর্থ, ক্ষমতা কিছুই থাকবে না। ফলে আপনার উদ্দেশ্য বুঝতে হয়তোবা আমার বেশি দেরি হবে না।
তাই আপনার দোষ প্রকাশ করার ইচ্ছা আমার না থাকলেও যুক্তির খাতিরে অযথা আপনার থলের বিড়াল বেরিয়ে গেলে, সে জন্য পরে কিন্তু আমি দায়ি থাকবো না।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.৭। নিজ দোষের স্বীকারোক্তি ও আমাকে নির্দোষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া:
এতো দিন ধরে যাদের নামে আমার বিরুদ্ধে অবিচার, অবহেলা, অপবাদ, অন্যায় ও জুলুমের অভিযোগ সমূহ জনসম্মুখে প্রকাশ ও প্রচার করে গেছি, আপনারা যদি নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়ে আমাকে নির্দোষ হিসেবে সাক্ষ্য দেন, তবে এ পোস্টের কমেন্টস বক্সে বা অন্য যে কোন মিডিয়ায় বা ফিজিক্যালি ভাবে কাছের কিংবা দূরের যে কোন মানুষের কাছে আমার পাবলিস্ট করা এ সব পোস্টের বিষয়ে ও আমার বিষয়ে কোন ধরনের বেড কমেন্টস (ভাষায় কিংবা আকার ইঙ্গিতে) করার প্রয়োজন নাই। আপনাদেরকে অসম্মান করতে আমি চাই না।
আপনাদের লা কমেন্টসই প্রমাণ করবে আমি নির্দোষী এবং আপনাদের নীরবতাই আমাকে নির্দোষ হিসেবে প্রমাণ করতে ও এ বিষয়ে আপনাদের দোষ স্বীকারোক্তি মূলক স্বাক্ষ্য প্রদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.৮। আমার অবস্থান ও আমার আত্মীয়দের প্রতি আহবান:
আর যদি তাই হয় তবে আসুন আমরা পরস্পর মিলে যাই, ভুলে যাই সমস্ত হিংসা বিদ্বেষ। মুছে ফেলি অতীতের সমস্ত পাপ পঙ্কিলতা। সমস্ত হীনমন্যতা।
অবশ্য আমি এতোদিনও আপনাদের সকলের প্রতি আন্তরিকই ছিলাম (মেঝভাই, বড়ভাই, জেঠাত ভাই এবং সকল আত্মীয়ের প্রতিই। কারণ আমার প্রয়োজন আমার রবের, রবের নিকট মাথা নোয়ানো। আর রবকে পেতে হলে আপনাদের সাথে আমার সু-সম্পর্কই থাকতে হবে, দূ:সম্পর্ক নয়। তাই সত্যিই আপনাদেরকে এতো বা এভাবে বেড মাইন্ডেড বিবেচনায় আমার কোন লাভ ছিলো না।) যা আপনারা হয়তো বুঝতেন না। মানুষকে আমার প্রকৃত বিষয় সমূহ জানানো (যেহেতু মানুষ ভূল বুঝে যাচ্ছিলো) এবং আমার জীবনের স্বরণীয় এ দিন গুলিকে স্মৃতি বন্ধি করে রাখা, যদিও আমার একটা উদ্দেশ্য ছিলো, তবুও মূলত আমি অন্য একটি বিশেষ কারণেই আসলে এভাবে একের পর এক লিখে যাচ্ছিলাম। বিশেষ করে এ বিশেষ কারণটি উপস্থিত না থেকে আর যে কারণই উপস্থিত থাকতো না কেন, তাহলে হয়তো কখনোই আমি এভাবে লিখতে পারতাম না।
তবে আল্লাহর রহমতে কারো প্রতি কোন মিথ্যা কথা লিখিনি বা কোন মিথ্যা ঘটনার বর্ণনাও আমি দিইনি। এবং আমি নিজেও কোন ধরনের অভিনয় করিনি।
কারো প্রতি কোনই হিংসা বিদ্বেষ আমার ছিলো না। সত্যিই যদি হিংসা বিদ্বেষ থাকতো, তবে একজন মুসলিম হিসেবে এভাবে আমি ওপেন আমার নিজ আত্মীয় স্বজনের, আমার প্রতি আরোপিত দোষের বিবরণ সমূহ সোস্যাল মিডিয়ায় লিখে যেতাম না বা লিখতে পারতামও না। ঈমান নামের যে আত্মীক শক্তি, এ পরাশক্তি কখনো আমাকে এভাবে লিখতে দিতো না।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.৯। জ্বীন প্রমাণে আত্মনিয়োগ করা:
দেখুন ইনশা’আল্লাহ পরবর্তীতে যখন জ্বীন প্রমাণে আত্মনিয়োগ করবো, তখন এ বিষয়ক বিজ্ঞানী বা এ সংশ্লিষ্ট ভায়েরা মনে কইরেন না যে, এগুলো আমি বা আমার আত্মীয়-স্বজন বা আন্তরিক মানুষ গুলো সবাই মিলে অভিনয় করেছি এবং বৃথা আমাকে দোষারোপ কইরেন না যে, আমি জ্বীন হিসেবে একের সাথে অন্যকে লাগিয়ে দিয়ে ইচ্ছে করেই একটি নাটক তৈরী করেছি। আপনারা আমার আশে পাশের মানুষদের থেকে খবর নিলে দেখতে পাবেন এগুলোর সব গুলোই সত্য এবং একজন মুমেন জ্বীন হিসেবে আমার এ রকম কোন বৈশিষ্ট্য হতে পারে না যে, আমি এ রকম করতে পারি।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১০। নিজ অপকর্মের দায় এবং নিজ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে এভাবে লিখে যাওয়ার মূল কারণ:
দেখুন, আসলে মানুষের বেহেশত মানুষই কামায়; মানুষের দোযখ মানুষই অর্জন করে; এতে জ্বীন জাতিকে বা ইবলিশকে দোষ দিয়ে বা একজন মানুষ অন্য মানুষকে দোষ দিয়ে, মানুষদের পার পাওয়ার কোনই সুযোগ নাই।
আমি যে বিশেষ কারণে এভাবে লিখে যাচ্ছিলাম, সে কারণটির ইনপুট আশা করি ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি। তাই স্পর্শকাতর ও ইসলামের আম দৃষ্টিতে নিন্দনীয় হিসেবে নিজ পরিবার, বংশ, আত্মীয় স্বজন ও প্রিয়জনদের বিরুদ্ধে কোন মিডিয়াতেই ইনশাআল্লাহ আর কিছু লিখবো না। তবে এ বিষয়ে এ পর্যন্ত যা প্রকাশিত হয়েছে, তাকে পুঁজি করে ও এ পোস্ট গুলোকে মোডিফাই করে, দুনিয়াতে যে জ্বীন জাতি রয়েছে এবং আমি যে একজন জ্বীন মানব, এ বিষয়টির প্রমাণ স্বরুপ পরবর্তীতে ইনশা’আল্লাহ এ পোস্টগুলোর সাহায্যেই একটি বই লিখবো ও তা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সমূহে জমা দিবো।
আমার উদ্দেশ্য, মহান আল্লাহ মানব জাতি ও জ্বীন জাতি, এ ২ জাতি স্মৃষ্টি করেছেন; এ ২ জাতির মধ্যে জ্বীন জাতির বিষয়ে যারা অবিশ্বাসী, তারা যাতে পবিত্র কুরআনের এ সত্যবাণীতে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। তারা যাতে অকপটে বলতে বাধ্য হয়, আল কুরআন সত্য বলেছে। মূলত এটিই ছিলো, মানে এ উদ্দেশ্য সাধনে ইনপুট কালেকশানই ছিলো, নিজ আত্মীয় স্বজন ও প্রিয়জনদের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ মূলক এ সত্য ও বাস্তব পোস্ট সমূহের মূল উদ্দেশ্য।
আসলে আমার আত্মীয় স্বজনকে ঘায়েল করা, যদিও সত্য হয়, তবুও এ হীন ও শয়তানী উদ্দেশ্য কখনোই আমার ছিলো না। তবে তারা যাতে আর আমাকে মানুষের কাছে অপমানিত করে বা আর দাবিয়ে রাখতে না পারে, মানুষ যাতে প্রকৃত অবস্থাটি বুঝতে পারে, এ পোস্ট গুলি পাবলিস্ট এর ক্ষেত্রে এ উদ্দেশ্যটিও ছিলো।
আবার যা আমার দীর্ঘ দিনের কষ্টের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও চিহ্নিত ছিলো।
আর আমি এভাবে যদি মানুষকে জানানোর উদ্দেশ্যে এ পোস্ট গুলো না লিখতাম, তাহলে আমর উপর অপমানের যে স্টীম রোলার চলছিলো; তা হয়তো আরো বৃদ্ধিই হতো; কিন্তু থামতো না। আর আপনারা আমাকে পাগল হিসেবেই হয়তো আজীবন জানতেন। যেহেতু আমার বংশ থেকে আমাকে উত্তোরণের কোন সুযোগতো হয়তো দিতোই না; উপরন্তু আমাকে মানসিক রোগী হিসেবে এবং কর্ম সম্পাদনে অযোগ্য হিসেবেই পরিচয় দিয়ে যেতো হয়তো চিরদিন। আর আপনারাও বুঝতেন না, যেহেতু আপনারা আমাকে দেখেছেন যে, হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতে গিয়ে আমি মানসিক রোগি হিসেবে বাড়ি ফিরি এবং বার বার আমাকে মানসিক রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।অপর দিকে আমার অর্থ-সম্পদও নেই। তাছাড়া মানুষ আল্লাহকে যতটুকু না ভয় পায়, তার চাইতে হাজারো বা লাখো গুণ বেশি ভয় পায় মানুষকে বা মানুষের জানতে পারাকে বা সমাজকে। আর আমার বংশীয় সদস্য গণও হয়তো এর চাইতে ব্যতিক্রম নয়। তাই লিখার মাধ্যমে উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে মানুষকে জানাচ্ছিলাম। আশা করি মুল কথা গুলো ইতিমধ্যে আপনাদেরকে জানানো সম্ভব হয়েছে।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১১। আমার আত্মীয়দের সকলের প্রতি পরিবর্তনের আহবান ও সকলের প্রতি আবেদন:
আমার আত্মীয়-স্বজনদেরকে আমি কথা দিচ্ছি, যদিও এখানে সেখানে চাপাবাজি বা গলাবাজি মার্কা এ রকম কোন অভ্যাস আমার নেই, তবুও আবারো বলছি, আপনারা একটা সিস্টেমে পড়ে ও সে কারণে আমি গরীব হয়ে যাওয়ায় আমার প্রতি যে অবহেলা, বঞ্চনা ও জুলুম করেছেন, তা আমি আর কোথাও বা নিকট ও দূরের কারো কাছেই বলবো না এবং আপনাদের (আমার আত্মীয়দের সকলের) বিরুদ্ধে আমার কোন মান অভিমান, ক্ষোভ বা অভিযোগ আর কিছুই থাকবে না। যদি আপনারা এ বিষয়ে তাওবা এস্তেগফার করতে পারেন, তখনই কেবল আমাকে এ বিষয়ে ১০০% হ্যাঁ বোধক দেখতে পাবেন।
আবার আপনাদেরকে এ বিষয়ে ইসলামের অনুগত না পেলেও বা আপনারা পরিবর্তীত না হলেও , যেহেতু আমি মুসলিম; তাই ইসলাম ও মুসলিমকে আর কলন্কৃত বা খাটো করতে আমি আর পারবো না বিধায় আমি এ ধরনের কোন লিখা আর কোথাও লিখবো না বা আপনাদেরকে খাটো করার জন্য যেখানে সেখানে এ ধরনের কথা আমি আর বলবো না। তবে এ সুযোগের কৌশলগত ব্যবহার করে আগের মতো এখানে সেখানে বা আপনার বা আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বা রিলেটেড পার্সনদের নিকট আমাকে আর মানসিক রোগী বা পাগল পরিচয় দিয়ে বা আপনাদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টিতে আমার দোষ ছিলো, আর আপনারা নির্দোষী অথবা বেয়াদব পরিচয় দিয়ে দয়াকরে আমাকে আর কালারিং ও অপরাধী করে রাইখেন না।
তবে আপনাদের সকলের নিকট আমি দোয়ার দরখাস্ত করি, এই বলে যে, আমি যেন টাকা ইনকাম করতে পারি। কারণ আমার আত্মীয় সহ আমার রিলেটেড সকলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও জাতীয় অবস্থা অনেক ভালো এবং সমাজে যেভাবে আমার কাছে টাকা পাবে, এতে এ অবস্থায় অর্থ ইনকাম ব্যতীত, আপনার বা আপনাদের সাথে বা সমাজেও আন্তরিক ও সম্মানী ভাবে মিলা মিশা হয়তো আপনারা সেভাবে মেনে নিবেন না; অথবা এ অবস্থায় আমার পরিবার কিংবা আমার বংশের সাথেও হয়তো ঐভাবে আর মিশতে পারবো না; যদি না ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারি। তাই এ বিষয়ে সকলের প্রতি দোয়ার দরখাস্ত রইলো।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১২। আমার প্রতি মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি:
ইসলামের প্রাথমিক যুগে সার্টিফিকেট চিন্তা করা হতো না; মানুষকে বিবেচনা করা হতো, মানুষের কর্মকে বিবেচনা করা হতো। ফলে আমাদের চার ঈমাম সহ কিছু উঁচু স্তরের মানুষ পৃথিবীতে তাদের কর্ম সম্পাদন করে পৃথিবীকে আলোকিত করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে এমন এক অবস্থা ভালো কর্ম গিয়ে দুরে থাক, সার্টিফিকেট আর চেয়ার বিহীন এখন আর মনে হয় ভালো ইবাদতও করা সম্ভব না।
আমি বহু উঁচু মানুষকেও দেখেছি, প্রথমে আমাকে যথেষ্ট সম্মান করছে। কিন্তু যখনই সে বুঝতে পারলো আমার টাকা নেই, ক্ষমতা নেই, আমি আলেম নই; ঠিক তখনই, মানুষকে অবহেলা আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অহংকার এবং অপমান কী কী ভাবে করতে হয়, সে ভালো করেই তার আচরণের দ্বারা সে আমাকে বুঝিয়ে দিলো।
আপনাদের ভালো করেই জানা আছে, আপনাদের এ ভাইটি যা বলে, ঠিক তাই করে। মুখের কথা ও কর্মের মধ্যে আমার কোনই পার্থক্য নাই। যেহেতু একজন মুসলিম মুখে যা বলবে, কর্মে ঠিক তাই করবে; নতুবা সে প্রকৃত মুসলিম হতে পারবে না। অতএব এ বিষয়ে যেহেতু আপনারা দোষী, তাই আমাকে পরীক্ষা না করে পরিবর্তনের প্রমাণ আপনাদেরকেই দেখাতে হবে; এটিই যুক্তিযুক্ত এবং এ বিষয়ে তাওবা এস্তেগফার করবেন, আপনাদের নিকট থেকে এটিই আমি আশা করছি।
কিন্তু এখনো আমি দেখতে পাচ্ছি, আমার প্রতি বা আমার জ্বীনের প্রতি কোনই আন্তরিকতা আপনাদের নাই। যেন এখনো আমি শুধুই আপনাদের প্রতিপক্ষ। অবস্থা এমন যে, আমার কাছে টাকা হলে সবাই চুপসে যাবেন; আর টাকা না হলে আমাকে ইদুরের গর্তে ঢুকিয়ে দিবেন। আমি জ্বীন, আর তাই যেন জ্বীন মানুষের এক নাটক দেখছেন শুধু। যেন শুধুই খেল তামাসা!! আর আপনাদের মানসিকতায় আমি যেন আপনাদের সেই খেল তামাসা আর অযোগ্যতার পাত্র। বাস্তবে এখনো আমি আপনাদের নিকট যোগ্য, সম্মানী আর আন্তরিক হতে পারিনি!! আসলে সব সমস্যার মূল এখানেই।।
আর আমিও রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর হাদিস অনুযায়ী আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারি না। যেহেতু আমার বেহেশত প্রয়োজন!!
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১৩। আজকের এ প্রবন্ধ প্রকাশের মূল উদ্দেশ্য:
সকলে মনে রাখবেন, আমার আজকের এ উদ্যোগ (এ পোস্টটি প্রকাশের) শুধু এ জন্য যে, আমরা মুসলমান। বিশ্বাস করুন, এখানে দুনিয়াবী কোন উদ্দেশ্য নেই।এটা কেবলমাত্র মুসলমানিত্বের উদ্যোগ ছাড়া আর কিছুই না। হয়তো অনেকে বলতে পারেন, এতোদিন খেয়াল ছিলো না তোমার এ বিষয়টি।
আমার এতোদিনের প্রকাশিত এ জাতীয় প্রবন্ধগুলো কেন যৌক্তিক হবে না, আমি সে বিষয়ে প্রবন্ধের নিচের দিকে এর কারণ দর্শিয়ে মুসলিম সমাজের নিকট এর যুক্তি পেশ করেছি। দয়া করে সেখান থেকে এ বিষয়টি পড়ে নিবেন। তাই পড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন, সমাজের প্রায় শতভাগ মানুষ যেমন, বেঁচে থাকার তাগিদে বা প্রতিপক্ষ বা জুলুমবাজ থেকে হেফাজতে থাকতে অথবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অথবা অর্থ ও ক্ষমতা অর্জন করতে বিভিন্ন গ্রুপিং, লোবিং ইত্যাদিতে জড়িত হয়ে একটা নিরাপত্তা বা বাহুবল বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয় এবং পরিণামে মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা কিছুকে সাপোর্ট দেয়া, সত্য মিথ্যায় মিশ্রিত করা বা মানুষের বৈধ হককে নাহক করা এবং এভাবে করতে করতে এক পর্যায়ে সত্য-মিথ্যা নির্ণয়ের জ্ঞান পর্যন্ত লোপ পাওয়া এবং কারো পেটে কিংবা মাথায় লাথি দেয়া ও একই সাথে প্রয়োজন হলে আবার সেজদা দেয়া; দারিদ্রের কষাঘাতে পরাস্থ হয়ে, আমার এ উদ্যোগটি হয়তো এ ধরনেরই উদ্যোগ।
হয়তো আমার আত্মীয়দের বা নিকটজনদের কেউ কেউ এটা চেয়েছিলেনও যে, যেহেতু মানুষ সাধারণত হিজরত বিহীন বৈধভাবে নিজ রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়ের অমতে বা বিপরীত ক্রমে তাদের সাথে বা নিকটে থেকে বৈধ অবৈধ কোন কিছুতেই সাকসেস করতে পারে না; সেই হেতু এ আত্মীয়দের সকলের অসহযোগিতা ও বিরোধিতার মুখে অন্ন বস্ত্রের এবং বেঁচে থাকার কঠিন সংগ্রামে তাদের নিকট একদিন না একদিন সালেন্ডার করবো ও তাদের নিকট থেকে সহযোগিতা পাওয়ার কারণে আর বলবো না হয়তো আমার বিরুদ্ধে আরোপিত তাদের কোন অপকর্ম।
যদিও আমার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা এখন একেবারেই শোচনীয়, তথাপি আমার এ উদ্যোগটি এ ধরনের কোন উদ্যোগ নয়।
আমি আমার আত্মীয়দের, আমার প্রতি আরোপিত অপকর্ম আর বলবো না বা তাদের বিরোধিতা করবো না; তাদের প্রতি সালেন্ডার করে নয়; এটি শুধুমাত্র ইসলামী স্ট্রাকচারের কারণে; আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সা:) শতভাগ মেনে চলার কারণে।
অতএব যারা মনে করছেন, বা সান্তনা খুঁজছেন এ বলে যে, গ্রুপিংতো আর কারো সাথে করছি না; নিজ পরিবার ও বংশের সাথে করছি; আমার নিজ পরিবার ও বংশের নিকট একধরনের কৌশলগত আত্ম সমর্পন বা সালেন্ডারই এটি; তারা আমাকে আসলে ভূল বুঝেছেন।
আবার হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন, আত্মীয়দের বিরোধিতা করে, তাদেরকে মান্য না করে, বরং তাদের ভূল ধরে, তাদের আকিদা ও আমলকে গ্রহণযোগ্য না করে এবং তাদেরকে প্রধান হিসেবে মেনে নিয়ে তাদেরকে অনুস্বরণের মাধ্যমে জগতে প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি মেনে না নিয়ে, আজ আমি ঠিক মতো ভাতও খেতে পারছি না এবং সীমাহীন দারিদ্রতায় ভূগছি ও পদে পদে আমার চরিত্র বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী অসম্মানিত হয়ে চলেছি এবং আমার কোন ব্যাকগ্রাউন্ডের ভয় না থাকায় বাহিরের মানুষ যে যা বলছে এবং বলতে পারছে; এসব আর সহ্য করতে না পেরে, দুনিয়ার প্রতি সালেন্ডার ও আত্মহনন মূলক এবং খাওয়া, পরা ও সম্মান এগুলো যে আল্লাহু তা’য়ালা প্রদত্ত, এ বিষয়টির প্রতি বীত শ্রদ্ধ হয়ে, পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা মুলক এটি একটি কৌশল গত পোস্ট।
অথবা হয়তো যেহেতু আমি আমার আত্মীয়দেরকে মান্য করিনি, তাই তারাও হয়তো পণ করেছে, আমি কোন্ রাস্তা দিয়ে কিংবা কার সহযোগিতা নিয়ে বের হবো, সমাজে পরিচিত হবো তারাও দেখে নিবে এবং হয়তো তারা সকলে ঐক্যমত হয়ে জোট বেঁধেছে যে, আমাকে কেউ সহযোগিতা করবে না, বরং শুধু দাবিয়ে রাখবে; যেহেতু আমি তাদেরকে মান্য করিনি; যেহেতু আমি জ্বীন!! তাই তাদের নিকট পরাস্থ হয়ে, সম্মানিত ভিউয়ার, আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন যে, এ জন্যে আজ আমি কৌশল গত এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার এ উদ্যেগটি (আত্মীয়দের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ার আহবান ও তাদের বিরুদ্ধে আর কোন ধরনের নেগেটিভ পোস্ট পাবলিস্ট না করা), আমার আজকের এ সিদ্ধান্তটি এ ধরনের কোন উদ্যোগ নয়। যারা আমাকে ভালো করে চিনেন ও জানেন, তারা বিষয়টি বিশ্বাস করবেন এবং নিশ্চয় বলবেন এ মানুষ অসত্য আর আন পিউর ইসলামের নিকট মাথা নোয়াবার মানুষ নয়।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১৪। আমার এ পরিস্থিতির কারণ কী বা আমার কী হয়েছিলো এবং এতে আমার আত্মীয়দেরকে মান্য করিনি বলতে আসলে আমি কী বোঝাতে চেয়েছি:
আর যারা আমার বিষয়ে একেবারেই জানেন না তাদেরকে সংক্ষেপে, আমার কী হয়েছিলো বা আমার আত্মীয়দেরকে আমি মান্য করিনি বলতে আসলে আমি কী বোঝাতে চেয়েছি, সে সত্য ও বাস্তব ঘটনার সংক্ষিপ্ত সার সংক্ষেপ, আপনাদেরকে জানানোর ও বোঝানোর স্বার্থে নিম্নে পেশ করছি। যেহেতু বিষয়টির পুরোটাই মানসিক ও ইতিহাস এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান নির্ভর; তাই বিষয়টির গভীরে পৌঁছে তত্ত্ব, তথ্য ও ডাটা কালেকক্ট করে গবেষণার মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করবো।
৮ ফেব্রুয়ারী ২০০০ সনে আমার কর্ম জীবনের শুরুতে সর্ব প্রথমে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (শিক্ষক) হিসেবে বিএড বা সিনিয়র স্কেলে যোগদান করি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর, নারায়ন গঞ্জ- এ হাইস্কুলে। উঠি স্কুলের পাশেই একটি লজিংয়ে। সেখানে চারদিকে আমার যা সুনাম ছড়িয়েছিলো তা বলে আর লাভ নেই। প্যান্ট-শার্ট, বুট জুতো এবং মাঝে মধ্যে টাইও মনে হয় পরেছিলাম। এসব আমি আসলে বলতে চাইনি। কিন্তু দুনিয়া এগুলোকেই মূল্যায়ন করে; যদিও আমি এখন আর এগুলোকে মূল্যায়ন করি না। বরং অনেক ক্ষেত্রে এগুলোকে পাপ মনে করি।
২০০১ সনে হঠাৎ করে আমার উপর জ্বীনে আসর করে। ফলশ্রুতিতে ধর্মের দিকে অতিরিক্ত ভাবে নিবিষ্ট হতে থাকি। হাটহাজারী মাদ্রাসায় ফতোয়া চেয়ে প্রশ্ন প্রেরণ করি যে, ছেলে-মেয়ে একসাথে হাইস্কুলে পড়াই, এ চাকুরী কি আমার জন্য হালাল? মরহুম ক্বারী বেলায়েত উল্যাহ সাহেব (দা. বা.) উনার সাথে দেখা করি। সহীহ্ ভাবে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষা শুরু করি পাশের নূরানী মাদ্রাসায়। মসজিদে নামাজ বিহীন শুধু শুধু সেজদায় রত থাকি দীর্ঘ সময়। মানুষজন আমাকে ফলো করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আমি কাউকেই যেন মানছিলাম না। সকলের মধ্যেই যেন একটা পাপের ছোঁয়া অথবা সকলকেই যেন আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে লক্ষ্য করতে থাকি। কাউকেই যেন বন্ধুরুপে মানতে পারছিলাম না; কেবলমাত্র হুজুর শ্রেণী ব্যতীত। আমার অজান্তেই আমি নিকটস্থ বিভিন্ন মানুষের কথা-বার্তা, ভাব-ভঙ্গিমা, আকার-ইঙ্গিত ইত্যাদি ফলো করতে থাকি।
সমাজে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোক থাকায় তারা সন্দেহে পড়ে যায়, আমি আসলে তাকে কেনো ফলো করছি। তার বা তাদের কি কোন এন্ট্রি পার্সন বা পার্টি তাহলে আমি? পড়ে যাই বিভিন্ন গ্রুপিং এর রোষানলে।
বিভিন্ন মুখি পরীক্ষায় ও কালারিংয়ে লোপ পেতে থাকে আমার দুনিয়াবী জ্ঞান। আমার দিকে অধিক হারে বিভিন্ন মানুষের উদ্দেশ্য মূলক কথা প্রেরিত হওয়ায় কোনটি রিয়েল ভাবে আমার সাথে কথা বলা, আর কোনটি আমার নিকট উপমা নির্ভর কিছু জানতে চাওয়া, এসবের সঠিক উত্তর আমি দিতে পারছিলাম না। কারণ চারদিকের সব মানুষের জ্ঞান যেমন আমার কাছে ছিলো না; ঠিক তেমনি সবাইকে সন্তুষ্ট করার মতো উত্তরও আমি দিতে পারছিলাম না বা ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারছিলাম না, যেহেতু সবারই দৃষ্টি আমার দিকে, সবাই অনেকটা একযোগেই উদ্দেশ্য মূলক ইঙ্গিত ছাড়ছে আমার দিকেই; যেহেতু সবাই আমাকে ফলো করছিলো। এতে কেউ বুঝতো, আর কেউ ভূল বুঝতো। আবার যে আজকে আমায় বুঝেছে, দেখা গেলো সেই দু’দিন পর ভূল বুঝেছে। তখন আমার যে কী কষ্ট হতো, সেটা আমিই বুঝতাম আর কেউ না।
তাছাড়া জেনারেলি ও নেচারেলী আমি মুখ ব্যতীত আকার-ইঙ্গিতে ভাবের আদান প্রদান বিষয়টিতে একেবারেই অনভিজ্ঞ ছিলাম। অথচ মানুষ মুখের কথা বাদ দিয়ে আকার ইঙ্গিতকেই সত্য মনে করে। মুখ যে মিথ্যা বলে, এটা যেন তাদের একটা কমন নলেজ।
ফলে চারদিকের সকলের জানতে চাওয়ার সঠিক উত্তর না দিতে পেরে, আমি তাদের নিকট যেন একটা ক্রীড়নকে পরিণত হলাম। যে যার মতো মন্তব্য করতে থাকলো আমাকে নিয়ে। এককান দু’কান করে পুরো সমাজ ভরে গেলো সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত এসব গীবত-চোগলখুরী বা তাদের দৃষ্টি ভঙ্গিতে। নিকটে আপনজন বলতে কেউ ছিলো না। একজন শিক্ষক হিসেবে যা আমাকে সীমাহীন অপমাণ ও যন্ত্রণা দিতে থাকলো।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
এভাবে করে মানুষের যন্ত্রণায় ব্রেণ আরো নিম্নমুখী হয়ে গেলো। মানুষ দেখলো আমি কারো সিদ্ধান্ত, কারো নেতৃত্ব এবং কারো বন্ধুত্ব মানি না। তখন তাদের কেউ কেউ বুঝে নিতে থাকলো আমি হয়তো তাদের এন্ট্রি পার্টির কেউ একজন হবো এবং শুরু হতে থাকলো অত্যাচারের ভিন্ন মাত্রা। আমার দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে তাকানো, ব্যাঙ্গার্থক বা অপমাণ ও যন্ত্রণা দায়ক ভাষা, আকার-ইঙ্গিত ও শব্দ দিয়ে তারা আমার শায়েস্তা করতে শুরু করলো। অথচ আমি তাদের সন্দেহের কিছুই ছিলাম না; আমি তাদের কোনই হুমকি ছিলাম না।
দেরী হলেও একপর্যায়ে তাদের অনেকে বুঝতে শিখলো, এটা আসলে আর কিছু না; এটা দুষ্ট জ্বীন বা স্যারের উপর আসমানি কোন কিছুর প্রভাব পড়েছে। বিষয়টি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মিটংয়ে স্কুলের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি কোটিপতি (আনুমানিক) জনাব এম এ ওহাব সাহেব (মহান রব তার উপর রহমত বর্ষন করুন) বলেই ফেললেন, তোমাকে আধ্ম্যাত্বিকতায় ধরেছে। তুমি অমুক পীরের কাছে গিয়ে ৬ মাস থেকে আস। থাকা খাওয়া সব ফ্রি করে দিবো। আমিও সেখানে যাই। তুমি ভালো হয়ে যাবে। আমি রাজি হলাম না। এরপর তিনি বললেন, তুমি বিয়ে করবে? এতেও আমি রাজি হলাম না।
অবশেষে মানুষের বিভিন্নমুখি যন্ত্রণায় অতীষ্ট হয়ে, একপর্যায়ে চাকরী ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
আমার তখন দুনিয়াবী জ্ঞান অনেকটাই ও পরবর্তীতে পুরোটাই মনেহয় লোপ পেয়েছিলো। আমি আমার শরীরে অবস্থান রত ২য় কোন কিছুর ইচ্ছা ও শারীরিক শক্তিতে যেন চলতে লাগলাম। রাস্তায় নামাজ পড়া শুরু করতাম। কোরআন তিলাওয়াত সকালে শুরু করলে বিকালেও মনে হয় ছাড়তাম না। বিভিন্ন ধরনের মাছনুন দোয়া কোনটাই যেনো আর ছাড়ছি না।
সহীহ্ ইবাদতের জন্য শুধু ইচ্ছা শক্তি হলেতো হবে না; উপযুক্ত জ্ঞান ও সুস্থ মস্তিষ্কও লাগবে। মানুষের যন্ত্রণা এবং ২য় কোন উচ্চমানের শক্তিকে নিজ শরীরে বহন; এ দুয়ের ভার সহ্য করতে না পেরে আমি দিনের পর দিন অসুস্থ হতে থাকি।
এদিকে আমার ভাই-বোন বা আরো যারা রয়েছে কারোরই নিয়ন্ত্রন যেন মানছিলাম না এবং তাদের কারো কর্মকে বা তাদের কাউকে সহীহ্ মানুষ হিসেবে, তাদের সব কথা মানা যায়, এ রকম আমি কাউকেই মানছিলাম না।
এ ক্ষেত্রে এসে কেউ আমাকে ভূল বুঝবেন না প্লিজ। দেখুন আমার মতো মানুষ হয়ে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষকে মান্য করা, বড়দের একবারেই অনুগত থেকে সত্য-মিথ্যার জ্ঞান পর্যন্ত বুঝতে চেষ্টা না করা; বড়রা যা বলে বা আলেম সমাজ যা বলে হুবহু তা পালন করার মানুষ আমি ছাড়া জগতে খুব একটা আছে বা ছিলো বলে আমার জানা নাই। এখানেও আপনারা দেখতে পেয়েছেন আমার উপর জ্বীনের এ আসর হওয়ার প্রায় ২০ বছর পর আমি তাদের প্রতিবাদ করেছি; তাদের প্রতি অনুগত থাকার কারণে এ দীর্ঘ সময় ব্যাপী আমি তাদের মনোভাব টুকুও বুঝতে পারিনি। যেহেতু আমি তাদেরকে অতি সম্মান করতাম, তাই তাদের হিংসাত্মক বা বৈরীতা মূলক বা দূর্বিসন্ধি মূলক এ ব্যবহার গুলো আমি কখনো বুঝতাম না। যেহেতু অতি ভালোবাসা, অতি আবেগ, অতি ভক্তি ও ভয় থেকে মানুষের জ্ঞান লোপ পায়। তাই হয়তো আমিও বুঝতে পাইনি।
মুদি দোকান দিয়েছিলাম নতুন বাজারে, বড় ভাইকে বহু দিন অনুরোধ করতাম, যে ভাইয়া আমার দোকানে একটি বারের জন্য আসেন। প্রায় ২ বছরের মতো দোকানদারী করলেও কোনদিন আমার ভাই আমার দোকানে যাননি। আমার দোকান থেকে কিছু কিনেননি। এতে আমি নিরবে বসে ভাবতাম, ব্যাপার কী, আমার ভাই আমার দোকানে আসে না কেন? এমনকি আমার দোকান থেকে তাদের জন্য কেউ কিছু নিলে, তারা তা ফিরিয়ে দিতো। তখন আমি এর মানে বলতে কিছু বুঝতাম না।
তারা কি বলতে পারবে এতো হিংসার কারণ আসলে কী ছিলো? তাহলে এ বিষয়ে এখন অপনাদের সকল সমর্থক সহ একযোগে উত্তর দিন, আমি যদি তাদেরকে নাই মানতাম বা অপমান করতাম বা যদি আমি তাদের প্রতি বেয়াদব ছিলাম, তাহলে এ দীর্ঘ সময় ব্যাপী আমার উপর এতো অত্যাচার ও ঝুলুম করা হলো, আমি কোন খারাপ ব্যবহার গিয়ে দূরে থাক, টু শব্দটি পর্যন্ত বললাম না কেন? আমার জ্বীন কেথায় গেলো, কেন তাদের ভয়ের কারণ হয়ে হাঙ্গামা বাজিয়ে দিলাম না?
এভাবে যদি আপনাদের হক, আপনার ভাই না দিতো বা তাদের হকও যদি আমি না দিতাম বা প্রাপ্য হকে বাধা দিতাম, সে ক্ষেত্রে আপনারা কী করতেন অথবা তারা আমাকে কী করতো? বলুন? সঠিক উত্তর দিবেন? এরপরও আমি কেন তাদের সকলের নিকট বেয়াদব হয়ে গেলাম। তাহলে আমাদের কাউকেই সে মানে না, এ কথাটি উঠে আসলো কেন?
এই, আমার ভায়েরা সহ আজকে আপনারা সমাজে কিংবা পরিবারে যারা বড় বা ক্ষমতাবান আছেন, তারা কি পৈতাধারী ব্রাক্ষ্মণকে যেমন বুডো নাপিতের সেজদা করার বিধান আছে হিন্দু ধর্মে (শুনা কথা অনুযায়ী, সত্য হতে পারে, আবার নাও হতে পারে); আপনারা কি আসলে আমাদের নিকট এ রকম সম্মান বা মান্যতা চান? আর আমরা তা না করলে, এবার আপনাদের গড়া বা অনুগত সমাজে আমাদেরকে অমান্য করি বলে বা বেয়াদব বলে লেলিয়ে দেন? আমাদের এ সমাজ এবং এ দেশের অন্তত একজন ব্যক্তি আমাকে বলুন, আমার এ ৪৭ বছর বয়সে আপনাদের কারো সাথে কোন ধরনের বেয়াদপি আমি করেছি (?) অথবা কোন বড় মানুষকে মানিনি বা অসম্মান করেছি? অথবা কোন শিশু কিংবা নারীর উপর অত্যাচার কিংবা জুলুম করেছি? ইনশা’আল্লাহ একজনেও বলতে পারবেন না। অবশ্য সঙ্গত কারণে আমার কাছে এখন অনেকে টাকা পাবে। তাহলে আমি আপনাদের কাউকেই মানি না; এ কথার কী অর্থ দাঁড়ালো?
হ্যাঁ, সত্য ও ন্যায়ের ক্ষেত্রে আমি কাউকেই মানি না। মিথ্যার সঙ্গে কখনো আমি আপোষ কিংবা মাথা নত করতে পারি না। মূলত এই হলো আপনাদেরকে না মানতে পারার সঙ্গা আমার।
বিশ্বাস করুন, শুধু বাবার পরে ভাই, ভাই আমার রক্তের বাঁধন, এ ধরনের অতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে, অতি মান্যতার কারণে কোন দিন বুঝতে পারিনি, আমার ভাইদের মনে (জ্বীন থেকে সংঘঠিত বা উদ্ভব) এতো হিংসা বা আমার বিষয়ে এতো নীল নকশা ছিলো।
তাছাড়া আমি কাউকে মানতাম না বা মানি নাই বা আমি বড়, তারা ছোট, এ বিষয় গুলো ঘটেছিলো আসলে আমার বেহুশি থেকে, আমার অবচেতন মন থেকে। আমিতো আপনাদেরকে আগেও জানিয়েছি; অনেকদিন আমার অতিবাহিত হয়েছে আমার শরীরে অবস্থিত ২য় কোন বহি:শক্তি থেকে। আমি ছিলাম সেখানে অনেকটেই মৃত ও বন্ধী। আর জ্বীনও এ রকম করেছিলো হয়তো তাদেরকে তার (জ্বীনের) পরিচয় প্রদানের উদ্দেশ্যে।
আর আমার ভায়েরাতো একটু বেশি বুদ্ধিমান, অনেকটা মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবকে হত্যা করতে গিয়ে তাঁর ছোট শিশু সন্তান রাসেলকেও যে হত্যা করে ফেলেছিলো হায়নারা, ঠিক সে রকম।
তো আমার আত্মীয়-স্বজন মনে করলো, যেহেতু এ বহি:শক্তিকে তাড়াতে পারছি না এবং যেহেতু সে আমাদের কাউকে মানে না; তাই ভবিষ্যতেতো এ হয়তো আমাদের জন্য ভয় হয়েও দাঁড়াতে পারে সে।
তাছাড়া মানুষের অবচেতন মন, অচল ব্রেন অবস্থায় মানুষের ক্রিয়া ঐ মানুষটির প্রকৃত ক্রিয়া।
এ বোধ থেকে তারা আমায় তাদের প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করে। না হয় তাদেরকে আমার অমান্যতা, এটি আমার নিজ বুঝ-জ্ঞানে কখনোই করি নাই।
এবার একটু ভিন্নভাবে আপনাদেরকে বোঝাই, আমার ভাইদেরকে যখন বলি, আপনারা নামাজ মসজিদে পড়বেন। তারা আমার প্রতি রাগ করে বলে আমরা মসজিদে যাবো না। ওদেরকে যখন বলি আপনারা দাঁড়ি রাখবেন, ওরা বলে, দাঁড়ি আর টুপিই শুধু ইসলাম নয়। তাছাড়া শুধু এক ভাই ব্যতীত আর কারো কোরআন তিলাওয়াতও সহীহ্ নেই। কিন্তু তিনিতো তখন ঢাকায় থাকতেন।
তাহলে তাদের পিছনে একতেদা করে, তাদেরকে ঈমাম মেনে, আমি কি আমার নিজের নামাজ সহ নষ্ট করবো? যেহেতু আলহামদুলিল্লাহ আমার কোরআন তিলাওয়াত সহীহ্ ছিলো।
তবে তাদেরকে বড় আমি কিভাবে মানবো বলেন?
প্রকৃত মান্যতার যোগ্যতা কি তাদের রয়েছে? তাদের প্রতি আমার অমান্যতা বলতে আসলে, তাদেরকে আমি ধর্মীয় ভাবে ঈমাম হিসেবে মানতে পারিনি। যেহেতু ইসলাম মানেই হচ্ছে ফুল কোড অব লাইফ। তাই জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্তকে আমি কিভাবে মেনে নিবো?
দেখুন, তাদের কাউকে মানলে, সে বানাবে আমাকে জামাতে ইসলাম। আবার কাউকে মানলে সে বানাবে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; আবার কেউ বানাবে বিএনপি। তাহলে আপনারাই বলুন, এ জ্বীনকে পেয়ে তারা তো খুশি হবে; কিন্তু আমি কিভাবে তাদেরকে মানবো। আমার কি স্বকীয়তা বলতে কিছু থাকবে তখন? আবার তাদের চাপে পড়ে, হয়তো তাদের অনুগত থাকলাম; কিন্তু আমার স্বকীয়তা বিনষ্ট হওয়ার কারণে আমি কি কোন কার্যক্রম চালাতে পারবো?
আর এমনিতে বড় ভাই বা ভাবী হিসেবে আমি কি কখনো তাদের কাউকে অমান্য করেছি? ইনশা’আল্লাহ তাদের কেউ বলতে পারবে না। বরং তারা আমাকে এ বিষয়ে আবুল মনে করে, যেহেতু আমি অতি ভক্তি করি। যেমন বাবার জমি ভাগ করে দেয়ার সময়, যারা শালিস ছিলেন, তারা আমার জন্য যুক্তি সঙ্গত ভাবে বাবার জমিতে আমার অংশ দাবী করলেন। আর আমার ভাই বেঁকে বসলেন যে তিনি দেবেন না। শালিসকারী ভাইও শক্ত হলেন তিনি ছাড়বেন না; কারণ এটি যুক্তি সঙ্গত। অনেক ক্ষণ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলো। এমতাবস্থায় আমি বললাম ভাইকে দিয়ে দেন; আর বাবার নির্ধারিত গ্রাম্য শালিস ভাইটি অপমাণিত হলো। তাহলে আমি তাদেরকে মানলাম না কোথায়? তাদেরকে অতি মানতে গিয়ে বাবা কর্তৃক অনুরোধকৃত আমার পক্ষীয় সালিস ভাইকে পর্যন্ত আমি অপমাণিত করেছিলাম।
আল্লাহ মাফ করুক, আসুন, ধর্মীয় ভাবে তাদের কী পরিমাণ আমল আখলাক বা কী পরিমাণ ধর্মীয় জ্ঞান রয়েছ, আর আমার কী পরিমাণ রয়েছে, তা যাচাই করা যাক (সঙ্গত কারণে কথাটা লিখেছি, আমি নাকি কাউকে মানি না?) আগেইতো বলেছি, যেহেতু আমি তাদেরকে নামাজের ঈমাম মানতে পারিনা, তাই তাদের কাউকে জীবনের ইমামও মানতে পারবো না। এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।
আশা করি তাদেরকে কেন মানতে পারিনি, বা কেন মানতে পারবো না; তার একটি ধারনা আমি সবাইকে দিতে পেরেছি।
অন্যদিকে অবচেতন অবস্থায় আমার ভাব এমন ছিলো যে, তারা আমাকে মানবে, আমাকে অনুস্বরণ করে চলবে; আমি তাদের কাউকে মানবো না, আমি তাদের চাইতে বড়, তারা আমার চাইতে ছোট। এ রকম বড়-ছোট আর নেতৃত্ব নিয়ে চলছিলো একটা মনস্তাত্বিক দন্দ ও সংঘাত। আমি তাদেরকে মান্য করতে পারবো না বা করবো না; এ রকম দৃঢ় একটি অবস্থান আমার।
অথচ আমার সুস্থ হওয়া এবং বেড়ে উঠার জন্য কাউকে না কাউকে মেনে চলা তখন আমার জন্য জরুরী ছিলো।
তখন (যেমন বৃষ্টির সময়, উদ্দেশ্যমূলক ভাবে) অনেকে দুষ্টমি করে এভাবেও বলছিলো যে, তুমি আমার ছাতার তলে আস। ধরো আমার ছাতা নিয়ে বেরোও। আমি আছি তোমার সাথে। যা আমার স্পষ্ট মনে আছে।
আর চারদিক থেকে আমার ভাই-ভাবী, ভাতিজা-ভাতিজী ইত্যাদি সবাই শুধু জ্বীন তাড়াতে গিয়ে বা জ্বীনের বিরোধিতা করতে গিয়ে কী পরিমাণ ব্যাঙ্গার্থক, অপমান জনক শব্দ, কথা ও ব্যবহার করেছিলো, তার উদহারণতো এখন আর আমি আপনাদেরকে দিতে পারছিনা। এককথায় আমাকে তারা নাছিয়ে ছাড়ছিলো অনেকটা।
এ প্রসঙ্গে আমার জেঠাতো ভায়ের বিষয়ে অল্প একটু কথা বলি; আচ্ছা ভাই, তুমিতো আমার সহোদর ভাই না; জেঠাতো ভাই; ঠিকনা? প্রত্যেক মানুষ তার অধিকার অনুযায়ী আরেক জনের উপর তার নের্তৃত্ব ও ক্ষমতা প্রয়োগ করে; ঠিক আছে?
তুমি কোন্ অধিকারে (শুধু একদিনের উদাহরন) আমাকে রশি দিয়ে একটি রুমে (আমার সহোদর মেঝ ভাইর ঘরের), যে রুমের বিদ্যুতের সুইচবোর্ডও খোলা ছিলো; এ ধরনের একটি রুমে রাতের প্রায় ২টা/৩টা পর্যন্ত বেঁধে রেখেছিলে?
অন্যদিন তোমাদের ঘরে যখন ঘুমিয়ে ছিলাম, আর ঘুম থেকে উঠে দেখি, পবিত্র কোরআন শরীফ আমার জুতার উপর। জুতা পরার সময় আমার চোখে পড়ছে বিধায়, না হয় আমি তো হয়তো (নাউজুবিল্লাহ) পা দিয়ে……?
এছাড়া বিভিন্ন কথা-বার্তায় আমার সাথে এতো মাতবরী স্বভাব কেন ছিলো তোমার?
এইতো সেদিনও তুমি বললে, বাড়িতে বেশি উৎরাইয়ের আমি। জোর গলায় আমাকে বললে, তুই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা। বল, (যদি সাহস থাকে তবে কমেন্টস করবে ও প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে) আমার প্রতি তোমার কি এ ধরনের কোন অধিকার রয়েছে যে, তুমি এ ধরনের কর্কশ ভাষায় আমাকে যে কোন নির্দেশ দিতে পার (?) বা শারীরিক বা মানসিক ভাবে আমার উপর এতো জোর খাটাতে পারো? আমার উপর যে জোর-জবরদস্তি আমার নিজ ভায়েরা করেনি; তার চাইতে আমার মনে হয় কয়েক শত গুণ বেশি জোর তুমি প্রয়োগ করেছিলে?
এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে তুমি আমাকে বুঝিয়ে বলবে, আমার প্রতি তোমার এতো মাতবরী মার্কা অভিভাবকত্ব এবং এতো শারীরিক ও মানসিক বল প্রয়োগের মূল কারণ কী ছিলো?
এই, আমি যখন এপেন্ডিসের যন্ত্রণায় মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে এবং বাধ্য হয়ে তোমাদেরকে ডেকেছিলাম তুমি কি তখন বেরিয়ে এসে ছিলে? আস নাই।
আবার বল, তোফায়েল ভাইদের থেকে আমাদের ৩ ভায়ের নামে কিনা জমিতে আমার মেজ ভাই যখন দখল দিচ্ছিলো না আমায়; তখন তোমাকে ভালোবাসি বলে, তোমার কাছে পরামর্শ চেয়েছিলাম; আর তুমি বললে, ঐ জমিটি তাকে ফেরত দিয়ে দিতে। কারণ হিসেবে তুমি বললে ওটা কেনার সময় আমি ছাত্র ছিলাম; আমি ওটা কেনার আমার পক্ষের টাকা আমি দিতে পারিনি; তাই তাকে হয় ফেরত দিয়ে দিতে হবে, নতুবা টাকা পরিশোধ করতে হবে।
তোমার কথা শুনে আমি যেন, আকাশ থেকে পড়লাম।
তুমি ইসলামি আন্দোলন কর, তাই তোমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বলি, তোমার কথা যদি সত্য হয়; অর্থাৎ তাকে এ জমি ফেরতই দিতে হতো, তাহলে কেন আমার সে ভায়ের নিকটই ঐ জমিটিই পরবর্তীতে বিক্রি করে আমি প্রায় পোনে ৪ লক্ষ্য টাকা পাই।
তাহলে তুমি এতো বড় একটা মিথ্যা মিসগাইড আমাকে কেন করছিলে?
তাহলে এবার বল উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে রিলেটিভস বা বন্ধুত্বের দাবী বা কোন্ সূত্রে , তুমি আমার প্রতি অভিভাবকত্বের এ রকম অবৈধ মাতবরী করতে পারো? কোন সূত্রেই পার না। তাহলে আমার প্রতি তোমার উদ্দেশ্য কী ছিলোরে ভাই? আমার জীবনী শক্তি শেষ করে দেয়া? তোমার নিকট ভিতু করে রাখা? আমার ক্রিয়েটিভ ক্ষমতাকে খর্ব ও পঙ্গু করে দেয়া? তাহলে কী উদ্দেশ্য ছিলো?
বর্তমানেও আমি তোমাকে দেখলে যথেষ্ট ভয় পাই। আমার দিলে কম্পন ধরে, তোমার সামনে আমার ক্রিয়েটিভ ক্ষমতা লোপ পায়। সেই যে ঘটনা গুলো ঘটলো ২০০১ কিংবা ২০০২ অথবা ২০০৩ সনের মধ্যে। আজো তুমি যেন আমার নিকট একটা ভয়ের কারণ হয়ে রইলে। অবশ্য ঔষুধ খাওয়াইয়া আমাকে বেদমা বানিয়ে কয়েকবার হুজুরের সাথে দাওয়াত করেছিলে। যাতে তোমাদের মূল উদ্দেশ্য গুলোতে যখন আমাকে বেদমা দেখতে পেলে তখন আমি যেন এ বিষয়টি সহা হয়ে যাই। কিন্তু আল্লাহর কি মহিমা হয়নি তো।
দেখিয়ো সময়ের ব্যবধানে আমি হয়তো পূর্বের যে আরিফ উল্যাহ ছিলাম, বরং তার চাইতেও হয়তোবা আরো ভালো হয়ে যাবো ইনশা’আল্লাহ।
আমার তো মনে হয় তোমার মধ্যেও একটি উগ্র জ্বীন রয়েছে। হয়তো তোমার বয়সের সাথে সাথে তা দূর্বল হচ্ছে। তুমি কি জানো সেটি?
না হয় তোমার সাথে কথা বলতে আমার জ্বীন আমাকে তোমার পায়ের দিকে তাকাতে বাধ্য করে কেন? বিষয়টির ব্যাখ্যা কি? শুধু যে তোমার ক্ষেত্রে এটা ঘটে তা নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই এটা ঘটে। কিন্তু তাদের অর্থটাতো পরিষ্কার। তাদেরকে আমার জ্বীন সম্মান করে হয়তো তাই। কিন্তু তোমার ক্ষেত্রেতো বুঝি না আমি। তোমাকে ভয়ও পাবো, তুমি আমার ক্রিয়েটিভ ক্ষমতা পর্যন্ত বিনষ্ট করে দিবে। এর পর আবার সম্মানও করবো (এ বিষয়ে)? এমনিতেতো তুমি আমার বড় ভাই হিসেবে অবশ্যই আমার কাছ থেকে সম্মান পাবে। কিন্তু কথা বলছিলাম শুধু এ একটি বিষয়ে।
বল, আমার জ্বীনের সাথে কি কোন মিতালি আছে তোমার? বন্ধুত্ব আছে? আমার তো মনে হয় আমার জ্বীনের সাথে তোমার বন্ধুত্ব আছে।
তাছাড়া আমার দৃষ্টিতে তোমার সাথে একটা জ্বীনের অস্তিত্ব পেয়েছি। তবে ভেঙ্গে পড়ো না, তোমার জ্বীনটাও খুব একটা খারাপ বলে মনে হয়নি।
তোমার বা তোমার জ্বীনের বিরুদ্ধেও দৃষ্টি নামক কিছু বিষয়ে মানুষ অভিযোগ করে। যাক এর বেশি বলবো না। শুধু বলবো চিন্তার কোন কারণ নাই, এগুলো দুনিয়ার জীবনে মানুষের জন্য সুস্পষ্ট পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই না।
যাক এতো কিছুর পরেও আমি সব ভূলে গেলাম। যেন আমার সাথে তোমার বা তোমাদের কারো সাথে কিছুই হয়নি। তবে মাতবরীর মানসিকতা ছেড়ে দিয়ে আমার প্রতি কোমল ও সু-দৃষ্টি দাও।
আর আমি যেহেতু পরিবর্তনের অঙ্গীকার দিয়েছি; তাই আশা করি তোমরাও অতীতের সব কিছু ভূলে যাবে। দেখো, তোমাদের ছেলেদের দিকে তাকিয়ে আমি কিন্তু চাচা-ভাতিজা হিসেবে শ্রদ্ধা-স্নেহের ভঙ্গিতে কথাই বলতে পারি না অলরেডি। আর তুমি কিনা আমার সাথে মাতবরী মার্কা অভিভাবকত্বের ধ্বজা উড়াও!! ভূলে যাবে এসব; ঠিক আছে?
হে বুদ্ধিমান ব্যক্তিগণ উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী পুরো অবস্থা বুঝে নিয়ে এরপর বলতে পারেন, আমার মানসিক, শারীরিক ও জ্ঞান-বুদ্ধির কী অবস্থা হয়েছিলো তখন!!?? হ্যাঁ এ অবস্থা সহ্য করতে না পেরে দু’বার বাড়ি ছেড়ে ছিলাম। একবার চট্টগ্রাম চলে গিয়েছিলাম। আরেকবার ভারত চলে যাবার উদ্দেশ্যে প্রায় বিলোনিয়া থেকে ফিরে আসি। নাহ্ পাগল হয়ে অন্যান্য পাগলদের মতো চিরদিনের জন্য রাস্তায় থাকতে হয়নি আমাকে। নিজে নিজেই আবার বাড়ি চলে আসি।
আর আমার এ অবস্থাটি ঘটে ছিলো অনেকটা আমার অবচেতন অবস্থায়।
তাহলে আমার কী দোষ, বলুন? তাহলে কেন আমি আজ আমার কোন কাজেই তাদের কাউকে এমন কি আমার স্ত্রীকেও পাই না? কারণ ঘরোয়া রাজনীতির অংশ হিসেবে এবং আমার কাছে টাকা না থাকায় তার (আমার স্ত্রীর) এই লেয়াজু অবস্থান ছিলো।
শুধুই আমার সাথে জ্বীন আছে বা একটি প্রাকৃতিক শক্তি রয়েছে; তাই সবারই ভয় কখন কাকে কী করি।
নিশ্চয় বুঝলেন, এই হলো আমার অবস্থা এবং ভূল বুঝা-বুঝির কারণ। যার মূল সমস্যা ঈমানের দূর্বলতা এবং যার বহি:প্রকাশ জ্বীন ও টাকা ছাড়া আর কিছু না। যেহেতু জ্বীন থাকায় তারা আমার মনের অবস্থাটি তাদের জ্ঞান ও ঈমান অনুযায়ী বুঝতে পারছেন না। তাই আমাকে থাকতে হচ্ছে অনেকটাই তাদের সন্দেহ ও ছলনার মধ্যে।
অপরদিকে জ্বীন থাকায় আমার কী অবস্থা হচ্ছে তা তারা বাদই দিলেন; কেবল লেগেছেন, তাদের স্বার্থ ও রিপু অনুযায়ী জ্বীনের সাথে।
অন্যদিকে আমার অবচেতন অবস্থায় তারাও বুঝতে শিখলো, এটা আসলে এ বাড়ির কেউ নয়; এ বাড়ির যে, সে আসলে প্রায় মৃত, অর্থাৎ জ্ঞান শূন্য। এ বাড়ির মানুষ, আমরা যাকে দীর্ঘ দিন থেকে চিনি ও জানি, সে কোনদিন আমাদের সাথে এ জাতীয় পার্টিচিপেট করতে পারে না। এতো জ্ঞান ও এতো সাহস এ মুহূর্তে তার কোন দিনই হওয়ার নয়।
ফলে তারাও নিশ্চিত হলো এটা আসলে জ্বীন জাতীয় কিছু। এবং যেহেতু তাদের কাউকে মানছি না, তারাও সকলে মিলে শুরু করলো আমাকে তাড়ানোর নিষ্ঠুর কতগুলো প্রক্রিয়া।
এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের তাবিজ খাওয়া, গলায় এক বস্তা (অনেক গুলো) তাবিজ ঝুলানো, তাদের কঠোর নিয়ন্ত্রণ, আমাকে বিভিন্ন ধরনের শব্দ দ্বারা আক্রমণ, চোখের ইশারায় আক্রমণ, আমাকে দীর্ঘক্ষণ কোরআন পড়তে না দেয়া, দীর্ঘ নামাজ পড়তে না দেয়া, বিভিন্ন দোয়া কালাম পড়তে বাধা দেয়া, বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ খাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১৫। আমার প্রতি আমার বড় ভাই গণের ও অন্যান্যদের দূরত্ব ও হিংসা সৃষ্টির প্রধান কারণ:
কোনকিছুতেই তারা আমাকে (জ্বীনকে) তাড়াতে পারছিলো না। এদিকে আমাকে তাড়াতে গিয়ে বিভিন্ন মুখি মানসিক যন্ত্রণা দেয়ার কারণে যখন ব্রেণ আরো নিম্নমুখী হতো তখন নাঙ্গলকোট মানসিক হাসপাতালে বন্ধী করে, এদিকে বাবাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আমার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বাবার কিছু জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়ে গেলো আমার মেঝ ভাই (*অবশ্য ঐ ভাবে আমি তার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছি না। যেহেতু তিনি যদি আমাকে আমার ব্রেনের এ রকম যায় যায় অবস্থায় চিকিৎসা চালিয়ে না যেতেনে, তাহলে হয়তো আমার আরো ভারী বিপদ গড়তে পারতো। যেহেতু আমার সাজেশান অনুযায়ী আমাকে তো আর ঘর করে দেয়নি কেউ। এছাড়া আমাকে বুঝে উঠার আগে, পৃথক ঘর করে দেয়া মানুষদের জন্য তা স্বাভাবিকও ছিলো না। এছাড়া দুনিয়াতে কে কার ভাইয়ের জন্য নিজের টাকায় হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করবে। তাছাড়া পরবর্তীতে তিনি আমার বিয়ে-সাদি, বাড়িতে মাটি ভরাট সহ অনেক গুলো কাজে আমার পক্ষের ফুল টাকা তিনি প্রদান করে ছিলেন। এছাড়া আমার চিকিৎসা চালানোর সময়েও তিনি আন্তরিক ভাবেই চালিয়ে ছিলেন। তার এতো গুলো গুণের মাঝে আমি আবার তাকে কিভাবে দোষারোপ করবো)। যা অনেকটা এতিমের মাল দখলের মতো। কারণ যেহেতু জমিগুলো বাবার নামীয় ছিলো, তাই হয়তো সম্ভব হয়েছিলো। সরাসরি আমার নামে হলে হয়তো তারা কখনো এভাবে সাহসও করতো না। আর এভাবে চিকিৎসাও করতো না। কারণ বাবার ইন্তেকালের পর আমার যেবার এপেন্ডিসের জন্য অপারেশন হলো, তখন রোগ যন্ত্রণায় মাটিতে শুয়ে কেঁচোডের মত গড়া-গড়ি আর চিৎকার দিলেও আমার কোন ভাই ঘর থেকেও বের হয়নি। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ জমি বিক্রির সাথেই আমার সাথে আমার আত্মীয়-স্বজনের হিংসা ও শত্রুতার গভীর কারণ গুলোর সূত্রপাত শুরু হলো।
এতে ঘটনার ভিন্নরুপ নিল। মেঝভাই বাবার নামীয় জমি রেজিস্ট্রি করলো। কিন্তু বড় ভাই এতে দ্বিমত পোষণ করলো, তার যুক্তি ছিলো, জমিগুলো ভাগ করে শুধু আমি যা পাবো, তা থেকে বিক্রি করতে। কিন্তু বাবা এতে রাজি না হয়ে মেঝ ভাইকে তার বিচার বা যুক্তিমত দামে বাড়ির বাহিরে বাবার কিছু (যা আছে তার প্রায় অনেকটাই) জমি দিয়ে দিলো। জমি কেনায় বঞ্চিত হলো বড় ভাই, আর এ দিকে আমিতো অটো ভাবে বিরোধীতা করেই যাচ্ছি এবং এতে বড় ভাই শুরু করলো আমার বিরুদ্ধে হিংসা ও শত্রুতা। যে হিংসা ও শত্রুতার প্রতিফল সম্পর্কে জানতে চাইলে, আমার অন্যান্য পোস্ট গুলো পড়ে সেখান থেকে জেনে নিতে হবে।
যেহেতু তিনি প্রাইমারি স্কুলের রিটার্ড প্রধান শিক্ষক। তার ছেলে-মেয়ে ও জামাতা প্রায় সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং সামাজিক অবস্থানও তার অনেকটাই সমৃদ্ধ, ফলে সমাজে বেঁচে থাকা আমার জন্য যেন হুমকি হয়ে দাঁড়ালো। যেহেতু একদিকে যেমন মানুষের সত্য-মিথ্যা বুঝার সুযোগ ছিলো না; ঠিক তেমনি মানুষ আসলে আল্লাহর ইবাদতের চাইতে সমাজপতি বা পরিবার বা বংশ প্রধান, এদেরই পূজা করে বেশি। স্মরণ করুন মানুষ স্বভাবত: যদি পূর্বপুরুষ ও সমাজের পূজা না করতো, মানুষের মধ্যে এতো দল-বিদল, এতো ধর্ম ও এতো মতাদর্শের উদ্ভব হতো না। যার ফলে তার এবং তাদের রিলেশান গত কারো নিকট আমি আর পজেটিভ থাকতে পারলাম না।
সম্মানিত ভিউয়ার এবার নিশ্চয় আমার সাথে আমার ভাইদের হিংসা ও শত্রুতার সূত্রপাত কোথায় ও কেন?, এর মুল পয়েন্ট আপনাদের বুঝে এসেছে।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১৬। আমার স্ত্রী প্রসঙ্গে কিছু কথা ও এ বিষয়ক কিছু ধারণা:
এক্ষণে আমার স্ত্রীর বিষয়েও তাকে ২/১ টি কথা উদাহরণ স্বরূপ বলতে চাই। দেখ, এ প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের জন্য এ ঘর দিয়েছিলাম মানুষের কল্যাণে। কিন্তু আমার ভায়েরা বিবিরোধিতা করলো অনেকটা তাদের স্বার্থে। আর তুমি তাদেরকে বুদ্ধিমান মনেকরে এ বিষয়টি সহ পরিবারের যে কোন কাজে আমাকে এবোয়েড করে তাদেরকে মেনে নিতে; ফলে প্রতিষ্ঠান এবং ঘরের বিষয়ে আমার সন্তান গুলোও এখন আমায় দোষারোপ করছে।
ধরো বিভিন্ন মূর্তিময় শিশু-খেলনা আমি পছন্দ করতাম না। কিন্তু আমি বাহির থেকে এলে এগুলো কি অন্তত সরিয়ে রাখতে তুমি? রাখতে না। জিজ্ঞাসা করলে উচ্চ আওয়াজে বলতে, এগুলো অমুকের মেয়ের। বাহির থেকে আসা মেজাজে এবার কিছু বললে হয়ে যেতাম আমি দোষী। তারপর ধর, ঘরে ঢ়ুকতে এবং বের হতে আমি সালাম বিনিময় করতাম। প্রায় ১৪ বছরেও পারিনি, তোমাকে এ বিষয়টি শেখাতে। আর এখন আমার মেয়ে মাদ্রাসার বই বহন করে, হয়তো ১/২ রোল নাম্বারে পাশও করে। কিন্তু বাড়ির কেউ এ আমল গুলো করে না বিধায়, আমার আদরের ছেলে মেয়ে গুলাও আর আমি যে শিক্ষা দিয়েছি সে রকম হয় না। এছাড়া তোমাকে হাজারো বলি পর্দা মানো; বড় ভায়েরা দেখে মতো তাদের সামনে যেও না, সময় মতো নামাজ পড়ো; সেখানেও একরাজ্যের শীথিলতা তোমার।
তুমি স্ত্রী ছিলে আমার। থেকেছো খেয়েছো আমার ঘরে; আমার টাকায়। অথচ সম্মান করতে তাদের। কথা মেনে নিতে তাদের। আমার ন্যায্য পাওনাতে কখনো তাদের কাউকে কিছু বলতে না। আর আমাকে করতে অবহেলা। জ্ঞানের স্বল্পতায় বলো, আর বেঁচে থাকার তাগিদেই বলো না কেন; তাদের সাথে করেছো গ্রুপিং আর লেয়াজু। যা আমাকে চরম ভাবে আঘাত করতো।
ফলে এ রকম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমি তোমার বিরুদ্ধেও লিখেছিলাম।
কিন্তু আমি কথা দিলাম, তোমার বিরুদ্ধেও আমি আর কিছু লিখবো না।
এমনিতেই আমার কাছে টাকা নেই। বিয়ের সময় তোমার বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে অন্যত্র প্রবন্ধ ও ভিডিও দিয়েছি।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১৭। বাড়ির সবার নিকট আমি কেমন ছিলাম এবং তাদের সবার প্রতি আমার চুড়ান্ত প্রতিশ্রুতি:
এদিকে আমার বিষয়ে আমার ভাইদের এ অবস্থান। তাহলে সবাই এমনিতেই বুঝতে পারবে শিশু নারী সহ বাড়ির সকলের নিকট আমি কত সুখে ছিলাম। ভাতিজা এবং ভাবী কর্তৃক আমাকে অপমানের কথা এ পর্যন্ত কোথাও কেন লিখা হয়নি, তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। একজন পূরুষ মানুষ হয়ে দূর্বল জাতির বিরুদ্ধেও লিখবো; এটা লজ্জ্যাষ্কর বিধায়, এ পর্যন্ত কোথাও লিখা হয়নি। তাদের নিকট যদি সম্মানই পেতাম, তাহলে বড় ভায়ের ঘরে ভাত খেতেতো, সামনের রুমেই খেতে পারতাম। তাহলে কেন আমাকে ভিতরের রুমে গিয়ে, পর্দা অমান্য করে তার সামনে বিব্রতকর ভাবে খেতে হলো!! যেহেতু আমি পর্দা মানতাম। তা তো তাদের জানা ছিলো তাই না? তাহলে ভিতরের রুমে কেন যেতে হলো আমাকে?
যাক, আমার সম্মানীত ও স্নেহের আপনজন গণ, এতো কিছু হওয়ার পরেও আমার স্ত্রী সহ বাড়ির ছোট বড় সবাইকেই কথা দিচ্ছি, তোমাদের কারো অপকর্মের কথা, আমার প্রতি আরোপিত তোমাদের জুলুম বা অপমানের কথা আর কোথাও লিখবো না। আমাদের নিজ বংশ, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম জাতিকে আর খাটো করতে এবং পরিণামে নিজে আর অপমানিত হতে পারবো না।
এমনিতেই মনেহয় কোথাও চাকরির আবেদন করার ক্ষেত্রেও, তারা আমার অনলাইন প্রোফাইল সমূহ ভিজিট করে, আমার এ ধরনের পোস্ট সমূহকে তারা আমার চাকুরী পাওয়ার এবং আমার কারেক্টার বিষয়ে আমাকে নেগেটিভ হিসেবে ধরে নেয়। ফলে আমাকে অযোগ্য বিবেচনা করে ও তারা আর আমাকে চাকুরীটা দেয় না।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১৮। আমার বড় ভাই গণ এবং তাদের সকল রিলেটিভস ও রিলেটেড পার্সনদের প্রতি অনুরোধ:
এ প্রসঙ্গে আমি আমার বড় ভাইদেরকে এবং আপনাদের রিলেটেড অন্যান্যদেরকে অনুরোধ করবো; দেখুন আমাকে (জ্বীনকে) তাড়াতে গিয়ে যেমন আমার উপর মানসিক যন্ত্রণা ও অত্যাচার থেকে শুরু করে এতো জমি বিক্রি এবং আমার ঘর দেয়ার সময় বাবার নামীয় পুকুর থেকে ঘরের ভিটি ভরাটের জন্য অল্প কিছু মাটি আনতে আমার বড় ভাই কর্তৃক বাধা প্রদান (তার দ্বারা সম্ভব হয়েছিলো, শুধুমাত্র আমি দূর্বল ও আমার কেউ না থাকায়) বা ঘরের জন্য গাছ কাটতে বাধা দেয়া এবং বাড়ির জেঠাতো ভাই হিসেবে যদিও আপনি ইসলামি আন্দোলন করেন তথাপি পারেননি আমাকে সাপোর্ট দিতে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে; উপরন্ত আমারই নিজ নামীয় জমি আমার ভাই দখল না দেয়ার কারণে, আপনার কাছে চেয়েছিলাম পরামর্শ; এতে আপনি বললেন, এ জমি আর আমি পাবো না, এটা ঐ ভাইকে রিটার্ণ দিয়ে দিতে হবে; যেহেতু এটা ক্রয় করার সময় আমি ছাত্র ছিলাম, আমি টাকা দিতে পারিনি; তাই যদিও আমার বাবা ও ভাইগণ আমার নামেও ক্রয় করেছিলো জমিটি, এখন আমাকে এ জমি ফেরত দিতে হবে; আপনি ইসলামি আন্দোলন করার পরেও আমাকে এভাবে মিসগাইড সহ সকলে মিলে এ জাতীয় অনেক গুলো অপরাধ আমার উপর করেছিলেন এবং সকলে মিলে আপনাদের সকল রিলেটিভস ও আপনাদের সকল রিলেটেড পার্সনের নিকট আমার সাথে মেলামেশার যে নেগেটিভ ম্যাসেজ ও আকার ইঙ্গিত গুলো দিয়ে আসছিলেন (আমি পাগল, অসুস্থ, বেয়াদব, আপনাদের কাউকে মানছি না বা মানুষকে মিস গাইড় করা, যেমন আমি এসব পারবো না ইত্যাদি ইত্যাদি); তাহলে এখন যেহেতু আমি পরিবর্তনের আহবান জানিয়েছি; অতএব আমি আশা করবো আপনাদের সকল রিলেটেড পার্সনের নিকট আমার বিষয়ে প্রদান করা এসব ম্যাসেজগুলোর ভাষা পরিবর্তন করবেন এবং সে জায়গায় তাদের সকলের সাথে আমাকে প্রতিস্থাপন করতে চেষ্টা করবেন ও ম্যাসেজ পাঠাবেন বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার সম্পর্ক সৃষ্টির।
ভেবে দেখুন, অপরাধ কি আপনারা করেছেন (?), না আমি করেছি?; তাহলে আপনাদের রিলেটিভসদের কাছে আমি কেন অপরাধী থাকবো? আপনাদের রিলেটিভস কি আমার রিলেটিভস নয়? আপনাদের নারী ও শিশুদের নিকট কেন আমি ক্রিড়া-কৌতুকের পাত্র হবো? সমাজে কেন আমাদের ভাইদের নিকট সমস্যা, ভাইয়ে ভাইয়ে মিল নেই; বেশি শিক্ষিতের মাঝে বেশি সমস্যা; আমাকে এ জাতীয় কথা শুনতে হবে?
সমাজে এবং মানুষের মাঝে আমার বিষয়ে এবং আমাদের বিষয়ে এ ধরনের বেড় একটি সিটোয়েশন তৈরীতে আমি কখনোই দায়ী নই। মানুষকে মৌখিক ভাবে এতো পাবলিসিটি করার অভ্যাস আমার নেই। তাই আপনারা এবং আপনাদের ছেলে মেয়ে ও রিলেটেড সকলে আশা করি পরিবর্তন হবেন ও মানুষকে পরিবর্তন মূলক ম্যাসেজ বা ইঙ্গিত দিবেন। দয়াকরে আমার প্রতি, আমার ও আমাদের সকল রিলেটিভস এর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে কার্যকর ভূমিকা ও সফল উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
যেহেতু আমি আপনাদেরই একজন এবং আপনাদের বিরুদ্বে আর কিছু না লিখার বা না বলার অঙ্গীকার প্রদান করেছি। এছাড়া আশা করি, যেহেতু আজকের এ বিষয়টি আমি স্ব-জ্ঞানেই গ্রহণ করেছি, তাই আশা করি আমার সাথে থাকা জীন জাতির কেউও আপনাদেরকে বা আমাকে আর মিসগাইড করবেন না। যেহেতু আশা করছি মানুষের মাঝে জ্বীন জাতির উপস্থিতি বিষয়ক গবেষণার ইনপুট উপাদান (আমার সাথে আপনাদের ও মানুষের ব্যবহার, ঘটনা, ইশারা-ইঙ্গিত ইত্যাদির দ্বারা সৃষ্ট) ইতোমধ্যে কালেক্টেড করা সম্পন্ন হয়েগেছে।
আর আমি এসব লিখি কেন এ জন্যে আমার মা বা বউকে দিয়ে অথবা সরাসরি আমার সামনে দাঁড়িয়ে ভয় দেখানো, আশাকরি এসব আর করবেন না। যেমনটি বড় ভাই কর্তৃক গত রমজানে করেছেন। যেহেতু আপনাদের সকলের খুব ভালো করে জানা আছে, আমি যদিও সকলের সাথে মিলে মিশে চলি বা দূর্বল হলে সহ্য করে চলি; কিন্তু কাগজ-কলম বা চেয়ার বা ক্ষমতা বা বিচারের অধীকার, এসব হাতে পেলে এক বিন্দুও কারো প্রতি অবিচার করি না এবং ইনশা’আল্লাহ মিথ্যা বলি না। বেঁচে থাকার তাগিদে গ্রুপিংকে সমর্থন করতে গিয়ে আত্মীয হিসেবে আপনাদেরকে ছেড়ে দেয়া, যা জিন্দিগীতেও আমার দ্বারা হবে না। তাই আমার এসব লিখার প্রতিবাদ বা বেড কমেন্টস এসব কিছু, এ প্রবন্ধের কমেন্টস সেকশন ব্যতীত আশা করি আর কোথাও লিখবেন না বা বাস্তবে পিজিক্যালি কোথাও আমাকে বলবেন না। আমি যাতে ক্ষমতা না পাই, সে জন্য আমাকে যতোই দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেন না কেন; বাস্তবে আপনাদের কর্মফল, আপনাদেরকে পেতেই হবে। সেটা আমার মাধ্যমে হোক বা অন্য কোন মাধ্যমে হোক।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.১৯। আমার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে তাদের পক্ষ থেকে গত প্রায় ২ বছর ধরে আমার উপর অত্যাচারের বিবরণ লিখা লিখির (আমার নিজ হাতে) যৌক্তিকতা পেশ:
এক্ষণে এতোদিন আমি কেন এ জাতীয় লিখা পাবলিস্ট করে যাচ্ছিলাম তা সংক্ষেপে হিন্টস আকারে নিম্নে তুলে ধরছি:-
১। আল্লাহু তা’য়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন জ্বীন জাতি এবং মানব জাতি, এ দু’ জাতি সৃষ্টি করেছেন। অথচ মানুষদের অনেকে তা বিশ্বাস করে না (বিশ্বব্যাপী)। যেহেতু আমার উপর জ্বীনের আসর রযেছে; তাই আশা করছি আমি আমাকে দিয়ে, যারা এ বিষয়টি বিশ্বাস করে না, তদেরকে বিশ্বাস করানোর পথে যথেষ্ট যুক্তি পেশ করতে পারবো এবং এতে হয়তো তারা বিশ্বাস করার মতো যুক্তি সঙ্গত অনেক গুলো কারণ খুঁজে পাবে (বিশ্ব ব্যাপী)। আর আমার এ প্রচেষ্টাটি আসলে একটি কোরআনিক গবেষণা ছাড়া আর কিছু না। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মানুষের নিকট থেকে সত্য ও বাস্তব ইনপুট কালেকশান আমার প্রয়োজন ছিলো, যা আমি এ প্রবন্ধের অন্যত্রও বলেছি। আবার মুসলিমদের জন্য যখন ২টি হুকুম সিমিলার হয় ও একটি আমল করলে আরেকটি আমল করা যায় না এ রকম হয়, তখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ আমলটি করে, বাকিটি ছেড়ে দিতে হয়। সে অনুযায়ী আমিও ইনফুট গুলো কালেকশান করার জন্যে ধৈয্য ধরে এভাবে একের পর এক পোস্ট গুলো দিয়ে যাচ্ছিলাম, যদিও ইসলাম অনুযায়ী যা নিন্দনীয় মনে হচ্ছিলো; তবুও ১ম আমলটি করতে গিয়ে আমি এ কাজটি করেছিলাম। যদি এ প্রথম আমলটি করার ইচ্ছা আমার না হতো, তবে এর চাইতে আরো অধিক অত্যাচারও যদি আমার উপর হতো, তবুও আমি হয়তো এভাবে অব্যাহত ভাবে এ বিষয়ে এতো গুলো পোস্ট পাবলিস্ট করতে পারতাম না।
২। মানুষের যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার উপক্রম হয়, তখন হারাম খাদ্য খেয়ে হলেও প্রাণ বাঁচাতে হয়। সেই হেতু আমার এখন যা অবস্থা হয়েছিলো, তাতে আমার কাছে এ রকমই মনে হয়েছিলো। চারদিকে আমাকে ভূল বুঝে গিয়েছিলো এবং এ ভূল বুঝার কারণে, আমি কোথাও ভালো কোন কর্ম পাচ্ছিলাম না। যার জন্য আমার ছেলেমেয়েরা অনেকটা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিলো এবং এখনো নেই তাদের কোন ভবিষ্যতের পুঁজি। ফলে আমি বাধ্য হয়ে সমাজে আমি আমার প্রকৃত অবস্থটি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। যার কোন একটি পোস্টও আসলে তথ্য প্রদান ব্যতিত কারো বিরুদ্ধে হিংসাত্মত ছিলো না।
৩। আমার নিকট জ্বীনের আসর রয়েছে, এটা আমার পরিবার ও বংশ সহ আমার এলাকার এবং সংশ্লিষ্ট অনেকেরই জানা। কিন্তু আমার জ্বীনগ্রস্থ অবস্থায় আমার স্বরুপ কী, তা ছিলো জনতার নিকট অজানা। ফলে আত্মীয়তা সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ প্রেরণ, এ বিষয়টি যদিও ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্দনীয় ছিলো, তবুও ১ম বিষটিকে অধিক জায়েজ মনে করে, এভাবে একের পর এক এ বিষয়ক পোস্ট প্রকাশ করে যাচ্ছিলাম।
৪। আমার জীবনের স্মরণীয় দিনলিপি হিসেবে, এ ঘঠনা গুলো মানুষকে জানানোর মাধ্যমে ফাইল বন্ধী করে রাখাও এ পোস্ট সমূহের একটি উদ্দেশ্য ছিলো।
৫। যেভাবে আমার ভাই ও গং গণ আমার নামে অপ-প্রচার শুরু করেছিলো, তা এভাবে চলতে থাকলে বা এ পোস্ট গুলোর মাধ্যমে মানুষকে প্রকৃত বিষয় জানিয়ে এর একটি প্রতিবাদ না করলে একদিকে যেমন আমার ভাই ও গং গণ তাদের এ অপকর্ম হয়তো থামাতো না এবং এর ফলে মানুষগণও হয়তো আমার প্রকৃত বিষয়টি জানতো না। ফলে আমার জ্ঞান-বুদ্ধি ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে মানুষের কিছুই জানার সুযোগ হতো না এবং এতে আমার প্রতি অপমানের মাত্রা হয়তো দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হতো। এ জন্যেও এ পোস্টগুলি পাবলিস্ট করে যাই।
৬। আর আমি যদি আমার উপর জুলুমের খবর এভাবে পাবলিস্ট না করতাম, তাহলে আজ মানুষদেরকে আমার মতো তাওবা করতে অহবান করতে পারতাম না।
৭। মানুষের উপর জ্বীনের আসর এবং এর ফলশ্রুতিতে এ জীনে আসর করা মানুষটির জীবন কর্ম, তার আচার-ব্যবহার, চৈরিত্র-বৈশিষ্ট্য একটু ভিন্ন প্রকৃতির হবে; ইহা স্বাভাবিক। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমি যদি মানুষদেরকে আমার নিজের পরিচয়ই না দিই বা মানুষকে বুঝিয়েই না দিই, তাহলে মানুষ আমার বিষয়ে বুঝতে পারবে কিভাবে? কিভাবে আমি মানুষের ভূল বুঝা থেকে মুক্তি পাবো। ফলে আমাকে এভাবে পোস্ট গুলো পাবলিস্ট করে যেতে হয়েছে।
মোটামুটি উপরোক্ত এ বিষয় গুলোর কারণে ইসলাম ও সমাজের দৃষ্টিতে নেতিবাচক মনে হলেও আমি নিজ আত্মীয়দের বিরুদ্ধে এ পোস্ট গুলো পাবলিস্ট করে যাই।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২০। আমার বিষয়ে আরো জানা বা আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা বা এ ধরনের পোস্ট সাধারণের পক্ষে পাবলিস্ট করা উচিৎ হবে কিনা:
যদিও বর্তমানে কেউ কেউ (আমার ঘর থেকেই) আমার এ পোস্ট গুলোর কারণে আমার বিরুদ্ধে গীবতের অভিযোগ আনছেন ও আমাকে তা শোনাচ্ছেনও; আপনাদের জানা উচিত মজলুম ব্যক্তি তার উপর নিষ্পেষণ মূলক জুলুমের বর্ণনা দিয়ে একটু শান্তি খুঁজা, বা প্রতিকার চাওয়া, এটা কোন গীবত না। অতএব আমাকে এ বিষয়ে আর বলবেন না। প্রয়োজনে গীবত কী, এ বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করুন।
তবে আমার মতো এ ধরনের কোন কারণ, বিশেষ করে কোরআন থেকে এ জাতীয় পোস্ট পাবলিস্টের অনুমোদন না পেলে মুসলমানদের কারো পক্ষে এ জাতীয় পোস্ট পাবলিস্ট করা উচিৎ হবে বলে মনে করি না।
আমার সম্ভন্ধে আরো জানতে এ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ পোস্টটি পড়ার জন্য অনুরোধ জানাবো। পোস্টটি পড়তে
এক্ষণে আপনারা যারা আমার বিষয়ে, মনে করেছেন যে, পাগল বা অবুঝ না হলে কি কেউ, নিজ আত্মীয়দের বিরুদ্ধে এভাবে লিখে নাকি? আমি মনে করি এতোক্ষণে হলেও আপনারা প্রকৃত বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন যে, কেন আমি এতো দিন এ জাতীয় লিখা লিখেছিলাম।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২১। নিজ আত্মীয়দের বিরুদ্ধে এ ধরনের লিখালিখি পাবলিস্ট করা কেন অবৈধ হবে না, সে বিষয়ে যুক্তি ও উপদেশ আহবান:
তবুও যদি আমাকে এ বিষয়ে দোষারোপ করেন বা করতে চান, তাহলে আপনারা এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে, কেন এ পোস্ট গুলো পাবলিস্ট করা অবৈধ হবে না, তার যথোপযুক্ত কারণ ও যুক্তি পেশ করে আমাকে জ্ঞান প্রদান করবেন। এতে ইনশা’আল্লাহ আমি আপনার বা আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো।
অন্যদিকে যারা আমাকে ভালো করে জানেন না, তাদেরকে অনুরোধ করবো, আজকের এ প্রবন্ধটি এবং আমার ওয়েবসাইট ar900.com ও আমার ফেসবুক প্রোফাইল Arif Ullah Chowdhury অন্তত এ ২ প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত আমার পূর্বের লিখা পোস্ট সমূহ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। তবে যেহেতু জগতে আর কারো উপর এভাবে মুমিন জ্বীনের আসর ও তার এ ধরনের ক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়নি, তাই আপনারা অনেকেই আমাকে হয়তো বুঝবেন না। তবুও জানতে যদি চান তবে, উপরে উল্লেখিত প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত পোস্ট সমূহ পড়ুন, হয়তো মহান রব বুঝিয়েও দিতে পারেন।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২২। সাম্প্রতিক সময়ে আজকের পোস্ট বিষয়ক আমার লিখা যে সব পোস্ট সোস্যাল মিডিয়ায় পাবলিস্ট করা হয়েছিলো:
নিম্নে সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়ে ফেসবুকে আমার নিজস্ব প্রোফাইলে যে সব পোস্ট পাবলিস্ট করেছিলাম, আপনাদের জ্ঞাতার্থে তা তুলে ধরছি। যাতে আপনারা আরো বুঝতে পারেন;-
১। ৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে প্রকাশ করি নিম্নের পোস্টটি-
২। ৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে প্রকাশ করি নিম্নের পোস্টটি-
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৩। ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে প্রকাশ করি নিম্নের পোস্টটি-
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৪। ২৮ জুন ২০২৩ তারিখে প্রকাশ করি নিম্নের পোস্টটি-
৫.২৩। আমার বর্তমান অবস্থা ও অবস্থান এবং আমার বিষয়ে অপপ্রচার আর না চালানোর অনুরোধ:
আমার বংশীয় সদস্যদেরকে আমার বর্তমান অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে বলতে চাই, দেখুন বর্তমানে আমি আপনাদের অসমর্থন বা অসহযোগিতার কারণে হোক বা যে কারণেই হোক না কেন, সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত একেবারেই সামান্য বেতনে পরের ডিউটি করছি। আর যখন নিজে এখানে প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে কিছুদুর এগিয়ে ছিলাম, তখন মসজিদের মধ্যে পর্যন্ত আপনারা আমাকে তীর্যক দৃষ্টিতে দেখতেন। আমি জানি না, আমাকে নিয়ে আপনাদের কোথায় এতো ভয় ছিলো বা বুঝতে পারিনি এতো হিংসার কারণ কী ছিল।
দেখুন, গত প্রায় ৮/৯ বছর আমি মানসিক রোগের কোন অসুধ খাই না। আমার থাইরয়েড সমস্যা রয়েছে। কিন্ত এখন আমি সে ঔষুধ গুলোও খাই না। আমার ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিলো, দীর্ঘদিন ঔষুধও খেয়ে ছিলাম। কিন্তু আজ প্রায় ৪/৫ বছর সেগুলোও খাই না। পয়সার কারণে হোক বা তেমন কোন কষ্ট অনুভব করছি না সে জন্যেও হয়তো মনে না থাকতে থাকতে, একসময় হয়তো বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
কিন্তু আপনারা জানেন এ রোগ গুলোর ঔষুধ বন্ধ করে রাখা যায় না। চারদিকে আমার কাছে অনেকেই টাকা পাবে। প্রতিনিয়তই এ যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছি। আমার ঘরে ৬/৭ জন খানেওয়ালা। কিন্তু কম্পেক্ট পলিটেকনিক থেকে সর্বশেষ ৭০০০ টাকা বেতন পেতাম। যার মধ্যে ভাড়াতেই চলে যেত প্রতিদিন ৫৫/৬০ টাকা। এর আগেও ভালো কোন চাকুরি আমার ভাগ্যে জুটে ছিলো না।
অন্যদিকে শান্তিমত এলাকার মসজিদে নামাজটা পর্যন্ত পড়তে পারছি না। অনেক সময় দেখা যায় ডানে দাঁড়ালেও, যে টাকা পাবে, তার সাথে; আর বামে দাঁড়ালেও, যে টাকা পাবে তার সাথে দাঁড়াতে হচ্ছে। এতে মানসিক একটা কঠিন চাপে থাকতে হয়। অপরদিকে আল্লাহর উদ্দেশ্যেই নামাজ পড়তে হয়। ঋণদাতাকে খুঁশি করতে নয়।
সমাজের যে ছেলেটা আমার স্নেহ ধন্য ছিলো বা থাকার কথা সেও আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কিছু বললে উত্তর তো দিচ্ছেই না, উল্টো নেতিবাচক ব্যবহার করছে। আর বন্ধু-বান্ধব বলতে তো এখন আমার আর কেউ নেই’ই। তাই মন চাচ্ছে গ্রাম থেকে আসলে কোথাও বেরিয়ে যাই। কিন্তু যাবো কোথায়? কার কাছে যাবো? কে আমাকে একটা ভালো কর্ম দিবে? তবুও ভালো কর্মের সুযোগ পেলে হয়তো বেরিয়েও যাবো। আর সহ্য হচ্ছে না।
তবে ভয় নেই, ইনশাআল্লাহ্ আমি কখনো পালাবো না। যদিও কর্মের কারণে কোথাও যেতেই হয়, তাহলে সবাইকে জানিয়েই যাবো।
এছাড়া কোথাও যাওয়া, এটাতো মানুষ হিজরত বলে যেহেতু ঐভাবে গ্রহণ করবে না; বরং পালিয়ে গিয়েছি বলেই অনেকে ইয়ার্কি আর রসিকতা করবে (যেহেতু আমি জ্বীন গ্রস্থ)।
তাই বন্ধন ফাউন্ডেশনের অফিস ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়া অবশ্যই এ সমাজে আমার জন্য একটি কাপূরুষতা হিসেবেই বিবেচিত হতো।
আর তাই, ইসলামী ব্যাংক, হাজীর বাজার এজেন্ট শাখায় যে চাকুরিটা ইতিমধ্যে হয়েছে, তা আর ছাড়তে চাচ্ছি না। এ এজেন্ট ব্যাংকে থেকে যেতে চাচ্ছি দীর্ঘ সময়ের জন্য এবং এ চাকুরিটা হওয়ায় আমি অনেকটাই খুঁশি। যেহেতু এখানে চাকুরী করতে পারলে,ইনশা’আল্লাহ আমার ফাউন্ডেশনের কাজও করতে পারবো। মূলত আমার ফাউন্ডেশনের কাজ করতে পারাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য এবং খুশির মূল কারণ এটিই। এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, এটা আমার স্বপ্ন। আমার নেকি কামানোর উপায়। অর্থাৎ আমার এ ফাউন্ডেশন মূলত আল্লাহকে পাবার একটি সেতু বন্ধন। এ প্রতিষ্ঠানের নামকরনে আমার উদ্দেশ্য এটিই।
এখন অবস্থা এমন যে, সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ডিউটি পালন করে এবং মাত্র ৯০০০ টাকা বেতন পাওয়ার আশা রেখে, রাত ১১ টার পর থেকে আবার অনলাইনে অবস্থিত আমার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করি। যেখানে বর্তমানে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং আমার দারিদ্র সময় কাটছে। আবার ফেনী শহর থেকে বাড়ি এসে খাওয়া-দাওয়া করে কাজ ধরতে রাত ১১টা পার হয়ে যায়।
এ হাজারো দূর্বলতা আর ক্ষত নিয়ে এবং সবচাইতে বড় কথা হলো আপনাদের আপনজনদের প্রায় সকলের, এমনকি আমার স্ত্রীরও বিরোধিতার মুখে, সর্ব সাধারণের জ্ঞাতার্থে এ ধরনের লিখা লিখতে থাকি ও তা পাবলিস্ট করি। বর্তমানে আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে গীবতের অভিযোগও আনতেছেন। আগে মা বিভিন্ন অভিযোগ আনতেন।
আসলে এদের তেমন কোন জ্ঞান নেই। বাডির লোকেরা যে ভাবে পড়াতো, ঠিক সেভাবেই তারা আমার সাথে আচরণ করতো। আমার স্ত্রী, আমার এতো বড় পোস্ট পড়ে, সব কিছু বুঝে যাবেন, আসলে সত্য কথা বলতে কি; তার সে রকম যোগ্যতা আমি মনে করি তার কাছে নেই। আর মাতো অসুস্থ ও বার্ধক্যতা নিয়ে (যার বয়স প্রায় ১০০ বছর) বিছানাতেই শোয়া থাকেন সব সময়। পড়তে তিনি অক্ষম।
এখন আমি কী করতে পারবো, বা কতটুকু করতে পারবো তা নিজেই ক্লিয়ারলি বুঝতে পারছি না। কারণ আপনারা আপন জনেরা আমায় শুধু বিরোধিতাই করে যাচ্ছেন। আপনারা কি বুঝেন (?); শুধু এ রকম একটি প্রবন্ধ লিখতে কী রকম মেধা আর সময় প্রয়োজন? অথচ সারাদিনের ব্যস্ততার পরে একটু সময় পেলে আর তাতে যদি রাতে আমি বাড়ি না থাকি, তবে হয়তো আমার স্ত্রীর নিকট বা অন্যদের নিকট আমি মহা অপরাধী হয়ে যাই।
তাই দয়া করে আমার স্ত্রী কিংবা আমার মাকে অথবা আমার ছেলে-মেয়েদেরকে, বাড়ির কেউ আর এ বিষয়ে বা আমার যে কোন বিষয়ে মিস গাইড করবেন না (অতীতে যদি করে থাকেন)। পারলে তাদেরকে সদ-উপদেশ দেন। দেশের জন্য-দশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে বলেন।
কারণ আমাকে যদি দেশের কল্যাণে ও দশের কল্যাণে কিছু করতেই হয়, তাহলে আমাকে সব সময় বাড়িতে গিয়ে ঘুম যেতে হবে এ ধারণা পাল্টাতে হবে। আর আপনারা যদি তাদেরকে, বিশেষ করে বাড়ির নারী সদস্য গণ বা পুরুষ সদস্যদের এট্টিচ্যূড দ্বারা বা বাড়ির অন্য কারো ইশারা-ইঙ্গিত দ্বারা বা যে কেউ যে কোন ভাবে তাকে বা আমার মাকে বা আমার ছেলে-মেয়েদেরকে মিসগাইড করতেই থাকেন (আমার অনুমান ও মা ও স্ত্রীর বিভিন্ন মন্তব্য অনুযায়ী আগের মতো, যা সত্য হতে পারে; নাও হতে পারে), তাহলে সে ক্ষেত্রে আমি অবশ্যই আপনাদেরকে বুঝানোর জন্য দেশ ও দশের সহযোগিতা কামনা করতে বাধ্য হবো। এমনিতেই পঁচাচ্ছেন ইনশা’আল্লাহ দেশ ও দশের এক মহা-মূল্যবান সম্পদ। আল্লাহর ওয়াস্তে কথাটি ভালো করে মনে রাখবেন।
আপনাদের, তথা আপনজনদের বিরোধিতা আর অসমর্থনের মাঝে, আসলে আমি কিছু করতে পারবো কিনা, তা আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর হাদিীস অনুযায়ী, আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবে না। আমারতো বেহেশত প্রয়োজন!! তাই আমি আত্মীয়তাও ছিন্ন করতে পারবো না, আর হয়তো কিছু করতেও পারবো না। তাই দেশ-জাতির জন্য সমূহ সম্ভাবনা ময় আমার সাথে থাকা এ জ্বীনকে আর আঁটকিয়ে রাখবেন না, প্লিজ। না হয় পরবর্তীতে কিন্তু এর বিশাল একটা যের হয়তো আপনাদেরকেই বইতে হবে। তাই আগাম আপনাদেরকে আমি সতর্ক করলাম।
এছাড়া মানুষকে ভালোবাসি বলে, মানুষকে হারাতে চাইনি বলে এবং বর্তমানে আমি সীমাহীন দূর্বল বলে আমার প্রতি মানুষের অপমানমূলক ব্যবহার সমূহের তেমন কোন প্রতিবাদ আমি করি না এবং অনেক সময় মানুষকে তাদের দূর্ব্যবহার সম্পর্কে বুঝতেও দিইনা যে, আমি বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।
এর মেইন উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমি কোন মানুষের সু-সম্পর্ক হারাতে চাই না। কিন্তু এতে মানুষ গুলো না বুঝে, আমাকে সোজা ও আবুল মনে করে এবং একপর্যায়ে চরম অবহেলা ও অপমান করতে থাকে। এ পর্যায়ে এখন আর প্রতিবাদ না করে আমার আর কোন উপায় থাকে না। আমি ধৈর্য ও সহ্য করেছিলাম বন্ধুত্ব রক্ষা করতে; অথচ ঘটে গেল হয়তো হীতে বিপরীত।
কিন্তু তারা তখন সমাজের নিকট অপমাণিত হচ্ছে বিধায়, আমি যাতে কিছু না বলতে পারি বা না করতে পারি বা মানুষ যাতে আমার কথা বিশ্বাস না করে, তারা যাতে সমাজের কাছে অপমাণিত না হয়; এ জন্যে তারা তখন আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
আমি যেখানেই যাই, কম-বেশ এ সমস্যা গুলোতে পড়েছি। এছাড়া সত্যাশ্রিত ও বিনয়ী, সহজ-সরল মন এবং উচ্চ ধর্মীয় ও ব্যক্তিত্ব মূলক ভাব ধারা আমার ভিতর বিরাজমান থাকায়, অথচ টাকা পয়সা বা ক্ষমতা বিহীন অনাডম্বর জীবন-যাপনের কারণে, আবার অনেক সময় একেবারে বিনা কারণেই অনেকের প্রতিপক্ষ হয়ে যাই।
বিনা কারণে প্রতিপক্ষ হওয়ার বিষয়টি হয়তো সকলের বুঝে আসবে না।
ধরুন, একটা হোটেলে বসলাম; দেখা গেল তখন একেবারে বিনা কারণে শুধু আমার চেহারা আর বেশ-বুশা বা ব্যক্তিত্ব দেখেই, আমার বিষয়ে তার একটা জ্ঞান হয়ে গেলো। আর তার আহরিত সে জ্ঞানে, সে হয়তো আমাকে সম্মানের উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে নতুবা ঘৃণার জগতে সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
অথবা কোন প্রতিষ্ঠানে সে আমার একই র্যাংকের কলিগ হলে, যেহেতু এখানে সে ধান্দা করবে ও পদ, কর্ম ইত্যাদির জন্য তার জ্ঞান মোতাবেক নিজের উন্নতিতে বিভিন্ন কৌশল বা গ্রুপিং প্রয়োগ করবে, তাই এখানে অফিস-আদালতের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী আমাকে তার সম্মান করার সুযোগ থাকবেনা বিধায়, তার কাছেও হতে হবে আমাকে অপমানিত।
আমার এ ধরনের এক্টিভিটিস ও ঘটনা গুলো দেখতে চাইলে আমার ওয়েবসাইটে অবস্থিত আওয়ার মিডিয়া নামক অপশনে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।
এখন বলুন, আমাকে যে আপনাদের অনেকে অসুস্থ বলে, মানসিক রোগী বলে চালিয়ে দিচ্ছিলেন সমাজে; এমন কি যখন সমিতির অফিস ঘর দিচ্ছিলাম, তখন আপনাদের মধ্য থেকেই আমাকে শুনতে হয়েছিলো আমি পাগল, দিচ্ছি পাগলা গারদ, হবে পাগলের মেলা। এভাবে সমাজে আমাকে অযোগ্য বলে উপস্থাপিত ও প্রমাণিত করতে চেয়েছিলেন।
এখন কথা সেটা নয়; আমি তো আপনাদের দৃষ্টিতে অসুস্থ মানুষ; আত্মীয়-অনাত্মীয়, পরিচিত ও সমাজের সকলের কাছে বলে বেড়াচ্ছিলেন এবং সকলের নিকট আমাকে একটা অদৃশ্য শৃঙ্খলে বন্ধী করে রেখেছিলেন।
এখন আপনারা সুস্থ মানুষ হয়ে আমি যা করেছি, আপনারা তা করতে পারবেন!!?? ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করা আমার নিজের লিখা বইও রয়েছে কিন্তু।
তাহলে কেন এ অপপ্রচার গুলো চালিয়েছিলেন? হয়তোবা সুযোগ পেলে কেউ কেউ এখনো চালাচ্ছেন।
আমার অনুমান অনুযায়ী বা ২/১ জনের কাছে কিছু শুনে আপনাদের বিরুদ্ধে এখানে উপস্থাপিত এ অভিযোগ গুলো উপস্থাপন করলাম। যা সত্য হতে পারে আবার নাও হতে পারে। তবে যদি মিথ্যা হয় তাহলে আমি আপনাদের নিকট ক্ষমা প্রার্থী। আর যদি সত্য হয়, তবে আশা করি আজকের পর থেকে তথা এ প্রবন্ধ প্রকাশের পর থেকে এ সব চুড়ান্ত ভাবে বন্ধ করবেন।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২৪। পরিবর্তনের আহবান:
এখন যেহেতু আমি পরিবর্তনের অঙ্গিকার দিয়েছি ও আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের সাথে আমি যে আন্তরিক ছিলাম, আমার মনের সে সুপ্ত অবস্থাটি প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছি; তাহলে কি আপনারা (আমার সকল আত্মীয় ও নিকটজন) আপনাদের আত্মীয় সহ সকলের নিকট পূর্বে প্রদান করা এ ম্যাসেজ গুলো পরিবর্তন করে, আমার সাথে সু-সম্পর্কের ম্যাসেজ তাদেরকে দিবেন না? হ্যাঁ, আমি আপনাদের নিকট এখন এটাই চাই যে, আপনারা আপনাদের সকল রিলেটেড পার্সনের নিকট পূর্বে প্রদান করা ম্যাসেজ সমুহ প্রত্যাহার করে আমার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের আহবান জানাবেন।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২৫। আমার চরিত্র-বৈশিষ্ট্য ও ব্যক্তিত্বের কিছু পরিচয় প্রদান:
এ প্রসঙ্গে সর্বসাধারণকে আমার কয়েকটি দূর্বলতার কথা জানাতে চাই;-
১। দেখুন আমার ভিতরে জ্বীন জাতির কোন এক সদস্য তার দল-বল নিয়ে আরেকটি শক্তি হিসেবে কাজ করছে। আমি বাকি ১০ জন মানুষের মতো মানুষ নই। এ পর্যন্ত আমি যা বুঝতে পেরেছি, তা হচ্ছে, আমার এ ভিতরের শক্তিটি (জ্বীন) অনেক সময়ই আমাকে অনেক গুলো কাজে বা জ্ঞানে আঁটকিয়ে বা আড করে রাখে, ফলে আমি শুধু ভূল করি এবং আমাকে সে নিজেও পরীক্ষা করে।
তার পরীক্ষা গুলো এতোটাই জটিল যে, আমি বুঝতেই পারি না; কোন মানুষকে কেন এতো জোরে কথা বলে ফেললাম, অথবা কেন এতো বাজে ব্যবহার করলাম বা কেন এ ভূল করলাম বা কেন এ পাপ করলাম অথবা কেন তার বা তাদের স্পর্শকাতর স্থান সমূহে তাকালাম। অথবা কেন এই কূফরী চিন্তা-চেতনা এতো জোরালো ভাবে মনের ভিতর আসে। আমি কি বেয়াদব তাহলে? অনেক সময় বুঝতেই পারি না যে, এ পরীক্ষা কি তার পক্ষ থেকে(?), না আমি শয়তানের কাছে পরাস্থ হয়ে এ রকম করেছি। না আমার নফস ও রিপুর কারণে এ রকম হচ্ছে। না এসব আসলে মানুষেরই দূর্ব্যবহার?
এছাড়াও আমি আলেম ও হুজুরের মতো জীবন- যাপন করি বিধায়, আমাদের উপস্থিতিতে বর্তমান আধুনিক মহিলা ও পুরুষ গণ তাদের স্বাভাবিক জীবন- যাপনে আমাদেরকে একটি বাধা মনে করে। ফলে কর্মক্ষেত্র সহ প্রায় সর্বত্র আমাদেরকে একটা বন্ধী জীবন কাটাতে হয়। এছাড়া আমি গরিব হলেও চলাফেরা উন্নত বিধায়; অনেক লোকই তা মেনে নিতে পারে না।
ফলে আমার অতিরিক্ত শক্তি ক্ষয় করে বা নিজকে নিজেই বন্ধী করে কারো সাথে ব্যবহার করি বিধায়, মাঝে মধ্যে মনে হতে পারে আমি অসুস্থ বা অযোগ্য বা উগ্র বা বেয়াদফ।
আবার আমার জ্বীন গঠিত শক্তি আমায় বাধা দেয় বিধায় মাঝে মাঝে আমি ভূল করি বা করতে পারি; এতে আপনাদের মনে হতে পারে আমি অযোগ্য। অন্যদিকে আমার অজান্তেই আমার মধ্য থেকে জ্বীন কর্তৃক আপনাদেরকে কোন ভাব আদান-প্রদান করতে পারে। ফলে মনে হতে পারে আমি কোন বড় বুজর্গ বা কোটিপতি বা যে কোন বিষয়ে হয়তো ভূলও বুঝতে পারেন।।
আমি আশা করছি, ইনশা’আল্লাহ যদি আমি অন্ন ও ক্ষুৎপিপাসার ক্লান্তি থেকে মুক্ত হতে পারি তবে অচিরেই আমার এসব দূর্বলতা আপনারা আর দেখতে পাবেন না।
২। আমার ২য় যে দূর্বলতাটি রয়েছে তা হচ্ছে, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার হাজারো রকমের ক্ষত এবং একই সাথে আমি সত্যনিষ্ঠ্য ও সরল মানুষ। মানুষ ও আল্লাহকে ভালেবাসার তেজ অনেকটা পাগলামি পর্যায়ের। এমতাবস্থায় ঘরে বাহিরে মানুষের সাথে বিভিন্ন কাজ-কর্মে কিংবা নিজের প্রয়োজনীয়তা সমূহ পূরণ করতে না পেরে, মাঝে মধ্যে আমার ব্রেন হয়তো দূর্বল বা আন ব্যালেন্সিং দেখে থাকতে পারেন।
৩। বর্তমানে কোথাও ইসলামের পর্ধার বিধান পালন করা হয় না। প্রায় সকল ক্ষেত্রে সুদ। প্রায় প্রত্যেক ঘরে শিশুদের খেলনা বা স্মৃতি স্মারক বা নেতা-নেত্রীকে মান্য ইত্যাদি বলে ঘরে ঘরে মুর্তি বা ছবির সয়লাব। আর অপর দিকে আমার চাল-চলন ইনশা’আল্লাহ বড় আলেমকে অথবা মাঝে-মধ্যে কোটিপতিকেও হার মানায়; এসবের মাঝে আমি নিজকে প্রফুল্ল রাখতে পারি না। অথচ আমি এখন ঠিক মতো ভাতও খেতে পারছি না। ফলে আমার কাছে সার্টিফিকেট নেই বলে বড় আলেম থেকে শুরু করে কেউই আমাকে আর মান্য করে না বা ভালো পায় না এবং ইহা আমার একটি দূর্বলতা।
৪। আমার আরো একটি দূর্বলতা হচ্ছে, আমি শুধু একটি দলের নই। আমি শুধু একটি রাজনৈতিক দলকে কখনোই মান্য করিনি। যদিও আমি মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কাছে ঋণী, তথাপি আমি সকল দলের ভালোকে ভালো বলি আবার সকল দলের খারাপকেই খারাপ বলি। প্রকারান্তরে সকল মানুষকেই আমি ভালো বাসি। কিন্তু মানুষেরা শুধু তার দলের না হলে, আমাকে আর ভালোবাসে না। ফলে কোনদল কিংবা আমার নিজের বংশ থেকেও যখন আমি কোন ব্যাকগ্রাউন্ড পাই না তখন এ সমাজে আমি থাকি প্রায় অসহায় ও এতিমের মতো। এটা আমার একটা দূর্বলতা।
এ কথাগুলো আজ আমি বলতাম না, বলেছি আমার ভাই-বোন-রন্ধুদেরকে এ জন্যে যে, দয়া করে আমার এ দূর্বলতা গুলোকে কাজে লাগিয়ে, পরিবার, সমাজ ও দেশের মাঝে আমাকে আর হেয় প্রতিপন্ন করবেন না। আবার এ জন্যেও বলেছি যে, আমার প্রকৃত বন্ধু গণ যাতে বুঝতে পারেন, নিন্দুকেরা বা আমার প্রতিপক্ষ বা শত্রুরা আমাকে কোথায় কোথায় ঘায়েল করতে পারে, যাতে আমার বন্ধুরা তা বুঝতে পারেন ও এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে পারেন বা এর একটি সমাধান বা এর প্রতি উত্তর দিতে পারেন। সে জন্যেও আমার এ দূর্বলতা গুলো প্রকাশ করা হয়েছে। যেহেতু আমার ভিতরে জ্বীন রয়েছে আর তাই আমি আমার কোন কিছুই গোপন রাখলাম না।
আমি আশা করছি এখন থেকে আপনাদের (আমার আত্মীয় ও পরিচিত) পরিচিত ও অনুগতদেরকে আমার বিরুদ্বে কালো ইঙ্গিত বা ভাষা প্রদান বিষয়টি বন্ধ করবেন (যদি করে থাকেন) এবং আশা করি আমার আত্মীয় গণ আমার ডাকে সাড়া দিয়ে, আজকের এ প্রবন্ধের বিষয় ও হাদিস অনুযায়ী আমল করবেন।
একই সাথে সব ধরনের মানুষকেই, আমার সম্পর্কে বুঝিয়ে দিলাম; যাতে আমার সমস্যা সমূহ আপনারা সহজে বুঝতে পারেন ও আমার বিষয়ে কে কী বুঝাতে চাচ্ছেন বা কে কেমন ব্যবহার করছেন তা সহজে আপনারা বুঝে নিতে পারেন এবং কেউ যদি আমার এ দূর্বলতা গুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাকে তার বা তাদের স্বার্থ আদায় মূলক বা অপমান মূলক কোন ব্যবহার করেন, তবে এতে আপনারা যাতে তা প্রতিহত করতে পারেন এবং এ বিষয়ে আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২৬। আমার আত্মীয় স্বজন ও অন্যান্যদের সাথে আমার উপর আসর করা জ্বীন বিষয়ক এ ঘটনা সমূহ কখনোই আমাদের কারো অভিনয় ছিলো না বরং এগুলো ছিলো রিয়েল ও বাস্তব:
জ্বীন জাতিতে যারা অবিশ্বাসী, তারা নিশ্চয় দেখতে পেয়েছেন আমার সাথে আমার পরিবার পরিজন, বংশ ও নিকটজনদের সাথে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা ও পরিস্থিতি সমূহ কোন অভিনয় ছিলো না। আমার সাথে আমার আত্মীয় স্বজনের যে বৈরীতা, অসহযোগিতা, হিংসা, অবহেলা ও শত্রুটা এগুলো ছিলো ১০০% সত্য। আপনারা সকলে দেখতে পেয়েছেন এসব আমি মুখ বুঝে সহ্য করেছি। এর একটিই প্রধান কারণ এই যে, আমি জ্বীন জাতির স্বরুপ উম্মোচিত করে দেখাবো যে, হ্যাঁ জ্বীন জাতি এ দুনিয়ায় রয়েছে এবং এরা মানুষের জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে মানুষের সাথেই থাকে বা থাকতে পারে ও এ ধরনেরই একটি সিটোশেন হিসেবে আমিও একজন মানব জ্বীন। ফলে আমার বিভিন্ন মুখি ইনপুট কালেকশানের ও সকলের নিকট আমার পরিচয় দেয়ার একটা প্রয়োজন ছিলো।
আবার আমি নিজেও কখনোই এ বিষয়ে অভিনয় করিনি। এমনকি সঠিক ইনপু ট কালেকশান করতে গিয়ে; আমার রক্তের আত্মীয় কিংবা স্ত্রীকেও ছাড় দিয়ে কথা বলিনি কখনো। অনেক আত্মীয় ও বংশীয় সম্মান আমি উম্মুক্ত ভাবে বর্ণনা করেছি। রাখিনি সেখানে আমাদের এমনকি মুসলিম সমাজের পার্সোনালিটি। অথচ কাউকে বুঝতেও দিইনি এ বিষয়ক আমার মূল উদ্দেশ্য। কিংবা করিনি কখনো তাদেরকেও আমি সতর্ক; যাতে তারা আমার গবেষণার ডাটা কালেকশানে আরো মারমুখী ব্যবহার করে। ফলে শয়তান তাদের ও আমার বিরুদ্ধে তার স্বাভাবিক কাজ কর্মই চালিয়েছে। আর এতে আমি পেয়েছি একেবারেই বাস্তব কিছু ঘটনা ও মানুষের রিয়েল কারেক্টার। আর দেখতেই পেয়েছেন, যা ঘটার তাই ঘটেছে। আমি একেবারে একঘরে হয়ে গিয়েছি। এগুলো যদি অভিনয়ই হতো তাহলে আমি কি কখনো এতো অসহায় ও একা হতাম? এতো দু:খ-কষ্ট মানুষ আমাকে দিতো না। এছাড়া কাউকেই কখনো বলিনি যে, মূলত আমি আমার মধ্যে থাকা এ জ্বীন নিয়ে গবেষণা কার্য চালাচ্ছি ।
আবার প্রকৃত পক্ষে এ জ্বীন আমার শরীরের সাথে এমন ভাবে মিশে গিয়েছে, আমি বাস্তবিক ভাবেই আমার আত্মীয় স্বজন বা মানুষের সাথে এ ধরনের ব্যবহার করতে বা সহ্য করতে বাধ্য হয়েছিলাম বা হচ্ছি। যদিও ঘটে যাওয়া কোন কোন ঘটনার পরক্ষণেই আমি বিষয়টি বুঝতে পারতাম। এবং অনেক সময় সহ্যও করেছি প্রতিপক্ষ ভাইটি বিষয়টির মূল বুঝতে পারেনি বিধায়। কারণ অবুঝ একটা লোকের সাথেতো ঝগড়া বা শত্রুতা করতে পারিনা। আর যেহেতু আপনাদেরকে জ্বীনে আসর করেনি, তাই হয়তো পুরোপুরি ভাবে কোনদিনই আপনাদেরকে আমি বুঝাতে পারবো না। বা আপনারাও হয়তোবা পুরোপুরি বুঝতে পারবেন না।
আপনারা যারা এ পোস্ট সম্পর্কে বা আমার বিষয়ে কিছু লিখতে চান বা আমার আত্মীয়-স্বজন থেকে কোন কিছু প্রতিবাদ করতে চান, আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এই যে, আপনারা আমার মা বেঁচে থাকতেই এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য বা মন্তব্য পেশ করবেন। কারণ এরপর অনেক কিছুই হয়তো আর প্রমাণ করা সম্ভব হবে না।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২৭। সামাজিক প্রেক্ষাপট:
দেখুন, আমি না হয় অনেকটা দিশেহারা হয়ে এবং আরো অনেকগুলো যৌক্তিক কারণে আজ প্রায় ২ বছর অবধি বক বক করলাম। আপনাদের অনেকের কাছে বিষয়টি হয়তো বিব্রতকরও মনে হচ্ছিলো; এমনকি আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি এ সব কারণে অনেকে হয়তো আমাকে চাকুরি দিতেও রাজি ছিলেন না।
আমার প্রাণ প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ও মুসলিম পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, যেহেতু মানুষ সমাজ বদ্ধ জীব এবং যেহেতু আমি জ্বীন জাতি দ্বারা ক্রিয়াশীল; তাই, গত প্রায় ২ বছর ধরে আমার বর্তমান অবস্থা ও পরিস্থিতি আপনাদেরকে জানাতে গিয়ে (আপনাদের সাথে বাস করতে হলে আপনাদেরকে আমার অবস্থা জানানো প্রয়োজন বলে মনে করেছিলাম, না হয়, হয়তো আমাকে আজীবনই বুঝবেন না, বা ভূল বুঝে থাকবেন; তাই জানিয়েছি) আমি আমার নিজ আত্মীয় স্বজন ও আরো কিছু আন্তরিক মানুষের বিরুদ্ধে তারা আমার প্রতি অন্যায় ও অবিচার বা জুলুম করেছে এ মর্মে বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখে তা আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছিলাম।
কারণ যেহেতু আমি জ্বীন জাতি দ্বারা আক্রান্ত, তাই প্রকৃত অবস্থাটি আপনারা বুঝতে পারছিলেন না এবং প্রকৃত অবস্থাটি যে আমার পক্ষ থেকে কেউ জানাবে বা জানাতে পারবে, এ বিষয়ে ভয় করছিলাম। আবার আমি জানালেও যে আপনারা কতটুকু বুঝতে পারবেন, সে বিষয়েও আমি নিশ্চিত নই। কারণ বিষয়টির অনেক গুলো সাইড় শুধুই মানসিক ব্যাপার।
যা হোক যদিও এ ঘটনা গুলো আমার এ এলাকাবাসিদের চোখের সামনেই ঘটেছিল, তবুও পরিপূর্ণ ভাবে জানার জন্য এবং আপনারা যারা আমার বিষয়ে জানেন না তারা যাতে সহজে আমার অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন, সে উদ্দেশ্য নিয়েই আমি এ পোস্ট সমূহ পাবলিস্ট করেছিলাম।
শুনতে খুবই খারাপ লাগে যে, নিজ আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা!! নিশ্চয় ইহা গর্হিত, নিন্দনীয় ও পরিত্যার্জ কাজ!! এবং ধর্মীয় দিক থেকেও যার সমর্থন দেয়ার বিষয়ে আইনানুগ অধিকার পাওয়ার বিষয়টি একেবারেই জটিল।
তবুও জানতে ইচ্ছে করে, এ ক্ষেত্রে আপনাদের অবস্থা কী ভাই? ভাই বা চাচার নাম শুনলেই বুঝি আমার আপনার ভিতরটা হিংসায় জ্বলে উঠে?
তারপরও এ বিষয়ে আমি মনে করি, কারো একবারেই ব্যাকওয়ার্ডে চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা না দিলে অথবা প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি না হলে বা এমন কোন সত্যের মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে ও যা প্রকাশ করলে মুসলিম জাতীরই সমূহ উপকার হবে; শুধুমাত্র এ তিনটি ক্ষেত্র ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট পাবলিস্ট করার বিষয়ে কোন যুক্তি আছে বলে আমি মনে করি না।
এক্ষণে আসুন আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা, রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর এ হাদিস অনুযায়ী মানুষ সমাজ বদ্ধ জীব হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের অবস্থা ও অবস্থান কোথায়, তা পর্যালোচনা করি ও তাওবা করে সংশোধিত হতে চেষ্টা করি।
ভায়েরা আমার, আজ আমাদের সমাজের দিকে, আমাদের প্রত্যেক বাড়ির দিকে, আমাদের প্রত্যেক পরিবারের দিকে তাকালে এ বিষয়ে আপনাদের কী বা কেমন মনে হয়? কী (?), আত্মীয়তা সম্পর্ক আছে? প্রত্যেকে মনে মনে উত্তর দেন।
অত্যন্ত দু:খ ও হতাশার বিষয় হচ্ছে, যদিও আমরা এখনো অনেকেই নামাজ-রোজা, যিকির-আজকার করছি; তথাপি এ হাদিস অনুযায়ী বিচার করলে হয়তোবা বেহেশতে যাওয়ার লোকই খুঁজে পেতে কষ্ট হবে (হিসাবের সাথে সাথে)।
তাহলে এই আমি, আপনি. আমরা বেহেশতে যাবো কিভাবে? আবার হয়তো পণ করে নিয়েছি ভায়ের সাথে কিন্তু আর আন্তরিকতা রাখা যাবে না। কারণ তার ইত্যাদি ইত্যাদি দোষ। সে আমার সমান সম্মান কিছুতেই পেতে পারে না।
অন্যদিকে আমার মা-বোনেরা স্বামী বাড়ি যাওয়ার আগেই হয়তো জ্ঞান-বুদ্ধিতে পাকা হয়ে গেছেন, ভাই ভাই মানেই প্রতিযোগী! দেবর-ননদ এরা কখনো আপন হতে পারে না! এরা শুধুই নিজ স্বার্থ চাইবে! আর নিজ স্বার্থ চাইতে গিয়ে আমাকে বা আমার সন্তানদেরকে অবশ্যই হিংসা করবে!
আবার স্বামী বেচারা বাসর রাতেই হয়তো বলে দিয়েছেন, আমাদের উন্নতি আমাদেরকেই করতে হবে। কারো দিকে তাকানো যাবে না। ওমুক এ রকম করেছে, ওমুক এ রকম করেছে, ওমুক এ রকম, ওমুক এ রকম। ইত্যাদি ইত্যাদি। আর দিন যত গড়াচ্ছে, সম্পত্তি, সম্মান ইত্যাদি নিয়া ভাই-ভাই বা ভাই-বোনদের সাথে শুধু সামাজিকতা পালন করা হচ্ছে! বাবা মারা যাওয়ার সাথে সাথে; কিংবা বাবা বৃদ্ধ হলেই শুরু হচ্ছে, চর দখলের মতো সম্পত্তি দখলের চিন্তা-ভাবনা।
হয়তো শক্ত ভাবে ভাবা হচ্ছে এ তালগাছটি কিন্তু আমার! এটা ভাইকে দেয়া যাবে না!! বোনদেরকে কিছু টাকা কড়ি দিয়ে রেজিষ্ট্রি নিয়ে নিবো, তাদেরকে কি আর জমি দিচ্ছি নাকি? সব নিয়ে গেলে ওরা বাপের ভিটায় আসবে কিভাবে!?
এছাড়া মাথায় হয়তোবা বুদ্ধি আহরিত হয়েছে যে,ভাই-বোনদের ও বাবা মায়ের চাইতে শশুর বাড়ির আব্বা ভাইয়ারাই আমাদের স্বার্থটা এখন বেশি বুঝবে অথবা মেয়ের জামাই গণ ছাড়া আমার ভাই-বোনেরা কি কখনো আমাকে ২ ডিসিম বেশি দেয়ার কথা আমাদের পক্ষে ঐ ভাবে কি আর বলবে ? তারা নিজ স্বার্থ ছেড়ে দিয়ে কথা বলবে কখনো? তাই এ মুহুর্তে জামাতারাই অথবা বউয়ের বাপ-ভাইরাই আমার আপন।
হয়তোবা মাথায় বুদ্ধি এরকমও খেলছে, মাইজ্জ্যা মিয়া যাতে বুঝতেই না পারে জায়গা-জমির এ সব বিষয় গুলো। একে দলিল পত্র দেয়া বা দেখানো যাবে না। হুদা ঝামেলা এ সব! এতো কিছু বুঝতে গেলে, হেতে হুদা প্যাঁচাল ফাইরবো! হেতেরে এতো কিছু জানোন যাইতোনো! এ জমিটা আব্বাতুন আমার নামে কিনি লইছি।
আমার প্রিয় ভায়েরা হয়তো আরো কতো নিকৃষ্ট হিসাবাদি, তাই না?
সমাজের ভদ্রবেশী আমাদের সকলের সম্মানিত ভাই-বোনেরা, আমাদের হিসাব গুলা কি এ রকম বা এর চাইতে আরো জঘন্য না ভাই?
যদি তাই না হয়, তাহলে সকলে নিজে নিজে উত্তর দিন (?); কেন আজ নিজ ভাই-বোনদের চাইতে শশুরালয়ের ভাই-বোনেরা আপন হয়? জামাতারা আপন হয়?
তাহলে অংকতো সবাই বুঝি, আমাদের সমাজের এ চিত্র কি আত্মীয়তার সু-সম্পর্কের কথা বলে? তবে ইসলামের শুধু এই একটি পয়েন্ট অনুযায়ী, আমরা কি প্রায় সকলেই দোষী নই?
অতএব আমাদের সকলের উচিৎ হবে, প্রত্যেকেই ত্যাগ স্বীকার করে হলেও নিজ আত্মীয়-স্বজনের সাথে মিশে যাওয়া এবং তাদের বিষয়ে ভালো ধারণা রাখা ও সু-সম্পর্ক স্থাপন করা। যদি আমাদেরকে কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী মুসলিম হিসেবে কবরে যেতে হয়।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২৮। কারো প্রতি আমার কোন ধরনের মনোমালিণ্য নেই:
যেহেতু আপনারা বুঝতেই পারছেন, মানুষের সাথে আমার যে মনোমালিণ্য, নিষ্পেষণ, নির্যাতন, অত্যাচার, এটা আসলে জ্বীন গঠিত। অর্থাৎ আমার উপর জ্বীনের ক্রিয়া সংঘঠিত না হলে, আমার উপর আমার আপনজন ও নিকটজন কর্তৃক যে অত্যাচার গুলো সংগঠিত হয়েছিলো, তা হয়তো কখনোই ঘটতো না।
তাহলে ইহা স্পষ্ট যে, আমার সাথে যদিও আমার উপর জুলুমের এ বিষয়টি সত্য, তথাপি ইহা পরিস্থিতির কারণেই সৃষ্ট এবং বর্তমান সময়ের প্রায় সব গুলো মানুষের একটা কমন এবং স্বাভাবিক কারেক্টার অনুযায়ীই আমাকে উপেক্ষিত হতে হয়েছে।
যেখানে প্রায় সবগুলো মানুষের বৈশিষ্ট্য এ রকম (নিচে সত্য ও মিথ্যার একটি গল্পও রয়েছে এ বিষয়ে), সেখানে আমাকে দোষ দিতে হলেতো প্রায় সবাইকেই দোষ দিতে হবে। আর সবাইকে দোষ দিয়ে এবং আত্মীয় স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমি কোথায় গিয়ে বাস করবো অথবা কার সেবা করে সাওয়াব হাছিল করবো?
অতএব এ পয়েন্টে এসে আমার কারো প্রতি ( আমার নিজ পরিবার, সমাজ ও সর্বত্র) কোন ধরনের অভিযোগ নেই।
যেমন আমাকে অপমানের কারণে উত্তর দিকের মসজিদে না যাওয়া, বন্ধু সম ২/১ জন দোকানদারের নিকট না যাওয়া, আমার পরিবার ও বংশীয় সদস্য গণের অত্যাচার, এভাবে আম জনতা সকলের প্রতি। তবে আপনাদের সকলের প্রতি অনুরোধ করবো আমার প্রতি আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন। আমাকে উপকারী জ্বিন বা উপকারী মানুষ ভাবতে শিখুন।
এখানে আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমি না হয় মাফ করলাম (যা আপনাদের এখন থেকে পরবর্তী সময়ে আপনাদের ব্যবহার অনুযায়ী আমি নির্ধারণ করবো); কিন্তু নিউটনের সূত্র অনুযায়ী আপনাদের কর্মের একটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া আপনাদেরকে হয়তো সহ্য করতেই হবে। এ প্রতিক্রিয়া আমার কাছ থেকে হয়তো নাও হতে পারে, যেহেতু আমি হয়তো মাফ করে দিবো।
ধরুন আপনি সৌদি আরব যাবেন; কিন্তু ভূলক্রমে আজারবাইযান চলে গিয়েছেন। এখন আপনাকে আমি মাফ করলে, হয়তো গুনাহ মাফ হবে, কিন্তু ভাই আপনাকে রিটার্ণ সৌদি আরব যাওয়ার খরচ ও কষ্ট সহ্য করতেই হবে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৫.২৯। আমার তাওবা, প্রতিশ্রুতি ও পরিবর্তন বিষয়ে জ্ঞাতব্য:
সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রথমেই আমি আজকের সমাজে সত্য কী রকম সে বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
দেখুন আমি যদি জ্বীন হিসেবে আপনাদেরকে বিশেষ করে এলাকার মসজিদে, বা আমার কর্মস্থল বা বিশেষ কিছু স্থানে পরিচয় প্রদান না করতাম; তাহলে যেহেতু আমার ভাইগণ আমার জায়গা-জমি বিক্রি করেছে এবং যেহেতু তারা বিভিন্ন ভাবে আমার উপর জুলুম করেছে এবং যেহেতু আমার মতো মানুষকে মানুষ করে তাদের ব্যক্তিগত বা শুধু আমাদের বংশগত তেমন কোন স্পেশাল লাভ নেই; বরং যে কোন অন্যায় বা স্বার্থবাদিতার কোনই সুযোগ আমার কাছ থেকে পাওয়ার সুযোগ নাই; আর তাই আমি মনে করি, আমি যে একটা সুস্পষ্ট জ্বীন ছিলাম, তা তারা ক্লিয়ারলি বুঝতে পারার পরেও সর্বসাধারণের কাছে তা অস্বীকার করতো এবং করেছেও।
কই, সমাজ বা দেশের কাউকে কি, আমি যে জ্বীন ছিলাম তা তারা বলেছে? বলে নাই। উল্টো আমি মানসিক রোগী হিসেবেই বলেছে।
তাহলে তারা নামাজও পড়ছে, রোজাও রাখছে, কিন্তু আমি যে জ্বীন ছিলাম, এ সত্য কথাটি গোপন করেছে কেন?
কী ভায়েরা, তোমরা কি আসলেই বুঝতে পারোনি, আমি কি তোমাদেরকে বুঝিয়ে দিইনি যে, আমি জ্বীন ছিলাম। বুঝার পরেও মানুষকে কেন বলোনি তাহলে? তোমরাতো নামাজ-রোজা বা জিকির-আজগার ইত্যাদি করো; কিন্তু সত্য গোপন করলে কেন? একটা সত্য কথা গোপন না করে, বা সত্য-মিথ্যায় মিশ্রিত না করে অকপটে তা প্রকাশ করা, অন্তস্বার শূন্য হাজারো নামাজের চাইতে কত বেশিগুণ সাওয়াবের, তা কি তোমরা জানো? অপরপক্ষে সত্য গোপন করা, ইহা কী পরিমাণ গুণাহের, তা কি তোমরা উপলব্ধী করতে পারো?
বিষয়ের এমন অনেক গুলো পর্যায় গেছে, আমার মা কিংবা স্ত্রীকেও যখন বলতাম; ইহা আসলে মানসিক রোগ নয়; ইহা হচ্ছে জ্বীন; আর আপনাদের অত্যাচারের ফল। তখন আমার স্ত্রীও তর্ক জুডিয়ে দিতো এবং বলতো কে বলছে আপনাকে এসব; এটা মানসিক রোগ।
আমার ভায়েরা, তোমরা আজ বুকে হাত দিয়ে সত্য কথা বলবে।
বাবার জমি বিক্রি করে এবং আমার উপর অমানসিক মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে ও নির্যাতন চালিয়ে আসলে কি তোমরা আমার চিকিৎসা করেছিলে (?), না প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাকে শত্রু ভেবে তাড়াতে চেয়েছিলে?
আমি বার বার বুঝিয়েছি, আমি তোমাদের শত্রু নই, আমি তোমাদের ক্ষতি করবো না, (অবশ্য তোমাদের কারো নের্তৃত্ব আমি মানতে নারাজ ছিলাম) বরং উপকার করবো।
এতে তোমরা আমাকে সহযোগিতাতো করলেই না; বাবার জমি জমা বিক্রি করে ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আমাকে করে দিয়েছিলে কার্যত পঙ্গু এবং এখন পর্যন্ত আমাকে কোন ধরনের সহযোগিতা কর না।
আসলে আরেফ বিল্লাহকে নিয়ে [এটা জ্বিনের নাম, যা ইতিমধ্যে আরিফের (তোমাদের বাড়ির সদস্য) মা কর্তৃক রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে এ নাম রাখার সময়টি এখানে ক্লিক করে তা দেখে নিতে পার] এতো ভয় কেন তোমাদের? তোমরা কি দূর্বল যে, আমি (আরেফ বিল্লাহ) তোমাদের দূর্বলতা প্রকাশ করে দিবো? না, মানুষ হিসেবে নিজকে জ্বীনের চাইতে বড় দাবী কর? না আবার সম্পদ ও সম্মান আহরনে আমাকে প্রতিপক্ষ মনে কর? অথবা জ্বীন বলতেই খারাপ হিসেবে বুঝ?
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
বর্তমানের এ সময়ে এসেও, যখন আমি অনেকের কাছে ভালো হিসেবে পরিচয় দিতে সমর্থ হয়েছি এবং তোমাদের সহযোগিতা ছাড়াই অল্প কিছু মানুষ হলেও আমাকে চিনেছে যে, আসলে আমি খারাপ জ্বীন নই; তারপরও যখন আমার ফ্যামেলি ও আমার ছেলে-মেয়েরা সবাই বেড়াতে যায়; ঠিক তখন আমার জেঠাতো ভায়ের পরিবার, তুমি নারী হয়েও একটা পর পুরুষের প্রতি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কাশি না এলেও কাশি দাও, ও আমাকে বুঝতে বা বুঝাতে চেষ্টা কর বা মানসিক যন্ত্রণা দাও; শব্দ করার প্রয়োজন না হলেও আমাকে বিব্রত করতে অথবা মজা লুটতে উদ্দেশ্যমূলক বিভিন্ন শব্দ কর। কই, আমার ফ্যামিলির সদস্যরা এলেতো আর কর না; অথবা রাস্তার উপরের এ ঘরের নিকটে তো ভদ্র মানুষ তোমরা! এখানে করলে লোকে দেখে যাবে কেমন?
আসলে জানিনা বাড়ির লোকদের নিকট কেন যে আমি এখনো ভালো জ্বীন হতে পারলাম না; তোমাদেরকে এতো ছাড় দিলাম! ছাড় দিতে দিতে অনেকটা পাগল হয়ে গেলাম! অর্থ সম্পদ প্রায় হারিয়ে ফেললাম! প্রতিবাদ শুরু করেছিলাম মাত্র অল্প কিছুদিন হলো। তবুও এখনো আমি প্রতিপক্ষই থেকে গেলাম তোমাদের কাছে। ভালো জ্বীন হওয়ার সৌভাগ্য বা বন্ধুত্ব আমার কপালে ঝুটলো না!
এখন যেহেতু আমি নিজ মুখে জ্বীন হিসেবে, এতো চিকিৎসা করতে হবে না ও এতো ঔষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নাই; আপনারা আমাকে শুধু একটা ঘর দিয়ে দেন। আমার তখনকার ব্রেনগত এ রকম নাজুক পরিস্থিতিতেও আমি কথা গুলো বলেছিলাম; তবুও আমার কথা তোমরা শুননি।
বাড়ির বাহিরের প্রায় সব জমি-জমা বিক্রি করলে। যদিও বাবার কাছ থেকে কিনেছ এবং এতে বড় ভাই সহ সবাইকে করলে এক রকম বঞ্চিত; পরিণামে আমাকে করে দিলে বড় ভায়ের হিংসা ও শত্রুতার পাত্র।
আর এখন মুফতি সাহেবেরা পর্যন্ত আমার দোষ ধরে। আমি নাকি নিজ পরিবার ও বংশের বিরুদ্ধে লিখি ও বলি।
তো মুফতি সাহেব বৃন্দ, তোমরা বলো, এতিমের মালের মতোই কি আমার মাল গুলো ছিলো না তখন!?
তাহলে, এতিমের মাল যদি সে সাবালক হওয়া ছাড়া বিক্রি করা না জায়েজ হয়; তাহলে আমার মাল কেন আমার অবচেতন অবস্থায় বিক্রি করা জায়েজ হবে?
যেহেতু আমার নিষেধ শুনেও নিজকে মহা জ্ঞানীর পরিচয় দিলে (?), তাহলে তোমরা কী পারবে আমার জমিগুলো ফিরিয়ে দিতে?
পারবে না এবং তোমরা দিবেও না।
আর আমিও চাই না তোমরা আমার জমিগুলো ফিরিয়ে দাও।
যেহেতু তোমাদের নিয়ত অনুযায়ী তোমরা আমার চিকিৎসা করেছিলে।
আমিতো তোমাদের জন্য ক্ষতিকর ছিলাম; তাই আমাকে তাড়াতে চেয়েছিলে!!
তোমাদের নিয়তে আরিফের উপকার করা বিষয়টি বিবেচনা করে তোমাদেরকে আমি মাফ করে দিলাম। আর যদি তোমাদের নিয়তেই গন্ডগোল থাকে তাহলে সে জন্যে তো আল্লাহই যথেষ্ট।
কিন্তু আমার প্রতি তোমাদের ভালো ধারনা সৃষ্টি হয় না কেন?
যার জন্যে এখনো আমি বাড়ি গেলে, সুযোগ বুঝে আমাকে বিব্রত কর, উদ্দেশ্য মূলক বেহুদা শব্দ শুনাও।
কয় জনম লাগবে আমাকে বোঝার জন্য? কী পরিমাণ কষ্টে আমার দিন যাচ্ছে!!? এতে তোমাদের কি কোন কষ্ট হয়!?
এরপরও আমাকে নিয়ে মজালুট! তামাশা চাও, না!?
তোমাদের প্রতি আমি আজ আবারো উদার্ত আহবান জানাই, দেখ আমি তোমাদের ক্ষতিকর কেউ নই। ইনশা’আল্লাহ আমি তোমাদের পরম বন্ধু। আমাকে আর লুকিয়ে রেখো না! দেশ ও জাতির কল্যাণে আমাকে কাজ করতে দাও।
আমার প্রতি ভালো ধারণা রাখলেই তোমরা আমাকে ভালো বন্ধু হিসেবে দেখতে পাবে।
তাই আমার প্রতি তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহবান জানাচ্ছি।
অপরদিকে আমিও তো তোমাদের বিরুদ্ধে আর কিছু লিখবো না বলে কথা দিয়েছি।
দেখো, আমি তোমাদেরকে বার বারই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলাম যে, এটা প্রচলিত কোন মানসিক রোগ নয়। অতএব এতো জায়গা-জমি বিক্রি এবং এতো চিকিৎসার কোন প্রয়োজন নেই। তোদেরকে আমি নিজ মুখে অনুরোধ করেছিলাম যে, আজকে আমি যেখানে বন্ধন ফাউন্ডেশনের অফিস দিয়েছি, এখানে আমার বড় ভাইকে জায়গাটা দেখিয়ে দিয়ে বলেছিলাম, এখানে আমাকে একটি ঘর করে দিতে। এবং একটি ছোট ছেলে আমাকে বাড়ি থেকে ভাত এনে দিবে। ইনশা’আল্লাহ আমি ভালো হয়ে যাবো এবং জগতের উপকার করবো। প্রয়োজনে উঁনার নিকট জানতে চাইতে পারেন আপনারা। আশা করি উনার মনে আছে।
তবে আমি এ ঘর দেয়ার সময় ঐভাবে চিন্তা করে বা ঐ কথা স্বরণ রেখে দিইনি এবং বিষয়টি আমার মনেও ছিলো না। এর আগে আরেকটি প্রবন্ধ লিখতে বসে সেদিনকার সে কথাটি আমার মনে পড়েছে।
জ্বীন কিন্তু গায়েব জানে না, দেইখেন। পরে আবার ঈমান হারা হইয়েন না।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
কিন্তু তারা যখন দেখলো ও বুঝতে পারলো, আমি তাদের কাউকেই আমার নেতা হিসেবে মানছিনা, তখন (বা আমাকে অযথা ভয় পেয়ে) তারা আমার কথা না শুনে, আমাকেই তাড়ানোর জন্য কুফরী থেকে শুরু করে দুনিয়ার যত চিকিৎসা ও কূ-চিকিৎসা বা অপ-চিকিৎসা বা শয়তানি চিকিৎসা বা পদ্ধতি বা কৌশল রয়েছে এর সবকিছুই আমার উপর এপ্লাই করা শুরু করল। আমি মুখ বুঝে সহ্য করলাম।
কিন্তু আমাকে তাড়াতে পারেনি। ইনশা’আল্লাহ পারবেও না।
আচ্ছা ভায়েরা জ্বীনকে নিয়ে এতো ভয় কেন তোমাদের এ মনূষ্য সমাজে?
বর্তমানে আমি যা বুঝি, মানুষদের অনেক আলেম ও হাফেজে কুরআনের মাঝে এ জ্বীন অবস্থান করে। মানুষ ও জ্বীন এ দু’য়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐ আলেম বা হাফেজ বিশ্বসেরা হয়। এটা ঐ আলেম বা হাফেজ, তার সাথে যে জ্বীন ছিলো বা আছে, তিনি এ বিষয়টি হয়তো বুঝতেও পারে না।
এখানে যদিও জ্বীনের চাইতে মানুষ বড়, কিন্তু যেহেতু আমার থাকার বিষয়ে, আমি যার উপর সোয়ার করে আছি,তা এ মানুষটি (আরিফ) কর্তৃক সাপোর্টেডকৃত এবং আমরা মনেকরি এটা মহান রব আল্লাহ কর্তৃকও অনুমোদিত; আর তাই আমি মনেকরি তোমরা মানুষ ও জ্বীন জাতি সবাই মিলে একত্রেও যদি চেষ্টা করো, ইনশা’আল্লাহ আমাকে তাড়াতে পারবে না। কিন্তু যদি আল্লাহু তা’য়ালা কর্তৃক চলে যাহয়ার কোন ইঙ্গিত বুঝতে পারি তখন আমি চলে যাবো। এমনকি আরিফ যদি না বুঝে আমাকে চলেও যেতে বলে, তবুও আমি যাবো না। যেহেতু আমি তার (আরিফ উল্যাহ) কথায় তার নিকট আসি নাই। আমার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ স্বয়ং রাব্বুল আলামিন। অতএব তোমরা যারা আমাদেরকে নিয়ে ইয়ার্কি করছো, তোমাদেরকে ইয়েলো সংকেত প্রদান করা হলো। বুঝতে চেষ্টা করো দেশ ও জাতির মূল্যবান সম্পদ তোমাদের কারণে অপচয় হচ্ছে!!
আর জ্বীনকে নিয়ে তোমরা যারা বৃথাই ভয় করো, তাহলে তোমরা আমার এ জীবন দেখতে থাকো!!
এ পর্যায়ে আজ আমি আমার ভাইদের প্রতি প্রশ্ন রাখতে চাই; কী, আমাকে তাড়াতে পেরেছো? পারো নাই। আরিফ উল্যাহর শরীরে আমার (জ্বীন) উপস্থিতির বিষয়টি তোমরা যতই গোপন করো, তোমাদের বলে বলিয়ান হয়ে সমাজের সবাইতো আর মিথ্যা কথা বলবে না।
অন্তত মসজিদ থেকেতো বলবে না।
আশাকরি তোমাদের বিরুদ্ধে হলেও তিতারকান্দি মসজিদ থেকে এ সত্যটি প্রকাশ করবে; যদিও তোমাদের পরিচালিত উত্তরদিকের মসজিদ থেকে প্রকাশ নাও করতে পারে। হ্যাঁ, মসজিদ থেকেও আজ সত্য গোপন হতে পারে। যেহেতু মসজিদ চালাচ্ছ তোমরাই। আকাশের ফেরেশতাতো আর মসজিদ চালায় না।
যদিও আমার এ বিষয়টি সত্য হয়, তথাপি সেটি মসজিদ হলেও যেহেতেু ঐ মসজিদের সেক্রেটারি তোমরা, তাই আমার এ বিষয়টি সত্য জানার পরেও, ঐ মসজিদর থেকেও তা প্রকাশ করা হবে বলে মনে হয় না।
কী, বাড়িয়ে বলেছি? মোটেই না। আল্লাহর ঘর মসজিদ; এরপরেও সত্য-মিথ্যার ক্ষেত্রে আজ মসজিদও সমাজ আর অর্থ নির্ভর।
সত্য-মিথ্যা নিয়ে সুন্দর একটি গল্পের কথা মনে পড়ছে। গল্পটি সংক্ষেপে নিচে তুলে ধরলাম। দয়া করে একটু পড়। গল্পটি নিম্নরুপ-
সত্য ও মিথ্যা একসাথে হাঁটছিলো। তারা উভয়ে একটা পুকুর দেখতে পেলো। মিথ্যা সত্যকে বলল, চলো স্নান করি। সত্য মিথ্যার কথা শুনে প্রথমে মানতে চাইলো না; কিন্তু যাচাই বাচাই করে দেখলো যে, মিথ্যাতো সত্যই বলেছে, পুকুরের পানিতো একেবারেই স্বচ্ছ। এখানেতো স্নান করা যায়।
উভয়ে পুকুরে নেমে পড়লো। মিথ্যা একটু পরেই পুকুর থেকে উঠে সত্যের কাপড় গুলো পরে পালিয়ে গেলো। তার একটু পরে সত্য পুকুর থেকে উঠে তার কাপড় না পেয়ে এবং মিথ্যাকেও খুঁজে না পেয়ে পরিস্থিতির শীকার হয়েই তাকে উলঙ্গ থাকতে হলো।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
এখন সত্য যে দিকেই যায়, তাকে শুধু সবাই ছি ছি করে। কারণ সে যে নগ্ন! তাকে যে সিস্টেম আর মিথ্যার কৌশলে নগ্ন করে দেয়া হয়েছে!
আর ও দিকে মিথ্যা সত্যের কাপড় গুলো পরে প্রায় পুরো জগতময় সত্য হিসেবেই পরিচিত হয়ে রইলো।
আসলে বর্তমান সময়ে সত্যাশ্রিত হয়ে পথ চলা কী রকম জানো (?); ধরো, আমি একটা লোককে একটা সত্য সিগনাল দিলাম। কিন্তু শয়তান মিথ্যা সমাজের ফরমেটে লোকটিকে আমার সে সত্য সিগনালটিকেই মিথ্যা হিসেবে লোকটিকে বুঝিয়ে দিলো। এবার আমাকেই লোকটি মিথ্যুক হিসেবে চিহ্নিত করলো।
আর তাই এ মুহূর্তে আমার ভাইগণের এবং তাদের পূজনীয় রিলেটেড পার্সনের নিকট যদি শতভাগ মাথা ঝুঁকিয়ে চলি, তাহলে হয়তো তারা আগের মতোই আমাকে নীল নকশায় জড়িয়ে ফেলতে পারে এবং করতে পারে আমার প্রতি শুধু স্বার্থ হাসিলের মাতবরী এবং তাচ্ছিল্য।
আবার যেহেতু জগত চলে টাকায়। আর আমার যেহেতু টাকা নেই; তাহলে আমিতো বর্তমান নিয়ম অনুযায়ীই এ জগতে স্বাবলীল ও সম্মানী ভাবে চলতে পারি না। সুতরাং কথা স্পষ্ট যে, বর্তমানকার জাগতিক সিস্টেম অনুযায়ীই এবং দীর্ঘ দিন থেকে চলতে থাকা উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই ও তাদের সামাজিক স্ট্যাটাস অনুযায়ীই তারা আমার সাথে পারষ্পরিক সম্মান ও ভাতৃত্ববোধ রেখে চলতে পারে না।
এ জন্যে সবক্ষেত্রে একচেটিয়া ভাবে তাদেরকে আমি দোষী সাব্যস্ত করছি না এবং আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টি যেন তারা বুঝে নিতে পারে।
যেহেতু আমার টাকা বিহীন তাদেরকে এখন আমি অতি মান্যতা দেখালে, তাহলে আমার যে নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব ও ক্রিয়েটিভ কর্মক্ষমতার যোগ্যতা, তা আমি হারাতে পারি।
এমনিতেই আমি জ্বীন বলে, আমাকে সব সময় থাকতে হয়, মানুষের একটা সন্দেহের দৃষ্টিপাতের মধ্যে, কালারিং হয়ে।
অতএব আমার পরিবর্তন নির্ভর করছে, আমার ভাই-ভাবী, ভাতিজা-ভাতিজি, বোন-ভাগিনা-ভাগিনী এদের সকলের পরিবর্তন ও আমার টাকা উপার্জনের উপর।
সুতরাং সকলের সাথে মিলে মিশে চলার স্বার্থেই, আমি যেন টাকা ইনকাম করতে পারি। আমার অভাব ও ক্ষত সমূহ যাতে ঘুচাতে পারি। এবং পরিবার ও সমাজে যাতে সম্মান নিয়ে জীবন-যাপন করতে পারি। এ জন্য সকলের দোয়া, ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও সহযোগিতা কামনা করছি।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
৬। পরিশেষ:
পরিশেষে বলতে চাই, দেখুন মানুষের সাথে জ্বীন জাতির সহ-অবস্থান, তথা পৃথিবীতে জ্বীন জাতির উপস্থিতি এবং আল কোরআনের ঘোষণার প্রতি মানুষকে বিশ্বাসীকরণ প্রচেষ্টা, এটা আমি মনে করি একটি অতি পূণ্যময় ধর্মীয় কাজ।
যেহেতু আল কোরআনের একটি আয়াতের প্রতিও সর্ব স্বাধারণকে বা মানুষকে বিশ্বাস স্থাপনের প্রচেষ্টা, ইহা অবশ্যই দ্বীন প্রচারেরই অংশ।
আর তাই প্রত্যেক মুসলিম তাদের সামর্থ অনুযায়ী এ কাজে প্রচেষ্টা চালাবেন, ইহা তাদের কর্তব্য।
অতএব এ দৃষ্টিকোণ থেকে আমি আশা করছি, আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেনএবং আমার এ প্রবন্ধ ও আমার এ বিষয়টি (আমি জ্বীন মানব) বেশি বেশি শেয়ার করবেন।
সে আশাবাদ ব্যক্ত করে ও মানুষ ও জ্বীন হিসেবে ভূল-ত্রুটি ক্ষমা চেয়ে এবং পরামর্শ অনুযায়ী সংশোধনের আশ্বাস প্রদান করে, আজকের মতো এখানেইশেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।সুস্থ থাকুন। ঈমানের সহিত থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
(আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবেনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)
Leave A Comment