Please share-

আপনি যদি সার্টিফিকেটধারী আলেম হন, তাহলে এ ধরনের পোস্টের ভূল ধরা ও সংশোধনের লক্ষ্যে কমেন্টস করা, ইহা আপনার কর্তব্য। ইনশা’আল্লাহ প্রতিদিন গড়ে ১টি করে হাদিস পাবলিস্ট করা হবে]

প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্যাটাগরীর উপর ক্লিক করুন-

 ঈমান

 আদম ইবনে আবু ইয়াস (র.) আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার জিহবা ও হাত হতে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে এবং প্রকৃত মুহাজির সে-ই, যে আল্লাহ তায়া’লার নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে। হাদীস নং-৯, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ১৮

বুখারী শরীফ থেকে হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

আমর ইবনে খালিদ (র.).. আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলো, ইসলামের কোন কাজটি উত্তম? তিনি বললেন, তুমি খাবার খাওয়াবে ও পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম করবে। হাদীস নং- ১১, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ১৮-১৯

বুখারী শরীফ থেকে হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

মুসাদ্দাদ (র.) ও হুসাইন আল মু‘আল্লিম (র.) …আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমেন হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। হাদীস নং- ১২, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ১৯

বুখারী শরীফ থেকে হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

আবুল ইয়ামান (র.)… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন, সে-ই পবিত্র সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা, তার সন্তানের (ও সব মানুষের) চেয়ে বেশি প্রিয় না হই।

হাদীস নং- ১৩-১৪, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ১৯

বুখারী শরীফ থেকে হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

ইসলামের ভিত্তি ও ঈমানের শাখা

‘উবায়দুল্লাহ ইবনে মূসা (রাঃ)… ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। ১. আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল–এ কথায় সাক্ষ্যদান। ২. সালাত কায়েম করা। ৩. যাকাত দেওয়া। ৪. হজ্জ করা এবং ৫. রমজান-এর সিয়াম (রোজা) পালন করা।

হাদীস নং- ৭, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ১৬

আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ জু‘ফী (র) …আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন, ঈমানের শাখা রয়েছে ষাটের কিছু বেশি। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।

হাদীস নং- ৮, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ১৭

বুখারী শরীফ থেকে উক্ত হাদীস ২টি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

(ওপেন হলে একটু নিচের দিকে নেমে লোডিং সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে)

নামাজ

হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ মালাকগণ পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; একদল দিনে, একদল রাতে। আসর ও ফজরের সালাতে উভয় দল একত্রিত হন। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারী দলটি উঠে যান। তখন তাদের প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞেস করেন- (অবশ্য তিনি নিজেই তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত) আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে আসলে? উত্তরে তাঁরা বলেন, আমরা তাদের সালাতে রেখে এসেছি, আর আমরা যখন তাদের নিকট গিয়েছিলাম তখনও তারা সালাত আদায়রত অবস্থায় ছিলেন।

(বুখারী ৫৫৫, ৩২২৩৩, ৭৪২৯, ৭৪৮৬; মুসলিম ৫/৩৬, হাঃ ৬৩২, আহমদ ১০৩১৩)

হাদীসে কুদসী সমগ্র, আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ), সম্পাদনাঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবরাহীম আল-মাদানী, দাঈ, ধর্ম মন্ত্রণালয়, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, পৃষ্ঠা নং 19

মূল কিতাব থেকে এ হাদীসে কুদসীটি পড়তে চাইলে-

এখানে ক্লিক করুন

 

 নিয়ত

হুমায়দী (র.) …আলকামা ইবনে ওয়াক্কাস আল-লায়সী (র.) থেকে বর্ণনা করেন,আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ীফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা কোন নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে–সেই উদ্দেশ্যই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য।ঙ১

হাদীস নং- ১, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ৩

মূল আরবী সহ বুখারী শরীফ থেকে পৃষ্ঠা নম্বর অনুযায়ী হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

ইনসাফ ও ব্যবহারবিধি

সুলায়মান ইবনে হারব (র.) ..মারূর (র.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ আমি একবার রাবাযা নামক স্থানে আবু যর (রাঃ) এর সাথে  সাক্ষাত করলাম। তখন তাঁর পরনে ছিলো এক জোড়া কাপড় (লুঙ্গি ও চাদর), আর তাঁর চাকরের পরনেও ছিলো ঠিক একই ধরনের এক জােড়া কাপড়। আমি তাঁকে এর (সমতার) কারণ জিজজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ একবার আমি এক ব্যক্তিকে গালি দিয়েছিলাম এবং আমি তাকে  তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে বললেনঃ ‘আবু যর! তুমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছ? তুমিতো এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে এখনো জ্বাহেলী যুগের স্বভাব রয়েছে। জেনে রেখ, তোমাদের দাস-দাসী তোমাদেরই ভাই। আল্লাহতা’য়ালা তাদের তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। তাই যার ভাই তার অধীনে থাকবে, সে যেন নিজে যা খায়, তাকে তাই খাওয়ায় এবং নিজে যা পরে , তাকে তা-ই পরায়। তাদের উপর এমন কাজ চাপিয়ে দিওনা, যা তাদের জন্য খুব বেশি কষ্টকর। যদি এমন কষ্টকর কাজ করতে দাও, তাহলে তোমরাও তাদের সে কাজে সাহায্য যকরবে।

হাদীস নং- ৩০, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ২৮

মূল আরবী সহ বুখারী শরীফ থেকে পৃষ্ঠা নম্বর অনুযায়ী হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

দানশীলতা

 আবদান (র.)… ও বিশর ইবনে মুহাম্মদ (র.) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। রমযানে তিনি আরো বেশি দানশীল হতেন, যখন জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সাথে স্বাক্ষাত করতেন। আর রমযানের প্রতি রাতেই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন এবং তাঁরা পরষ্পর কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্বয় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রহমতের বাতাস থেকেও অধিক দানশীল ছিলেন।

হাদীস নং- ৫, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ৭

বুখারী শরীফ থেকে পৃষ্ঠা নম্বর অনুযায়ী হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

হিজরত

 আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা (র.) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ সেদিন দূরে নয়, যেদিন মুসলিমদের উত্তম সম্পদ হবে কয়েকটি বকরী, যা নিয়ে সে পাহাড়ের চূড়ায় অথবা বৃষ্টিপাতের স্থানে চলে যাবে। ফিতনা থেকে সে তার দীন নিয়ে পালিয়ে যাবে।

হাদীস নং- ১৮, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ২১

বুখারী শরীফ থেকে পৃষ্ঠা নম্বর অনুযায়ী হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

ওহী নাযিল

 আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র.)…. আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, হারিশ ইবনে হিশাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -কে জিজ্ঞাসা কলেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)! আপনার প্রতি ওহী কিভাবে আসে? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, কোন কোন সময় তা ঘন্টাধ্বনির ন্যায় আমার নিকট আসে। আর এটিই আমার উপর সবচাইতে কষ্টদায়ক হয় এং তা সমাপ্ত হতেই ফিরিতা যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নিই, আবার কখনো ফিরিশতা মানুষের আকৃতি আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি যা বলেন তা মুখস্থ করে ফেলি। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি প্রচন্ড শীতের দিনেও  অহী নাযিলরত অবস্থায় তাঁকে দেখেছি। ওহী শেষ হলেই তাঁর কপাল থেকে ঘাম ঝরে পড়তো।

হাদীস নং- ২, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ৪

বুখারী শরীফ থেকে পৃষ্ঠা নম্বর অনুযায়ী হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনে বুকায়র (র.) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর প্রতি সর্বপ্রথম যে ওহী আসে, তা ছিলো ঘুমের মধ্যে সত্য স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে ভোরের আলোর ন্যায় প্রকাশ পেত। তারপর তাঁর কাছে নির্জনতা প্রিয় হয়ে পড়ে এবং তিনি ‘হেরা’র গুহায় নির্জনে থাকতেন। আপন পরিবারের কাছে ফিরে আসা এবং কিছু খাদ্য সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া–এই ভাবে সেখানে তিনি একাধারে বেশ কয়েক রাত ইবাদতে নিমগ্ন থাকতেন। এমনিভাবে ‘হেরা’ গুহায় অবস্থান কালে একদিন তাঁর কাছে ওহী এলো। তাঁর কাছে ফিরিশতা এসে বললেন, ‘পড়ুন’। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ “আমি বললাম,‘আমি পড়ি না।’ তিনি বলেনঃ তার পর তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হলো। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন পড়ুন। আমি বললামঃ আমি তো পড়ি না। তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হলো। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ ‘পড়ুন’। আমি জবাব দিলাম,‘আমি তো পড়ি না’।রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তারপর তৃতীয়বার তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। এরপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পড়ুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক থেকে। পড়ুন, আর আপনার রব্ মহিমান্বিত।” (৯৬ঃ ১-৩)

তারপর এ আয়াত নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ফিরে এলেন। তাঁর অন্তর তখন কাঁপছিলো। তিনি খাদিজা বিনতে খুয়ায়লিদের কাছে এসে বললেন, আমাকে চাদর দিয়ে ডেকে দাও, আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও।’ তঁরা তাঁকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। অবশেষে তাঁর ভয় দূর হলো। তখন তিনি খাদীজা (রাঃ)-র কাছে সকল ঘটনা জানিয়ে তাঁকে বললেন, আমি আমার নিজের ‍উপর আশংকা বোধ করছি। খাদীজা (রাঃ) বললেন,আল্লাহর কসম, ‘কখ্খনো না। আল্লাহ আপনাকে কখখনো অপমানিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করেন এবংদুর্দশাগ্রস্থকে সাহায্য করেরন। এরপর তাঁকে নিয়ে খাদীজা (রাঃ) তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনে নাওফিল ইবনে আবদুলআসাদ ইবনে আবদুল উযযার কাছে গেলেন, যিনি জাহিলি যুগে ‘ঈসায়ী ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইবরানি ভাষায় লিখতে জানতেন এবং আল্লাহর তাওফিক অনুযায়ী ইবরানী ভাষায় ইনজীল থেকে অনুবাদ করতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বয়োবৃদ্ধ এবং অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।

খাদীজা (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে চাচাতো ভাই! আপনার ভাতিজার কথা শুনুন।’ ওয়ারাকা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ভাতিজা! তুমি কী দেখ? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যা দেখেছিলেন, সবই খুলে বললেন। তখন ওয়ারাকা তাঁকে বললেন, ইনি সে দূত, যাঁকে আল্লাহ মূসা (আঃ)-র কাছে পাঠিয়েছিলেন। আফসোস! আমি যদি সেদিন যুবক থাকতাম। আফসোস আমি যদি সেদিন জীবীত থাকতাম, যেদিন তোমার কওম তোমাকে বের করে দেবে।’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘তারা কি আমাকে বের করে দিবে?’ তিনি বললেন, হ্যাঁ, অতীতে যিনিই তোমার মতো কিছু নিয়ে এসেছেন, তাঁর সঙ্গেই শত্রুতা করা হয়েছে। সেদিন যদি আমি থাকি, তবে তোমাকে প্রবল ভাবে সাহায্য করবো।’ এর কিছু দিন পর ওয়ারাকা (রাঃ) ইন্তেকাল করেন। আর ওহী স্থগীত থাকে।

ইবনে শিহাব (র) …জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি ওহী স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ একদা আমি হেঁটে চলেছি, হঠাৎ আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে চোখ তুলে তাকালাম। দেখলাম সেই ফিরিশতা, যিনি আমাকে হেরায় আমার কাছে এসেছিলেন, আসমান ও জমীনের মাজখানে একটি কুরসীতে বসে আছেন। এতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তৎক্ষণাত আমি ফিরে এসে বলরাম, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর।’ তারপর আল্লাহ তা’য়ালা নাযিল করলেন, “হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠুন, সতর্কবাণী প্রচার করুন এবংর আপনার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন। আপনার পোশাক পবিত্র রাখুন। অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন।” (৭৪ঃ ১-৪) এরপর ব্যাপক ভাবে পর পর ওহী নাযিল হতে লাগলো। 

হাদীস নং- ৩, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ৫

বুখারী শরীফ থেকে পৃষ্ঠা নম্বর অনুযায়ী হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

 

মহিলা বিষয়ক

 আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা (র.) ….. ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের অধিকাংশই স্ত্রী লোক; (কারণ) তারা কুফরী করে। জিজ্ঞাসা করা হলো,‘তারা কি আল্লাহর সাথে কুফরী করে?’ তিনি বললেনঃ ‘তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং ইহসান অস্বীকার করে।’ তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাকো, এরপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, ‘আমি কখনো তোমার কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাইনি।’

হাদীস নং- ২৮, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ২৭

বুখারী শরীফ থেকে পৃষ্ঠা নম্বর অনুযায়ী হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

মানুষ হত্যা

আবদুর রহমান ইবনুল মুবারক (র.) ….আহনাফ ইবনে কায়স (র.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি (সিফফীনের যুদ্ধে) এ ব্যক্তিকে[আলী (রাঃ)-কে] সাহায্য করতে যাচ্ছিলাম। আবু বাকরা (রাঃ)-এর সাথে আমার সাক্ষাত হলে তিনি বললেনঃ ‘ফিরে যাও। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কেবলতে শুনেছি, দুজন মুসলমান তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে।’ আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) এ হত্যাকারী (তো অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কি অপরাধ? তিনি বললেন, (নিশ্চয়ই) সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিলো।

হাদীস নং- ২৯, বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নংঃ ২৭-২৮

বুখারী শরীফ থেকে পৃষ্ঠা নম্বর অনুযায়ী হাদীসটি পড়তে-

এখানে ক্লিক করুন

এছাড়া শুদ্ধরুপে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে চাইলে

এখানে ক্লিক করতে পারেন

আবার বেকার যুবক-যুবতী ভাই-বোন গণ তাদের কাঙ্খিত চাকুরি খুঁজতে

এখানে ক্লিক করতে পারেন।

এ পোস্টের ট্যাগ সমূহঃ #আল হাদিস,  #আল হাদীস,  #হাদীস শরীফ  #hadith sharif  #sahih hadith  #bangla hadith